রায়গঞ্জ, 17 অক্টোবর: কালীপুজোর প্রধান উপকরণ যে জবা ফুল (Hibiscus Flower), সে কথা অজানা নয় কারও ৷ স্বাভাবিকভাবেই শ্যামাপুজো এলেই বাড়তে থাকে জবা ফুলের চাহিদা ৷ কারণ, জবা ছাড়া কালী-বন্দনা অসম্পন্ন ৷ মালা থেকে শুরু করে পুজোর কাজ, সর্বত্র লাগে জবা ৷ তবে চাহিদা মেটাতে সত্যিকারের জবা ফুলের পরিবর্তে এখন ভরসা প্লাস্টিকের জবা ফুল ৷ তাই শ্যামাপুজোর আগে এই প্লাস্টিকের লাল জবার মালা তৈরির ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ, কাঞ্চনপল্লী কান্তনগর-সহ এলাকায় (People of Subhashgram-Kanchanpalli are busy in making plastic hibiscus flower)। পরিবারের সকলে মিলে দিনরাত এক করে হাজার-হাজার প্লাস্টিকের লাল জবার মালা তৈরি করে চলেছেন সুভাষগঞ্জের প্রতিটি পরিবার।
জবা ফুল ছাড়া শ্যামা মায়ের আরাধনাই যেন অধরা থেকে যায়। দেবীর পুজোর উপাচারে উপরকণের মধ্যে জবা আবশ্যিক। জবার মালা প্রতিমার গলায় না-পরালে পুজোই সম্পূর্ণ হয় না। পুজোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আসল জবা ফুলের মালার বদলে এখন প্লাস্টিকের জবার মালার শোভা বাড়াচ্ছে প্রতিমার গলায়। লাল রঙের প্লাস্টিক কাগজ দিয়ে সুতো দিয়ে গেঁথে তৈরি হচ্ছে হাজারে-হাজারে বিকল্প লাল জবার মালা। রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ, পালপাড়া, কাঞ্চনপল্লী, কান্তনগর এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিকের লাল জবার মালা।
আরও পড়ুন: দীপাবলির আগেই কালীপুজো, ব্যবস্থাপনায় বিজেপি মহিলা মোর্চা
মহাজন বা কারখানার মালিকদের কাছ থেকে লাল প্লাস্টিকের কাগজ নিয়ে এসে যার যার বাড়িতে বা কারখানায় বসে তৈরি করে চলেছেন লাল জবার মালা। দিনরাত এক করে পড়াশুনার ফাঁকে মালা তৈরিতে হাত লাগিয়েছে কন্যাশ্রী ছাত্রী সোনালী, রূপালীরা। তাঁরা জানান, সারাবছর তেমন কাজ না-থাকলেও শ্যামাপুজোর আগে এই কাজের চাপ বেড়ে যায়। তবে কাজের চাপ বাড়লেও আয় খুব একটা হয় না ৷ তাই অর্থিক স্বচ্ছলতা আসে না ৷ তবে যেটুকু আয় হয়, তা বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেন তারা ৷ মেয়েদের এই সহযোগিতা ব্যবসার কাজে স্বনির্ভর করে তোলার পাশাপাশি দীপাবলিতে বাড়তি রোজগার এনে দেবে, আশায় ব্যবসায়ী সুনীল পাল।