বারাসত, 6 অগাস্ট : অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের দিনে উত্তর 24 পরগনার বিভিন্ন জায়গায় যজ্ঞের আয়োজন করা হয় । শুধু যজ্ঞ নয়, সামাজিক দূরত্ব বিধি শিকেয় তুলে জমায়েত, শোভাযাত্রা কিছুই বাদ যায়নি । জেলা সদর বারাসত থেকে বনগাঁ, বসিরহাট ও ব্যারাকপুরে ছিল একই ছবি । যদিও যজ্ঞের উদ্যোক্তাদের দাবি, "আবেগের অনুষ্ঠানে ভিড় এড়ানো যায়নি ।"
উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । সেই একই সময়ে উত্তর 24 পরগনার বারাসত, বনগাঁ, বসিরহাট, ব্যারাকপুর ও হাবড়ায় উৎসাহী BJP কর্মীরা যজ্ঞ করেন । কী রকম ছিল রাম মন্দিরের আবেগ, তার সুলুকসন্ধান করতে ETV ভারত ঢুঁ মারে হাবড়ার শ্রীপুর এলাকার একটি যজ্ঞ অনুষ্ঠানে । উদ্যোক্তারা প্রথমে হাবড়ার চালবাজার এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল । কিন্তু কোরোনা আবহে লকডাউনের কারণে পুলিশ সেখানে অনুষ্ঠান করতে দেয়নি । অবশেষে যুবমোর্চা নেতা সুদীপ্ত কুণ্ডুর বাড়িতে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় । সেখানে গিয়ে দেখা যায়, যজ্ঞের জন্য প্যান্ডেল করা হয়েছে । রাস্তা থেকে যাতে ভিতরের ভিড় যাতে না-দেখা যায়, তার জন্য সামনের কিছুটা জায়গা ঘিরে দেওয়া হয়েছে । ভিতরে বেশ ভিড় ছিল । যজ্ঞ শুরু হতেই সেখানে পৌঁছান BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখর চট্টোপাধ্যায় । তিনি অবশ্য সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে কর্মীদের অনেককে যজ্ঞস্থান থেকে বের করে দেন ।
অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানের সূচনার মুহূর্ত টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি দেখানোরও ব্যবস্থা হয় । শেখরবাবু বলেন, "ভারতবাসীর 500 বছরের দাবি পূরণ হয়েছে । অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হচ্ছে । আবেগের অনুষ্ঠানে আমরা ভিড় সামলাতে পারিনি । তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী ।" গতকাল একইভাবে হাবড়ার 11 নম্বর ওয়ার্ডের নগরথুবা শিমুলতলায়ও যজ্ঞ হয় । সেখানেও কয়েকশো লোকের জমায়েত হয় । যদিও ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা দীপঙ্কর চক্রবর্তীও অবশ্য একই কথা বলেছেন । তিনিও বলেন, "আবেগের অনুষ্ঠানে আমরা ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি । তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী ।"