রায়গঞ্জ, 23 মে : রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের ছিট মাধবপুর এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াল পঞ্চায়েত সমিতি । আজ বিভিন্ন জায়গা থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলো রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি মানস ঘোষ । গতকাল ETV ভারতে এই পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে থেকে ফিরে এসে খোলা আকাশের নিচে তাঁবু খাটিয়ে থাকার খবর প্রকাশিত হয়েছিল । এরপর আজ শ্রমিকদের কাছে গিয়ে সাহায্য করলেন রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি ।
গ্রামে ফিরেও বাড়ি থেকে ব্রাত্য পরিযায়ী শ্রমিকেরা । বাড়ির চৌকাঠে পা না দিতে পেরে কেউ বা গ্রামের কাছে নদীর ধারে তাবু খাটিয়েছেন । কেউ থাকছেন নৌকোতে । আবার কিছু শ্রমিকের ঠাঁই হয়েছে গ্রামের ধারে ফাঁকা মাঠে । খোলা আকাশের নীচে তাঁবু খাটিয়ে রিপোর্ট আসার অপেক্ষা করছেন সকলেই । পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে থেকে কাজ করে এসে বাড়িতে ঢোকার জায়গায় থাকছেন তাঁবু খাটিয়ে । কখনও তীব্র ঝড় জলে ভিজে রাত কাটাচ্ছেন । কখনও নদীর হাওয়ায় বারবার নিভে যাওয়া হারিকেন সামলে কাটছে রাত । কবে আসবে তাদের রিপোর্ট তাই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা । যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, তাঁরাও শ্রমিকদের কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকতে বলছিলেন ৷ কিন্তু বাড়ির কাছাকাছি থাকার উদ্দেশে এভাবে তাঁবু খাটিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকছেন তাঁরা ।
গতকাল তাঁদের এই অবস্থার কথা প্রকাশিত হয়েছিল ৷ এরপরই আজ রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মানস ঘোষ তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন ৷ পাশাপাশি, খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করেন ৷ মানস বাবু বলেন, "বাইরে থেকে আসা শ্রমিকরা বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁবু খাটিয়ে বাড়ির বাইরে রয়েছেন । গ্রামের মানুষ ও এই পরিযায়ী শ্রমিকরা সবাই সচেতন যাতে কোনওভাবেই তাদের বা তাদের পরিবারের মধ্যে এই ভাইরাস বাসা বাঁধতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বাড়ির বাইরে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা । তাই এই খবর জানতে পারার পরই আমরা এসে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সামান্য কিছু খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করলাম । যাতে এঁরা স্বাভাবিকভাবে দিন কাটাতে পারেন । "