শাসন , 29 নভেম্বর : বিবিকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনায় বসলেন যুবক । শাসন থানার দাদপুর কামিগাছি এলাকার ঘটনা । ধরনার আগে বিবির খোঁজে শ্বশুরবাড়িতে গেলে সেখানে তাঁকে আক্রান্ত হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে । এরপরই শ্বশুরবাড়ির গেটের সামনে ধরনায় বসেন তিনি । গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ধরনা চালিয়ে যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের আশ্বাসে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় । তবে, বিবিকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত স্বস্তি নেই তাঁর । তাই আশ্বাসের পরেও বাড়ি ফিরে না গিয়ে শ্বশুরবাড়ির এলাকাতেই রয়েছেন তিনি । এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে চম্পট দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ।
শাসনের ফলতির সন্ডালিয়া রেল বস্তিতে থাকেন মোস্তাক আলি । বছর চারেক ধরে মোস্তাকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দাদপুর কামিগাছির এক যুবতির । সামাজিকভাবে তাদের নিকাহ-ও হয়েছিল বলে দাবি মোস্তাকের । নিকাহের পর প্রায় মাস ছ'য়েক মোস্তাকের বাড়িতেই ছিলেন ওই যুবতি । মাঝে মাঝে বাপের বাড়িতেও আসতেন । অভিযোগ , একদিন বাপের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে আর ফিরে আসেনি ওই যুবতি । অনেক চেষ্টা করেও আনা যায়নি তাঁকে । এমনই অভিযোগ মোস্তাকের । শেষে শনিবার বিবিকে ফিরে পেতে সন্ডালিয়া থেকে সোজা শাসনের দাদপুরের শ্বশুরবাড়িতে চলে আসেন মোস্তাক । সেই সময় যুবতি বাড়িতে ছিলেন না । অভিযোগ , মোস্তাক শ্বশুরবাড়িতে গেলে সেইসময় মোস্তাককে মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা । আক্রান্ত হওয়ার পরও নিজের দাবিতে অবিচল থাকেন মোস্তাক । শ্বশুরবাড়ির সামনেই প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনায় বসে পড়েন তিনি । বেলা গড়াতেই সেখানে স্থানীয় মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে । এরই মধ্যে সুযোগ বুঝে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে চম্পট দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ।
এই বিষয়ে মোস্তাক বলেন ,"সামাজিক রীতি মেনে নিকাহ হয়েছিল আমাদের । যেহেতু আমার বাড়ি রেলবস্তি এলাকায় তাই শ্বশুরবাড়ির লোকের পছন্দ ছিল না আমাকে । তাই আমার বিবিকে জোর করে অন্য কোথাও লুকিয়ে রাখা হয়েছে । বিবিকে ফিরে পেতেই ধরনায় বসেছি । সেখানকার স্থানীয় লোকজন রাতের মধ্যে বিবিকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ।সেই কারণে আপাতত ধরনা প্রত্যাহার করলাম ।" অন্যদিকে,এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত কিংবা পুলিশ প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ।