কলকাতা ও শাসন, 18 অগস্ট: আরও একবার বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশের এসটিএফ (Special Task Force of Kolkata Police) । উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে গ্রেফতার হল দুই জঙ্গি । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ট ফোর্সের গোয়েন্দারা উত্তর 24 পরগনার শাসন থানা এলাকা থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল (STF Arrested Two Persons on Suspicion of being Associated with Al Qaeda Terrorist Organization)। ধৃতদের নাম আব্দুর রকিব সরকার এবং কাজি আহ সান উল্লাহ । ভবানী ভবন সূত্রের খবর, ধৃতরা প্রত্যেকেই আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে । এভাবে স্লিপার সেলের সন্ধান পাওয়া বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে ।
সূত্রের খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গায় নাশকতা মূলক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে । রাজ্য পুলিশের একাধিক থানায় এই দু'জনের নামে লিখিত অভিযোগ রয়েছে । সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য অসমে আল কায়দার বেশ কয়েকজন সদস্যকে পাকড়াও করা হয়েছিল । অসম পুলিশ মারফত খবর পেয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে এসটিএফ । সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গিদের হদিস পেতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে এগোতে থাকেন তদন্তকারীরা । এই দুই জঙ্গির গতিবিধির ওপর নজর রাখাও শুরু হয়।
আরও পড়ুন: রাহুল-আমরিন হত্যায় জড়িত লস্কর জঙ্গি লতিফ সমেত 3 জঙ্গি এনকাউন্টারে বন্দি
বিশেষ সূত্র মারফত বুধবার রাতে তাঁদের কাছে খবর আসে সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গি আব্দুর রকিব সরকার শাসনের খড়িবাড়িতে তারই এক সদস্যের সঙ্গে দেখা করতে আসছে । এরপরই এসটিএফের একটি দল সেখানে ওত পেতে অপেক্ষা করতে থাকে। রাত ন'টা নাগাদ দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে চারদিক ঘিরে ফেলা হয় । ফলে পালানোর কোনও সুযোগ পায়নি তারা । হাতেনাতে ধরা হয় ওই দু'জনকে । রকিবের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর এলাকায় । কাজি আহ সান উল্লাহ-র বাড়ি হুগলি জেলার আরামবাগে ।
আরও পড়ুন: বাটলা হাউস থেকে জঙ্গি সন্দেহে ধৃত ব্যক্তি
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক জেহাদি বই পত্র, প্রচারপত্র, একাধিক ডায়েরি, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, পেনড্রাইভ, একাধিক মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সিম কার্ড-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র । ধৃতদের জেরা করে আর কারা কারা তাদের সঙ্গে এই রাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা । রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন দীর্ঘদিন ধরে এই কাজি আহ সান নামে ব্যক্তিটি কলকাতার তপসিয়া এলাকাতেও থাকছিল । সেখানে আর কার সঙ্গে তার যোগাযোগ গড়ে উঠেছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । এদিকে, ধৃতদের জেরা করে আল কায়দা ইন কন্টিনেটের আরও বেশ কয়েকজন সদস্যের নাম জানা গিয়েছে বলে খবর এসটিএফ সূত্রে । অন্যদিকে, ধৃত দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে নিজেদের হেফাজতে নিতে বৃহস্পতিবার তাদের বারাসত আদালতে পেশ করার কথা এসটিএফের ।