গাইঘাটা (উত্তর 24 পরগনা), 25 জুন : অনাস্থা ভোট হারলেন গাইঘাটার শিমুলপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান কণা গুহ ৷ তবে, শুক্রবার এই অনাস্থা ভোটে অংশ নেয়নি বিরোধী বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য এবং কণা গুহ নিজে ৷ তিনি গত 23 জুন শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আগেই পদত্যাগ করেছিলেন ৷ কিন্তু, তা সত্ত্বেও আজ প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হয় ৷ যেখানে 11-0 ভোটে অনাস্থা ভোটে হারেন পঞ্চায়েত প্রধান ৷
শিমুলপুর গ্রামপঞ্চায়েতে 20টি আসন ৷ যেখানে গত পঞ্চায়েত ভোটে 13টি আসন পেয়ে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল ৷ বাকি 7টি আসন জেতে বিজেপি ৷ পরবর্তী সময়ে এক তৃণমূল সদস্য পদত্যাগ করেন ৷ সমস্যার শুরু হয় বিধানসভা ভোটের সময় গাইঘাটার তৃণমূল প্রার্থী বাছাই নিয়ে ৷ প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা কণা গুহ-র স্বামী ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ ৷ তখনই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূলের বাকি 11 জন সদস্য ৷ তবে, বিধানসভা নির্বাচন থাকায় সেই প্রস্তাব খারিজ হয় ৷ তৃণমূল বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর ফের একবার তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করে পঞ্চায়েতে 11 জন সদস্য ৷
আজ সেই অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে তৃণমূলের 11 জন সদস্য ছাড়া বিরোধী কোনও সদস্য হাজির ছিলেন না ৷ এমনকি গত 23 জুন প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় কণা গুহ নিজেও অনাস্থা ভোটে হাজির হননি ৷ ফলে 11-0 ভোটে হারতে হয়েছে তাঁকে ৷ এ নিয়ে শিমুলপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান জানিয়েছেন, তিনি আগেই ইস্তফা দিয়েছেন ৷ তাই অনাস্থা ভোটে তাঁর থাকা বা না থাকার কোনও মানে হয় না ৷
আরও পড়ুন : নবদ্বীপে বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল
তবে, পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁর স্বামী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরেই কণা গুহ নিজেও বিজেপির হয়ে কাজ করতে শুরু করেছিলেন ৷ তাই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল ৷ এবার স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে শিমুলপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান বাছাই করা হবে ৷