দেগঙ্গা, 13 অক্টোবর: শেয়ালের উপদ্রবে অতিষ্ঠ উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা । ইতিমধ্যেই শেয়ালের কামড়ে জখম হয়েছেন অন্তত 12 জন গ্রামবাসী । আক্রান্তরা সকলেই দেগঙ্গার হাদিপুর সিংহের আঁটি এবং কালীতলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে । জখমদের মধ্যে শিশু, মহিলারাও রয়েছেন । কারও পিঠে আঘাত লেগেছে । শেয়ালের হামলায় আবার কারও হাত-পা এবং মুখ জখম হয়েছে মারাত্মকভাবে । এদের অধিকাংশরই চিকিৎসা চলছে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর ও হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ।
ঘটনাটি বন দফতর এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে । শেয়াল ধরতে খাঁচা পাতার কথা ভাবছেন বন দফতরের আধিকারিকরা । জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শেয়ালের উপদ্রব বেড়েছে দেগঙ্গার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে । রাত-বিরেতে শেয়ালের আক্রমণের ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন হাদিপুর, সিংহেরআটি, শানপুকুর ও কালীতলা এলাকার বাসিন্দারা । আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরতে পারছেন না তাঁরা । দৈনন্দিন কাজকর্মও প্রায় লাটে উঠেছে । শেয়ালের তাণ্ডবে রীতিমতো আতঙ্কিত বাসিন্দারা । এর জেরে কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে তাঁদের (villagers in fear due to attack of Fox in Deganga)।
আরও পড়ুন: হাতি তাড়ানো ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে নয়াগ্রামে পথ অবরোধে গ্রামবাসীরা
এই পরিস্থিতিতে এই প্রাণীর আক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে হাতে বাঁশ, লাঠিসোটা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন গ্রামের লোকজন । শুরু হয়েছে রাত জেগে পাহারা দেওয়ার কাজও (Fear of Fox) । স্থানীয়দের কথায়, শুধু বাইরে বেরলেই আক্রমণ করছে না শেয়ালের দল । সটান বাড়ির ভিতর ঢুকেও হামলা চালাচ্ছে তারা । ভয়ে গ্রামবাসীরা কার্যত সিঁটিয়ে রয়েছেন । বাইরে বেরনোর আগে দু'বার ভাবতে হচ্ছে তাঁদের (Deganga Fox attack) ।
এই বিষয়ে আরিফুল মণ্ডল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,"শেয়ালের হামলা থেকে রেহাই মিলছে না ছোট থেকে বড় কারোরই । এই অবস্থায় প্রশাসনের উচিত বিষয়টির সুরাহা করা । নইলে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হতে পারে"। হাদিপুর ঝিকরা 1 নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান হারান দাস বলেন, "বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসন ও বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে । সমস্যা সুরাহা করার চেষ্টা চলছে । আশা করা যায়, কোনও না কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে"।