ETV Bharat / state

বারাসত জেলা হাসপাতালে সামাজিক দূরত্ব অমান্য

বারাসত জেলা হাসপাতালে ভরতি রোগীদের দেখতে এসে তাঁদের আত্মীয়-স্বজন কোনও সামাজিক দূরত্ব মানেনি ৷ উলটে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে লাইনে দাঁড়িয়েছিল ৷ এমনকী , হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা এবিষয়ে নজর দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে ।

Barasat
ভিড়
author img

By

Published : Apr 14, 2020, 4:47 PM IST

বারাসত , 14 এপ্রিল : নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না সাধারণ মানুষ ৷ বারবার এমনটাই অভিযোগ উঠছিল । এবার সরকারি হাসপাতালে ভরতি রোগীদের দেখতে আসার ক্ষেত্রেও উঠল একই অভিযোগ । ঘটনা বারাসত জেলা হাসপাতালের । এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই লাইনে দাঁড়িয়ে চলল অসুস্থ পরিজনকে দেখার হিড়িক।



কোরোনা সংক্রমণ রুখতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে আজও সামাজিক দূরত্ব পালনের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বারবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন করেছিলেন । এমনকী , বাইরে বের হলে নাক ও মুখ ঢাকার নির্দেশিকা-ও জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে । কিন্তু,তারপরও নিয়ম ভেঙে বাজারে বিভিন্ন সময়ে ভিড় করেছেন আমজনতা ।এবার সেই দৃশ্যই ধরা পড়ল বারাসত জেলা হাসপাতালে । আজ সকালে হাসপাতালের একেবারে জরুরি বিভাগের সামনে উপচে পড়ে ভিড় । পরিজনদের সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড় করানো হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়নি বলে অভিযোগ ।

এমনকী, হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা এবিষয়ে নজর দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে । ফলে, রোগীর আত্মীয় স্বজন যাঁরাই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন , তাঁদের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব টুকু-ও ছিল না । কিন্তু, এ তো কোরোনা সংক্রমণ ঠেকানোর বদলে উলটে বিপদ ডেকে আনার শামিল ৷ যে বিপদের কথা বিশেষজ্ঞ মহল থেকে চিকিৎসকরা বারবার বলছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও উঠে এসেছে সেই কথা ৷ কিন্তু, তারপরও মানুষের মধ্যে কোথায় সচেতনতা ? কবে আমজনতার হুঁশ ফিরবে ? হাসপাতালই বা কী করছে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে ? এসব প্রশ্নই উঠে আসছে ৷

যদিও, স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের দাবি , "রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের নিয়মিত সচেতন করা হচ্ছে ৷ তাঁদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই রোগীকে দেখতে বলা হচ্ছে । আজ সকালেও তাঁদের বারবার বলা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়াতে । কিন্তু কয়েকজন বুঝেও বুঝতে চাইছেন না ৷ তাঁদের জন্য বিপদে পড়ছেন অন্যান্যরাও ৷"

এদিকে , বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ,"এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না, জানা নেই । বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব । সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমরা সবসময় সচেতন । মানুষের সুরক্ষার দিকে আমরা সবসময় নজর দিয়ে থাকি ৷"

জেলা হাসপাতাল হওয়ায় বারাসত হাসপাতালে চাপ একটু বেশিই থাকে । জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসার জন্য সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন এই হাসপাতালে । তবে,কোরোনা ভাইরাসের জন্য এখন রোগীর চাপ কম থাকলেও , যাঁরা সেখানে আগে থেকেই ভরতি রয়েছেন তাঁদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে । ফলে,দূর-দূরান্তের রোগীর আত্মীয় স্বজনদের অনেকেই হাসপাতালের নাইট শেল্টারে থাকছেন । আবার , যাঁদের যাতায়াত করতে সুবিধা, তাঁরা নিয়মিত রোগী দেখতে হাসপাতালে আসছেন । এই অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ । যার উলটো ছবি ধরা পড়ল বারাসত জেলা হাসপাতালে । যা বিপজ্জনক বলে ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের ।

বারাসত , 14 এপ্রিল : নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না সাধারণ মানুষ ৷ বারবার এমনটাই অভিযোগ উঠছিল । এবার সরকারি হাসপাতালে ভরতি রোগীদের দেখতে আসার ক্ষেত্রেও উঠল একই অভিযোগ । ঘটনা বারাসত জেলা হাসপাতালের । এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই লাইনে দাঁড়িয়ে চলল অসুস্থ পরিজনকে দেখার হিড়িক।



কোরোনা সংক্রমণ রুখতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে আজও সামাজিক দূরত্ব পালনের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বারবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন করেছিলেন । এমনকী , বাইরে বের হলে নাক ও মুখ ঢাকার নির্দেশিকা-ও জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে । কিন্তু,তারপরও নিয়ম ভেঙে বাজারে বিভিন্ন সময়ে ভিড় করেছেন আমজনতা ।এবার সেই দৃশ্যই ধরা পড়ল বারাসত জেলা হাসপাতালে । আজ সকালে হাসপাতালের একেবারে জরুরি বিভাগের সামনে উপচে পড়ে ভিড় । পরিজনদের সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড় করানো হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়নি বলে অভিযোগ ।

এমনকী, হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা এবিষয়ে নজর দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে । ফলে, রোগীর আত্মীয় স্বজন যাঁরাই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন , তাঁদের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব টুকু-ও ছিল না । কিন্তু, এ তো কোরোনা সংক্রমণ ঠেকানোর বদলে উলটে বিপদ ডেকে আনার শামিল ৷ যে বিপদের কথা বিশেষজ্ঞ মহল থেকে চিকিৎসকরা বারবার বলছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও উঠে এসেছে সেই কথা ৷ কিন্তু, তারপরও মানুষের মধ্যে কোথায় সচেতনতা ? কবে আমজনতার হুঁশ ফিরবে ? হাসপাতালই বা কী করছে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে ? এসব প্রশ্নই উঠে আসছে ৷

যদিও, স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের দাবি , "রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের নিয়মিত সচেতন করা হচ্ছে ৷ তাঁদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই রোগীকে দেখতে বলা হচ্ছে । আজ সকালেও তাঁদের বারবার বলা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়াতে । কিন্তু কয়েকজন বুঝেও বুঝতে চাইছেন না ৷ তাঁদের জন্য বিপদে পড়ছেন অন্যান্যরাও ৷"

এদিকে , বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ,"এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না, জানা নেই । বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব । সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমরা সবসময় সচেতন । মানুষের সুরক্ষার দিকে আমরা সবসময় নজর দিয়ে থাকি ৷"

জেলা হাসপাতাল হওয়ায় বারাসত হাসপাতালে চাপ একটু বেশিই থাকে । জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসার জন্য সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন এই হাসপাতালে । তবে,কোরোনা ভাইরাসের জন্য এখন রোগীর চাপ কম থাকলেও , যাঁরা সেখানে আগে থেকেই ভরতি রয়েছেন তাঁদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে । ফলে,দূর-দূরান্তের রোগীর আত্মীয় স্বজনদের অনেকেই হাসপাতালের নাইট শেল্টারে থাকছেন । আবার , যাঁদের যাতায়াত করতে সুবিধা, তাঁরা নিয়মিত রোগী দেখতে হাসপাতালে আসছেন । এই অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ । যার উলটো ছবি ধরা পড়ল বারাসত জেলা হাসপাতালে । যা বিপজ্জনক বলে ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.