রায়গঞ্জ, 4 জুন : রাস্তার ধারে ত্রিপলের তলায় পরিযায়ী শ্রমিক রাজু সরকারের রাত্রিবাস। খবরটি ইটিভি ভারতে প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। প্রশাসনিক উদ্যোগে তড়িঘড়ি রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামের কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠানো হয় তাঁকে । পাশাপাশি পৌরসভার উদ্যোগে আজ ওই এলাকা স্যানিটাইজ় করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় রাজু সরকারের অস্থায়ী ঘর।
গত রবিবার রায়গঞ্জ দেবীনগরের বাসিন্দা রাজু সরকার গুজরাত থেকে নিজের বাড়িতে ফেরেন। রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁকে হোম কোয়ারানটিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। রাজুবাবুর পরিবারে একটি বাচ্চা থাকায় তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারে আশ্রয়ের জন্য রাজুবাবু রায়গঞ্জ পৌরসভার 26 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিজিৎ সাহার দ্বারস্থ হন। অভিযোগ, অভিজিৎবাবু রাজুবাবুকে একটি ত্রিপল দিয়ে বাড়ির পাশে ত্রিপল খাটিয়ে থাকার পরামর্শ দেন । এরপর দেবীনগরে রাস্তার ধারে জঙ্গলের পাশে ত্রিপল খাটিয়ে অন্ধকারের মধ্যে থাকতে শুরু করেন রাজুবাবু।
গতকাল এই খবর ইটিভি ভারতে প্রকাশিত হয় । তার জেরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রায়গঞ্জ পৌরসভা রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামের কোয়ারানটিন সেন্টারে রাজুবাবুকে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সংবাদমাধ্যমের এই ভূমিকায় খুশি রাজুবাবু। তিনি জানান, সংবাদমাধ্যম তাঁর পাশে না দাঁড়ালে তিনি সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারে আশ্রয় পেতেন না। সংবাদমাধ্যমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রায়গঞ্জ পৌরসভার পৌরপিতা সন্দীপ বিশ্বাস। স্থানীয় কাউন্সিলর অভিজিৎ সাহা জানান, প্রশাসনিক তৎপরতায় রাজুবাবুকে দ্রুত স্টেডিয়ামে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা নিতাই দাস বলেন, "গতকাল ইটিভি ভারতে খবরটা প্রকাশিত হওয়ার পরই প্রশাসন রাজুবাবুকে কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠিয়েছে। আপনাদের জন্যই সে বেঁচে গেল, না হলে ত্রিপল খাটিয়ে দিনের পর দিন রাস্তায় পড়ে থাকতে হতো ।"