বাগদা, 30 জুন : অনাস্থা ভোট চলাকালীন শিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে 144 ধারা ও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জমায়েত, ঘিরে বিতর্কে বাগদার শিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েত । আর এ বিষয়ে দায় এড়াতে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । আর এর মাঝে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি ।
মঙ্গলবার বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির শিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা ভোট ছিল । বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তৃণমূলের সদস্যরা । গতকাল 12 টা থেকে শুরু হয় অনাস্থা ভোট । এই ভোটে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পঞ্চায়েতের 100 মিটারের মধ্যে জারি করা হয়েছিল 144 ধারা । মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ ও র্যাপ ।
বেলা 12.30 টা পর্যন্ত পঞ্চায়েত কার্যালয়ে কোনও বিজেপি সদস্য় আসেননি ৷ এই পরিস্থিতিতে উপস্থিত 14 জন সদস্য নিশ্চিত হয়ে যান যে পঞ্চায়েত এবার তৃণমূলের দখলে ৷ দীর্ঘদিন পর পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় আসায় 144 ধারা লঙ্ঘন করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জমায়েত করেন পঞ্চায়েত সমিতির সামনে ৷ সঙ্গে চলে আবির খেলা, স্লোগান ৷
আরও পড়ুন : মমতার পর হাইকোর্টে জিতেন্দ্র, ভোট পুনর্গণনার দাবিতে মামলা
বেলা 1টা নাগাদ এই সমাবেশে হাজির হন তৃণমূল নেতা তথা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা ব্লকের প্রার্থী পরিতোষ সাহা, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি গোপা রায় । তাঁদের উপস্থিতিতে তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা । খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাগদার এসডিপিও নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পঞ্চায়েতের সামনে থেকে তৃণমূল সমর্থকদের সরিয়ে দেন ।
এর পরই প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল । তৃণমূল নেতা পরিতোষ সাহার দাবি গোপা রায় আইন ভেঙে এই জমায়েত করেছেন, যা দলের নীতির বিরুদ্ধে ৷ পাশাপাশি তিনি দাবি করেন গোপা রায় বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেননি। অন্যদিকে পরিতোষ সাহার অভিযোগের পাল্টা জবাবে গোপা রায় দাবি করেন, "পরিতোষ বাবুর মেন্টাল প্রবলেম আছে। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পঞ্চায়েতের সামনে জমা হয়েছিলেন । তাঁদের এই আবেগকে কী করে আটকাব ? আড়াই বছর পর এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল ৷"
আর স্থানীয় বিজেপি নেতা অমৃত বিশ্বাসের দাবি, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে প্রকাশ্যে দুর্নীতিগ্রস্ত বলতে পারেন, সেখানে এটা হতে পারে ৷ আর পুলিশ শাসকের দাসে পরিণত হয়েছে ৷