বারাসত, 4 ডিসেম্বর : পোষ্যর খোঁজে পোস্টার । খুঁজে পেলে পুরস্কার 10 হাজার টাকা । বারাসতের সোমা গঙ্গোপাধ্যায়ের পুকু(বিড়াল)-কে খুঁজতে এভাবেই শুরু হয়েছে প্রচার ।
থানার পুলিশ কর্মীরা সকলেই তখন কাজে ব্যস্ত । হঠাৎই এক মহিলা থানায় এসে তাঁর পোষ্য বিড়ালকে খুঁজে দেওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি করছেন । প্রথমে কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকাই খেয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা । পরে মহিলাকে বসিয়ে জানতে চাওয়া হয় বিষয়টি । তখন তিনি বলেন, 26 নভেম্বর থেকে তাঁর একমাত্র পোষ্য বিড়ালটি নিখোঁজ । বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরও তার কোনও সন্ধান না পাওয়ায় সাহায্য চাইতে এসেছেন । মহিলার আবদারে সমস্যায় পড়েন পুলিশ কর্মীরা । তাদের পরামর্শে, থানা চত্বরে পোষ্যের সন্ধানে বেশ কয়েকটি পোস্টার সাঁটান সোমাদেবী ।
স্কুল শিক্ষিকা সোমা গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি বারাসতের মিত্র পাড়ায় । স্বামী ও মেয়ে ছাড়াও বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে পোষ্য একটি বিড়াল রয়েছে তাঁর । চাকরি সূত্রে রোজ সকালে হাওড়ার পাঁচলা যেতে হয় । রোজকার মতো ২৬ নভেম্বরও গেছিলেন স্কুল । কিন্তু বাড়ি ফিরে পোষ্য বিড়ালকে আর দেখতে পাননি তিনি । তারপর থেকেই কার্যত নাওয়া- খাওয়া ভুলে বিভিন্ন জায়গায় পোষ্যের খোঁজ শুরু করেছেন তিনি । কিন্তু,কোথাও সন্ধান না মেলায় শেষে গতকাল বিকালে বারাসাত থানার দ্বারস্থ হন সোমাদেবী ।
তিনি বলেন, "ও শুধু আমার পোষ্য বিড়াল নয়, মেয়ের মতো । আমি যতক্ষণ না ঘুমোতে যাব, ততক্ষণ ও জেগে থাকবে । আবার স্কুলে যাওয়ার সময় বাড়ির গেটের বাইরে এসে বসে থাকবে । ও যদি এতটা বোঝে, তাহলে আমি ওর সন্ধানের জন্য এটুকু করতে পারব না ? ওর সন্ধানে আমি পাড়াতে পোস্টার লাগিয়েছি । আজ পুলিশের পরামর্শে থানা চত্বরে পোস্টার লাগালাম । পুলিশকর্মীদের কাছে আমি আবেদন করেছি, ওর সন্ধানে যদি পুলিশ কুকুর ব্যবহার করা যায় । ওনারা আমাকে বলেছেন এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলতে হবে । ওর সন্ধানে আমি যতদূর যাওয়ার যাব ।"