রায়গঞ্জ, 11 জুলাই : গৃহবধূকে মারধর করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের নরম কলোনি গ্রামে । মৃতা গৃহবধূর নাম মিনতি দাস (25) । ঘটনায় স্বামী সাধন দাস ও শাশুড়ি মমতা দাসকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ।
বছর ছয় আগে রায়গঞ্জ থানা এলাকার মিনতি দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় মালদার চাঁচলের বাকিপুর গ্রামের বাসিন্দা সাধন দাসের । তাঁদের চার বছর ও তিন মাসের দুই মেয়েও রয়েছে ৷ মিনতির বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ, বিয়ের দেড় বছর যেতে না যেতেই এক লাখ টাকা পণের দাবিতে মিনতির উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে স্বামী সাধন-সহ শ্বশুরবাড়ি লোকেরা । বাবার কাছ থেকে এক লাখ টাকা আনার জন্য মিনতিকে চাপ দিতে থাকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ৷
মেয়ের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে দু'দফায় ত্রিশ হাজার টাকা পাঠান মিনতির বাবা ৷ কিন্তু তার পরও পুরো এক লাখ টাকা না পাওয়ায় তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার ও মারধর শুরু করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকেরা ৷ এই কারণে দুই মেয়েকে নিয়ে গত এক মাস ধরে বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন মিনতি । চলতি মাসের 8 তারিখে স্বামী সাধন দাস-সহ ভাসুর সদা দাস ও জা এসে মিনতিকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ । মিনতির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীদের আসতে দেখেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তারা ।
আরও পড়ুন : চা বাগানের দখল নিয়ে লড়াই, গুলিবিদ্ধ বালক
গুরুতর জখম অবস্থায় মিনতিকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয় । খবর পেয়ে শনিবার সকালে চাঁচল থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকেরা মিনতির বাড়ি এলে মৃতা গৃহবধূ মিনতির মা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর শাশুড়িকে মারধর করে । ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ । মৃত মিনতির স্বামী সাধন দাস ও শাশুড়ি মমতা দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় । এই ঘটনায় মিনতির বাবা বিমল দাস তাঁর জামাই সাধন দাস-সহ শ্বশুরবাড়ি সাতজনের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয় । গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ।