আমডাঙ্গা, 30 অক্টোবর: বাকিবুরে রহমানের আরও সম্পত্তির হদিস মিলল আমডাঙায় ৷ সাধনপুর পঞ্চায়েত এলাকার সাধনপুর মৌজায় প্রায় 560 কাঠা জমির হদিস মিলল ৷ পার্শ্ববর্তী আদহাটা পঞ্চায়েতের দাদপুর এলাকায় গৌড়বঙ্গ রোডের ধারে নতুন করে পাঁচিল দেওয়া 100 মিটারের মধ্যে আরও 260 কাঠা জমির হদিস পাওয়া গেল। পাঁচ বিঘা ও আট বিঘা দুটি পাঁচিল দেওয়া জমির হদিসও মিলেছে। আর এই সব জমি, সম্পত্তিই বাকিবুর রহমানের বলে দাবি করা হচ্ছে ৷
স্থানীয়দের দাবি ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া-এর গোডাউনের নাম করে কম দামে জমি কেনেন বাকিবুর রহমান ৷ স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। মাঝে মধ্যেই কিছু মানুষের আনাগোনা লক্ষ করা যায় বলেও দাবি স্থানীয়দের। সেই জমির পাঁচিলের ভিতরে সাধারণ কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না বলেও দাবি করছেন স্থানীয়রা ৷ এলাকাবাসীদের দাবি, আদতে বাকিবুরের নামে থাকলেও অলিখিতভাবে এই সবই রাজ্য়ের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জমি পাহারাদারের দাবি, জমি কেনার পর শুরু হয় মাটি ভরাটের কাজ। আমডাঙার এই জমিতে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি করে অনেকেই আসতেন বলেও স্থানীয়দের দাবি।
গত 13 অক্টোবর 53 ঘণ্টা অভিযানের পর বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভিনরাজ্যের জালিয়াতির টাকা ঘুরপথে রাইসমিলে খাটাতেন তিনি। রাজারহাট ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেফতার করা হয় বাকিবুর রহমানকে। তার আগে টানা তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল বাকিবুরকে ৷ হেভিওয়েট মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত বাকিবুর রহমান। বাকিবুর রহমানের ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ নথি উদ্ধার করেছে ইডি। একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে যোগসূত্রও মিলেছে বলে দাবি।
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র অফিসে যেতেন বাকিবুর, দাবি মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বাকিবুরের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হিসাব সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট কোনও তথ্য দিতে পারেননি। জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে বলেও দাবি ইডি'র। বাকিবুরের বাড়ি, হোটেল, বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশিও চালায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মোট 100 কোটির সম্পত্তি রয়েছে বাকিবুর রহমানের। এই বিপুল সম্পত্তির উৎস কী, তা বার বার জানতে চান তদন্তকারীরা। কিন্তু তাঁর জবাবে অসংগতি মেলে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ নথি। যদিও বাকিবুরের দাবি, তিনি কোনও দুর্নীতি করেননি।