ETV Bharat / state

ক্লান্ত ওঁরাও হন, লকডাউনে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের চা খাওয়াচ্ছেন রায়গঞ্জের গণেশ

লকডাউনে বন্ধ সব চায়ের দোকান । পুলিশকর্মীদের পিপাসা মেটাতে তাই লকডাউনে রোজ চা খাওয়াচ্ছেন তিনি ।

raigunj
পুলিশ কর্মীদের চা দিচ্ছেন গণেশ
author img

By

Published : Apr 6, 2020, 11:21 AM IST

Updated : Apr 6, 2020, 11:59 AM IST

রায়গঞ্জ, 6 এপ্রিল : কোরোনার জেরে লকডাউন দেশে । এই পরিস্থিতিতে সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা । ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকারও । সকলে ঘরে থাকলেও ঘরে নেই পুলিশ বা স্বাস্থ্যকর্মীরা । মানুষের সেবায় দিনরাত এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণকে উপেক্ষা করে কাজ করে চলেছেন তাঁরা । এই অবস্থায় দিনরাত লড়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর উদ্দেশে । বিপরীতে কোথাও মার, কোথাও গালিগালাজ, কোথাও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের । কিন্তু রায়গঞ্জে দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র । লকডাউনে রাস্তায় চায়ের দোকান বন্ধ হওয়ায় কোথায় চা পাবেন পুলিশকর্মীরা ? এই ভেবেই প্রতিদিন সন্ধেয় পুলিশকর্মীদের বিনামূল্যে চা খাওয়াচ্ছেন গণেশ সাহা নামে এক ব্যক্তি । সঙ্গে দিচ্ছেন বিস্কুটও । সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে সন্ধেয় এটুকুই অনেক, বলছেন পুলিশকর্মীরাও ।

লকডাউনেও নিস্তার নেই পুলিশকর্মীদের । প্রত্যহ একই নিয়মে কাজ করে চলেছেন ওঁরা । তাঁদেরও পরিবার আছে । কিন্তু মানুষের সেবায় ছুটি নেওয়ার বালাই নেই । ফলে দিনরাত ডিউটি করছেন ওঁরা । এই পরিস্থিতিতে ডিউটি বেড়েছে আরও বেশি । সময়ও বেড়েছে । দিনরাত রোদে, জলে কাজ করা মানুষগুলোকে তাও কোথাও গালি-গালাজ, কোথাও মারধর, কোথাও চড়-থাপ্পড় খেতে হচ্ছে । কিন্তু রায়গঞ্জে এর একদম উলটো চিত্র দেখা গেল । পুলিশকর্মীদের কথা ভেবে গণেশ সাহা বিলি করে চলেছেন চা । প্রতিদিন সন্ধে 6 টার পর রায়গঞ্জের রেলগুমটি এলাকায় চা নিয়ে চলে আসেন তিনি । কাগজের কাপে চা তুলে দেন পুলিশকর্মীদের হাতে । সঙ্গে বিস্কুট ।

রায়গঞ্জ রেলগুমটি এলাকার বাসিন্দা গণেশ সাহা । সেখানেই তাঁর একটি একটি ছোট্ট ভাতের হোটেল রয়েছে । লকডাউনের জেরে বর্তমানে হোটেলটি বন্ধ । তাই বাড়িতেই থাকেন তিনি । বাড়ির জানালায় বসে পুলিশকর্মীদের কাজ দেখেন । তিনি লক্ষ্য করেন, বিকেলে চায়ের জন্য তাঁরা এদিক ওদিক দোকান খোঁজেন । কিন্তু চায়ের দোকান তো প্রশাসনের নির্দেশেই বন্ধ । এই অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তাহলে চা পাবেন কোথা থেকে? এই বিষয়টি মাথায় আসার পরই লকডাউনের তৃতীয় দিন থেকে লাল চা ও বিস্কুট বিলি শুরু করেন । কাগজের কাপে নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে চা পরিবেশন করেন তিনি । প্রথম প্রথম পুলিশকর্মীরা তাঁকে টাকা দিতে চাইলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পুলিশকর্মীদের পাশে থাকতেই এই কাজ করছেন । গণেশের পাশাপাশি তাঁর দাদাও মাঝে মাঝে একাজ করেন ।

এবিষয়ে গণেশ বলেন, "প্রতিদিনই খাটতে দেখছি ওঁদের । লকডাউনের সময় কাজটা আরও কঠিন হয়ে গেছে । আশপাশের চায়ের দোকানগুলো সব বন্ধ থাকায় বিকেলে ক্লান্তি মেটানোর জন্য আমি সামান্য চেষ্টা করি । চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে যে তৃপ্তি ওঁরা পান, সেটাই আমার প্রাপ্য । লকডাউনের তৃতীয় দিন থেকেই আমি একাজ করছি । আর লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত করব ।"

রায়গঞ্জ, 6 এপ্রিল : কোরোনার জেরে লকডাউন দেশে । এই পরিস্থিতিতে সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা । ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকারও । সকলে ঘরে থাকলেও ঘরে নেই পুলিশ বা স্বাস্থ্যকর্মীরা । মানুষের সেবায় দিনরাত এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণকে উপেক্ষা করে কাজ করে চলেছেন তাঁরা । এই অবস্থায় দিনরাত লড়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর উদ্দেশে । বিপরীতে কোথাও মার, কোথাও গালিগালাজ, কোথাও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের । কিন্তু রায়গঞ্জে দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র । লকডাউনে রাস্তায় চায়ের দোকান বন্ধ হওয়ায় কোথায় চা পাবেন পুলিশকর্মীরা ? এই ভেবেই প্রতিদিন সন্ধেয় পুলিশকর্মীদের বিনামূল্যে চা খাওয়াচ্ছেন গণেশ সাহা নামে এক ব্যক্তি । সঙ্গে দিচ্ছেন বিস্কুটও । সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে সন্ধেয় এটুকুই অনেক, বলছেন পুলিশকর্মীরাও ।

লকডাউনেও নিস্তার নেই পুলিশকর্মীদের । প্রত্যহ একই নিয়মে কাজ করে চলেছেন ওঁরা । তাঁদেরও পরিবার আছে । কিন্তু মানুষের সেবায় ছুটি নেওয়ার বালাই নেই । ফলে দিনরাত ডিউটি করছেন ওঁরা । এই পরিস্থিতিতে ডিউটি বেড়েছে আরও বেশি । সময়ও বেড়েছে । দিনরাত রোদে, জলে কাজ করা মানুষগুলোকে তাও কোথাও গালি-গালাজ, কোথাও মারধর, কোথাও চড়-থাপ্পড় খেতে হচ্ছে । কিন্তু রায়গঞ্জে এর একদম উলটো চিত্র দেখা গেল । পুলিশকর্মীদের কথা ভেবে গণেশ সাহা বিলি করে চলেছেন চা । প্রতিদিন সন্ধে 6 টার পর রায়গঞ্জের রেলগুমটি এলাকায় চা নিয়ে চলে আসেন তিনি । কাগজের কাপে চা তুলে দেন পুলিশকর্মীদের হাতে । সঙ্গে বিস্কুট ।

রায়গঞ্জ রেলগুমটি এলাকার বাসিন্দা গণেশ সাহা । সেখানেই তাঁর একটি একটি ছোট্ট ভাতের হোটেল রয়েছে । লকডাউনের জেরে বর্তমানে হোটেলটি বন্ধ । তাই বাড়িতেই থাকেন তিনি । বাড়ির জানালায় বসে পুলিশকর্মীদের কাজ দেখেন । তিনি লক্ষ্য করেন, বিকেলে চায়ের জন্য তাঁরা এদিক ওদিক দোকান খোঁজেন । কিন্তু চায়ের দোকান তো প্রশাসনের নির্দেশেই বন্ধ । এই অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তাহলে চা পাবেন কোথা থেকে? এই বিষয়টি মাথায় আসার পরই লকডাউনের তৃতীয় দিন থেকে লাল চা ও বিস্কুট বিলি শুরু করেন । কাগজের কাপে নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে চা পরিবেশন করেন তিনি । প্রথম প্রথম পুলিশকর্মীরা তাঁকে টাকা দিতে চাইলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পুলিশকর্মীদের পাশে থাকতেই এই কাজ করছেন । গণেশের পাশাপাশি তাঁর দাদাও মাঝে মাঝে একাজ করেন ।

এবিষয়ে গণেশ বলেন, "প্রতিদিনই খাটতে দেখছি ওঁদের । লকডাউনের সময় কাজটা আরও কঠিন হয়ে গেছে । আশপাশের চায়ের দোকানগুলো সব বন্ধ থাকায় বিকেলে ক্লান্তি মেটানোর জন্য আমি সামান্য চেষ্টা করি । চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে যে তৃপ্তি ওঁরা পান, সেটাই আমার প্রাপ্য । লকডাউনের তৃতীয় দিন থেকেই আমি একাজ করছি । আর লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত করব ।"

Last Updated : Apr 6, 2020, 11:59 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.