ETV Bharat / state

কোরোনা রুখতে বন্ধ লিফট রায়গঞ্জের আবাসনে

সংবাদপত্র-বিক্রেতা হোক বা বাড়ির পরিচারিকা, বর্তমানে কাউকেই এই আবাসনের ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না । বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লিফটও । যাতে কোনোভাবেই লিফটের মাধ্যমে সংক্রমণ না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা ।

COVID 19
ছবি
author img

By

Published : May 3, 2020, 1:08 PM IST

রায়গঞ্জ, 3 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে । সর্বত্রই নানা ধরনের বিধিনিষেধ রয়েছে । তা সত্ত্বেও এই লকডাউন পরিস্থিতিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনের কাল ঘাম ঝরছে । কিন্তু রায়গঞ্জের আবাসনগুলির ছবি কিন্তু অনেকটাই সন্তোষজনক । প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে আবাসন কমিটিগুলি । একাধিক আবাসনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লিফট । স্যানিটাইজ়েশন নিয়েও কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে আবাসনগুলিতে ।

লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই রায়গঞ্জের উকিলপাড়ার এক আবাসনে পুরোপুরিভাবে বাইরের লোকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । আত্মীয়-স্বজন হোক বা বন্ধু-বান্ধব, কাউকেই আবাসনের ঢুকতে দেওয়ার হচ্ছে না । যারা অতি প্রয়োজনে বাইরে বেরোচ্ছেন, তাদেরও আবাসনে ঢোকার আগে নিতে হচ্ছে একাধিক ব্যবস্থা । স্যানিটাইজ়ার দিয়ে নিজেকে পরিষ্কার করে তবেই ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে আবাসনে সিকিউরিটি গার্ড । অচেনা লোকেদের আবাসনের ত্রিসীমানায় ঘেষার জো নেই ।

আবাসন প্রায় 50 টি পরিবারের বাস । বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত আবাসিকরা লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই পুরোপুরিভাবে নিজেদেরকে বাইরের পৃথিবীর থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন । সংবাদপত্র-বিক্রেতা হোক বা বাড়ির পরিচারিকা, বর্তমানে কাউকেই এই আবাসনের ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না । বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লিফটও । যাতে কোনোভাবেই লিফটের মাধ্যমে সংক্রমণ না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা । আবাসনের ব্যালকনি থেকে নিচে ব্যাগ ফেলে সবজি বিক্রেতাদের থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনছেন আবাসিকরা ।

তবে আবাসনে বাইরে রয়েছে কয়েকজন চিকিৎসকের চেম্বার । সেখানে কিছু মানুষ বাইরে থেকে আসছেন । দিনভর সেখানে থাকছেন এবং যত্রতত্র থুতু ফেলছেন । এই বিষয়টি বর্তমানে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আবাসিকদের । পৌরসভা যদি এই বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ করে, তবে তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে । এমনই মনে করছেন আবাসিকরা ।

আবাসন কমিটির সভাপতি সুজিত বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমরা আবাসিকদের সুরক্ষার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব, সব করছি । কারও অত্যন্ত প্রয়োজন হলে তবেই সে বাড়ির বাইরে যাচ্ছি, না হলে নিজেরা গৃহবন্দী রয়েছি । কোনভাবেই বাইরের লোককে আবাসনের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না ।"

কোরোনা রুখতে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে আবাসন কমিটি ?

আবাসন কমিটির সম্পাদক ধ্রুব পাল বলেন, "আমরা লকডাউনের শুরু থেকেই বাড়ির পরিচারিকা, খববের কাগজ বিক্রেতা থেকে শুরু করে সবাইকেই আবাসনে প্রবেশ করতে নিষেধ করে দিয়েছে । সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।"

আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী বিজয় মুখোপাধ্যায়ের মুখেও একই কথা । বলেন, "আমাকে কমিটি থেকে বলা হয়েছে কোনওভাবেই যাতে বাইরের কেউ এই আবাসনে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে । আমি সেই মোতাবেক সব দিকে নজর রাখি । লিফট বন্ধ রয়েছে। তাই সিঁড়ি ব্যবহার করে উপরে নিজেদের ঘরে যেতে হয় সবাইকে ।"

রায়গঞ্জ, 3 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে । সর্বত্রই নানা ধরনের বিধিনিষেধ রয়েছে । তা সত্ত্বেও এই লকডাউন পরিস্থিতিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনের কাল ঘাম ঝরছে । কিন্তু রায়গঞ্জের আবাসনগুলির ছবি কিন্তু অনেকটাই সন্তোষজনক । প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে আবাসন কমিটিগুলি । একাধিক আবাসনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লিফট । স্যানিটাইজ়েশন নিয়েও কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে আবাসনগুলিতে ।

লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই রায়গঞ্জের উকিলপাড়ার এক আবাসনে পুরোপুরিভাবে বাইরের লোকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । আত্মীয়-স্বজন হোক বা বন্ধু-বান্ধব, কাউকেই আবাসনের ঢুকতে দেওয়ার হচ্ছে না । যারা অতি প্রয়োজনে বাইরে বেরোচ্ছেন, তাদেরও আবাসনে ঢোকার আগে নিতে হচ্ছে একাধিক ব্যবস্থা । স্যানিটাইজ়ার দিয়ে নিজেকে পরিষ্কার করে তবেই ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে আবাসনে সিকিউরিটি গার্ড । অচেনা লোকেদের আবাসনের ত্রিসীমানায় ঘেষার জো নেই ।

আবাসন প্রায় 50 টি পরিবারের বাস । বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত আবাসিকরা লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই পুরোপুরিভাবে নিজেদেরকে বাইরের পৃথিবীর থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন । সংবাদপত্র-বিক্রেতা হোক বা বাড়ির পরিচারিকা, বর্তমানে কাউকেই এই আবাসনের ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না । বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লিফটও । যাতে কোনোভাবেই লিফটের মাধ্যমে সংক্রমণ না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা । আবাসনের ব্যালকনি থেকে নিচে ব্যাগ ফেলে সবজি বিক্রেতাদের থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনছেন আবাসিকরা ।

তবে আবাসনে বাইরে রয়েছে কয়েকজন চিকিৎসকের চেম্বার । সেখানে কিছু মানুষ বাইরে থেকে আসছেন । দিনভর সেখানে থাকছেন এবং যত্রতত্র থুতু ফেলছেন । এই বিষয়টি বর্তমানে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আবাসিকদের । পৌরসভা যদি এই বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ করে, তবে তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে । এমনই মনে করছেন আবাসিকরা ।

আবাসন কমিটির সভাপতি সুজিত বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমরা আবাসিকদের সুরক্ষার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব, সব করছি । কারও অত্যন্ত প্রয়োজন হলে তবেই সে বাড়ির বাইরে যাচ্ছি, না হলে নিজেরা গৃহবন্দী রয়েছি । কোনভাবেই বাইরের লোককে আবাসনের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না ।"

কোরোনা রুখতে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে আবাসন কমিটি ?

আবাসন কমিটির সম্পাদক ধ্রুব পাল বলেন, "আমরা লকডাউনের শুরু থেকেই বাড়ির পরিচারিকা, খববের কাগজ বিক্রেতা থেকে শুরু করে সবাইকেই আবাসনে প্রবেশ করতে নিষেধ করে দিয়েছে । সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।"

আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী বিজয় মুখোপাধ্যায়ের মুখেও একই কথা । বলেন, "আমাকে কমিটি থেকে বলা হয়েছে কোনওভাবেই যাতে বাইরের কেউ এই আবাসনে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে । আমি সেই মোতাবেক সব দিকে নজর রাখি । লিফট বন্ধ রয়েছে। তাই সিঁড়ি ব্যবহার করে উপরে নিজেদের ঘরে যেতে হয় সবাইকে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.