হাড়োয়া, 23 জুলাই : আদিবাসী যুবতিকে গণধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল ৷ আজ সকালে রাস্তার ধার থেকে হাত-পা বাঁধা ও অর্ধনগ্ন অবস্থায় ওই যুবতিকে উদ্ধার করা হয় ৷ অভিযোগ, ওই যুবতিকে গণধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে ফেলে দিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা ৷ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি ৷ অবস্থা সংকটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর ৷ টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে স্থানীয়রা ৷ হাড়োয়ার 1 নম্বর গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুন্সিঘেরির ছয়ানি বাজার এলাকার ঘটনা ৷
আজ সকালে এলাকার একটি মাছের ভেড়ির আলাঘরের পাশে রাস্তার ধারে 27 বছর বয়সি ওই আদিবাসী যুবতিকে হাত-পা বাঁধা ও অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার কয়েকজন । খবর দেওয়া হয় হাড়োয়া থানায় ৷ পুলিশ এসে ওই আদিবাসী যুবতিকে উদ্ধার করে হাড়োয়া হাসপাতালে ভরতি করে ৷ বর্তমানে সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই যুবতি ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ছয়ানি বাজার এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলছিল ৷ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গতকাল গভীর রাতে এলাকায় বোমাবাজি করে একদল দুষ্কৃতী ৷ তখন ভয়ে এলাকার অনেকেই ঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায় ৷ গতরাতে ওই আদিবাসী যুবতির স্বামীও ঘর ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে ৷ তাঁকে খুঁজতে বাইরে বের হন ওই যুবতি ৷ অভিযোগ, তখনই তাঁকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা ৷ একটি ভেড়ির আলাঘরের মধ্যে ওই যুবতিকে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ করে তারা ৷ তারপর রাস্তার ধারে ফেলে রেখে যায় ৷
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ পুলিশ ঘটনাস্থানে এলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা ৷ এই ঘটনায় চার যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাড়োয়া থানার OC বাপ্পাদিত্য মিত্র ৷