রায়গঞ্জ, 22 ফেব্রুয়ারি: স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ আটক স্বামী (Murder Charge against Husband) ৷ উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পৌরসভা এলাকার 7 নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপাড়ার ঘটনা ৷ মৃত মহিলার নাম পুলতা বর্মন ৷ বয়স 30 বছর ৷ তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ ময়নাতদন্তের জন্য পুলতার দেহ রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ৷ পুলতার স্বামী সুমিত বিশ্বাসকে আটক করেছে পুলিশ (Police detain Husband for Murder Charge) ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিলনপাড়ার বাসিন্দা রাখাল দাস ও তাঁর স্ত্রী হেনা দাসেরর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এই পুলতা ও সুমিত ৷ হেনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই দম্পতি তাঁদের বাড়িতে ভাড়া এসেছেন একমাসও হয়নি ৷ কিন্তু, এরই মধ্য়ে ভাড়াটিয়া দম্পতিকে নিয়ে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা ৷ কারণ, সুমিত ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা, অশান্তি লেগেই থাকত ৷ এমনকী, তাঁদের মারপিট করতেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ ৷ মঙ্গলবার রাতেও একই ঘটনা ঘটে ৷ প্রতিবেশীদের আশঙ্কা, অশান্তির জেরেই স্ত্রী পুলতাকে খুন করেছেন সুমিত ৷
আরও পড়ুন: রেণুকার মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার ক্যানেল থেকে, অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি পরিবারের
সুমিত নিজে অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, পুলতা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৷ তিনি স্ত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন ! কিন্তু, পারেননি ! সুমিত আরও দাবি করেন, তিনি নাকি পুলতার বাপের বাড়ি কোথায়, তা জানেন না ! অভিযুক্ত স্বামীর আরও দাবি, তাঁর প্রথম স্ত্রী বছর খানেক আগে তাঁকে ছেড়ে চলে যান ৷ তারপর পুলতার সঙ্গে রাস্তায় আলাপ হয় তাঁর ! সেই আলাপের কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁরা বিয়ে করে ঘর করতে শুরু করেন !
সংবাদমাধ্যমের সামনে সুমিত যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে ৷ কখনও তিনি বলেছেন, টাকা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল ৷ কখনও বলছেন, স্ত্রী অন্য ছেলের সঙ্গে কথা বলছিলেন ৷ তাই নিয়ে ঝামেলা হয় ৷ নিজেই জানিয়েছেন, স্ত্রীকে তিনি থাপ্পড় মেরেছিলেন ৷ সুমিতের গলায় আঁচড়ের দাগ রয়েছে ৷ তাঁর স্ত্রীই যে তাঁকে আঁচড়ে দিয়েছিলেন, তা স্বীকার করেছেন সুমিত ৷ তবে, কখন, কীভাবে এই আঁচড় খেলেন তিনি, তা বলতে গিয়ে নানা সময় নানা দাবি করছেন তিনি ৷ ইতিমধ্যেই সুমিতকে আটক করেছে পুলিশ ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ পাশাপাশি, দম্পতির বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলছে তারা ৷