রায়গঞ্জ, 4 জুন : বৃষ্টির জলে খলসি ঘাটের বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় উত্তর দিনাজপুরের শেরপুর অঞ্চলের সঙ্গে রায়গঞ্জ শহরের সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৷ জেলা পরিষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অর্থের অভাবে পাকা সেতু নির্মাণ করা যাচ্ছে না ৷ তবে আগামী বর্ষার পর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হতে পারে ৷ তাই আপাতত ওই এলাকার মানুষকে কষ্ট করেই শহরে যাতায়াত করতে হবে বলে জানিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সদস্য পূর্ণেন্দু দে ৷
উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদর হল রায়গঞ্জ ৷ রায়গঞ্জ ব্লক থেকে শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দূরত্ব মাত্র 10 থেকে 15 কিলোমিটার ৷ এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী ৷ বাকিরা শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান ৷ এই এলাকার মানুষকে কুলিক নদী পার করে শহরে আসতে হয় ৷ নদীর উপর কোনও পাকা সেতু না থাকায় গ্রামের মানুষ বাঁশের সাঁকো তৈরি করেই এতদিন যাতায়াত করতেন ৷
নদীতে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবিতে গত বিধানসভা নির্বাচনে স্থানীয় বাসিন্দারা ভোট বয়কট করেছিলেন। এলাকাবাসীর এমন কড়া সিদ্ধান্তে প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসলেও ভোট পেরিয়ে যাওয়ার পর আবারও সব চুপচাপ ৷ পাকা সেতু নির্মাণের জন্য আর কোনও পদক্ষেপই করেনি প্রশাসন ৷
এদিকে, ভারী বৃষ্টির কারণে বাঁশের সাঁকোটি গত মঙ্গলবার ভেঙে যায় ৷ ফলে ওই এলাকার মানুষকে প্রাণ হাতে নদী পারাপার করতে হচ্ছে ৷ ডিঙি নৌকায় নদী পেরোচ্ছেন তাঁরা ৷ শিশু থেকে মহিলা কিংবা প্রবীণ, ভুগতে হচ্ছে সকলকেই ৷ আর যাঁরা সেটা করতে পারছেন না, তাঁরা শহরে যাতায়াতও করতে পারছেন না ৷ আর না হলে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে লম্বা ঘুরপথে ৷
এই অবস্থায় শেরপুর অঞ্চলের লাইনপাড়া, খোঁকসা, ঘোড়াডাঙ্গি-সহ অসংখ্য গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছেন ৷ যেখানে 10 কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে রায়গঞ্জ শহর, ঘুরপথে দূরত্ব বেড়ে হচ্ছে প্রায় 25 থেকে 30 কিলোমিটার ৷
আরও পড়ুন : খাল সংস্কারের জেরে দাসপুরে ভেঙে পড়ল 61টি দোকান
তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সদস্য পূর্ণেন্দু দে জানিয়েছেন, সেতু নির্মাণের জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ৷ প্রয়োজনীয় নথিপত্রও পাঠানো হয়েছে ৷ তাঁর দাবি বর্ষার পর এই সেতু নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হবে ৷