ETV Bharat / state

Poll Official in Dire Straits: 'আমরা অসহায় ! জীবনহানির শঙ্কা নিয়েই যেতে হয় ভোটের কাজে, নইলে শোকজ'

জীবনহানির শঙ্কা নিয়েই তাঁদের যেতে হয় ভোটের কাজে ৷ আর সেখানে না গেলে আবার পড়তে হয় শোকজের মুখে ৷ এমনই অভিযোগ করলেন উত্তর 24 পরগনায় প্রশিক্ষণে আসা ভোটকর্মীরা ৷

Poll Official in Dire Straits
Poll Official in Dire Straits
author img

By

Published : Jun 23, 2023, 7:32 PM IST

জীবনহানির শঙ্কা নিয়েই ভোটের কাজে ভোটকর্মীরা

বারাসত, 23 জুন: "কিছু করার নেই । আমরা অসহায় ! না গেলে তো ভোটকর্মীদেরই শোকজের মুখে পড়তে হবে । তখন আবার চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়বে ।" ভোট প্রশিক্ষণে যোগ দিতে এসে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধির সামনে এভাবেই নিজের অসহায়তার কথা তুলে ধরলেন স্বপন কুমার বনিক নামে রাজ‍্য সরকারের এক কর্মচারী । ভোটের কাজ করতে গিয়ে অনেক সময়ই হিংসার মুখে পড়তে হয় ভোটকর্মীদের ৷ তা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন ভোটকর্মীরা ৷

বারাসত মহকুমার ভোটকর্মীদের নিয়ে গত দু'দিন ধরে প্রশিক্ষণ শিবির চলছে জেলারই সদর শহর বারাসতে । বৃহস্পতিবার থেকে রবীন্দ্র ভবনে চলা সেই প্রশিক্ষণ শিবিরের শেষ দিন ছিল শুক্রবার । সেখানেই প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রবেশের মুখে ইটিভি ভারতের কাছে এ দিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ওই ভোটকর্মী ।

তিনি বলেন, "জীবনের শঙ্কা তো রয়েছেই । তবু আমাদের যেতে হবে ভোট পরিচালনার কাজে । না গেলে আবার রাজ‍্য সরকার 'শোকজ'-চিঠি পাঠাবে । তখন এ কূল-ও যাবে । ও কূল-ও যাবে । এই হয়রানি আমরা চাই না । তাই, ইচ্ছে না থাকলেও চাকরি বাঁচাতে ভোটের কাজে বুথে যেতেই হবে ৷" প্রসঙ্গত, হাবরা শ্রীচৈতন্য কলেজের অশিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন স্বপন কুমার বনিক । দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ভোট পরিচালনার কাজে যুক্ত রয়েছেন । তাই, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা, হানাহানি, গন্ডগোল সবকিছুই প্রত্যক্ষ করেছেন নিজের চোখে ।

আরও পড়ুন: বাহিনী দিতে পারছে না কেন্দ্র, বিজেপি নেতাদের পালটা খোঁচা তৃণমূলের

সেই বিষয়ে প্রবীণ এই সরকারি কর্মী বলেন, "আগেও বহু খুনখারাপি, সন্ত্রাস, গন্ডগোল হয়েছে । তা সত্ত্বেও আমাদের ভোট পরিচালনার কাজে যুক্ত হতে হয়েছে । এ বারও যেতে হবে । কিছু করার নেই । নিরাপত্তার দায়িত্ব তো নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভর করছে ! তাই, ভোটের সময় কোনও অঘটন ঘটলে তাঁর দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনারের উপরই বর্তাবে । কারণ, তাঁর তত্ত্বাবধানেই ভোট পরিচালনার কাজে যাচ্ছি আমরা ৷" ফলে ভোটের কাজে নিযুক্ত কর্মীদের যাবতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনেরই নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ভোটকর্মী স্বপন কুমার বনিক ।

এ দিকে, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনীর গ্রামের ভোটারদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলে তাঁর দাবি । যাতে তাঁরা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন । রবীন্দ্র ভবনের প্রশিক্ষণ শিবিরে এসে আরেক সরকারি কর্মীও ভোটের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন । বিশেষ করে ভোট পরিচালনার কাজে নিযুক্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে । গোবরডাঙা থেকে আসা সলিল দত্ত নামে ওই সরকারি কর্মচারী বলেন, "পরিবার ছেড়ে দূরে ভোটের কাজে যেতে হয় আমাদের । তাই, রাজ‍্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন, ভোট কর্মীদের যেন নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয় । তা না হলে পরিবারকে দুয়ারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়, কখন তিনি বাড়িতে ফিরবেন ।"

জীবনহানির শঙ্কা নিয়েই ভোটের কাজে ভোটকর্মীরা

বারাসত, 23 জুন: "কিছু করার নেই । আমরা অসহায় ! না গেলে তো ভোটকর্মীদেরই শোকজের মুখে পড়তে হবে । তখন আবার চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়বে ।" ভোট প্রশিক্ষণে যোগ দিতে এসে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধির সামনে এভাবেই নিজের অসহায়তার কথা তুলে ধরলেন স্বপন কুমার বনিক নামে রাজ‍্য সরকারের এক কর্মচারী । ভোটের কাজ করতে গিয়ে অনেক সময়ই হিংসার মুখে পড়তে হয় ভোটকর্মীদের ৷ তা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন ভোটকর্মীরা ৷

বারাসত মহকুমার ভোটকর্মীদের নিয়ে গত দু'দিন ধরে প্রশিক্ষণ শিবির চলছে জেলারই সদর শহর বারাসতে । বৃহস্পতিবার থেকে রবীন্দ্র ভবনে চলা সেই প্রশিক্ষণ শিবিরের শেষ দিন ছিল শুক্রবার । সেখানেই প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রবেশের মুখে ইটিভি ভারতের কাছে এ দিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ওই ভোটকর্মী ।

তিনি বলেন, "জীবনের শঙ্কা তো রয়েছেই । তবু আমাদের যেতে হবে ভোট পরিচালনার কাজে । না গেলে আবার রাজ‍্য সরকার 'শোকজ'-চিঠি পাঠাবে । তখন এ কূল-ও যাবে । ও কূল-ও যাবে । এই হয়রানি আমরা চাই না । তাই, ইচ্ছে না থাকলেও চাকরি বাঁচাতে ভোটের কাজে বুথে যেতেই হবে ৷" প্রসঙ্গত, হাবরা শ্রীচৈতন্য কলেজের অশিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন স্বপন কুমার বনিক । দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ভোট পরিচালনার কাজে যুক্ত রয়েছেন । তাই, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা, হানাহানি, গন্ডগোল সবকিছুই প্রত্যক্ষ করেছেন নিজের চোখে ।

আরও পড়ুন: বাহিনী দিতে পারছে না কেন্দ্র, বিজেপি নেতাদের পালটা খোঁচা তৃণমূলের

সেই বিষয়ে প্রবীণ এই সরকারি কর্মী বলেন, "আগেও বহু খুনখারাপি, সন্ত্রাস, গন্ডগোল হয়েছে । তা সত্ত্বেও আমাদের ভোট পরিচালনার কাজে যুক্ত হতে হয়েছে । এ বারও যেতে হবে । কিছু করার নেই । নিরাপত্তার দায়িত্ব তো নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভর করছে ! তাই, ভোটের সময় কোনও অঘটন ঘটলে তাঁর দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনারের উপরই বর্তাবে । কারণ, তাঁর তত্ত্বাবধানেই ভোট পরিচালনার কাজে যাচ্ছি আমরা ৷" ফলে ভোটের কাজে নিযুক্ত কর্মীদের যাবতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনেরই নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ভোটকর্মী স্বপন কুমার বনিক ।

এ দিকে, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনীর গ্রামের ভোটারদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলে তাঁর দাবি । যাতে তাঁরা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন । রবীন্দ্র ভবনের প্রশিক্ষণ শিবিরে এসে আরেক সরকারি কর্মীও ভোটের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন । বিশেষ করে ভোট পরিচালনার কাজে নিযুক্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে । গোবরডাঙা থেকে আসা সলিল দত্ত নামে ওই সরকারি কর্মচারী বলেন, "পরিবার ছেড়ে দূরে ভোটের কাজে যেতে হয় আমাদের । তাই, রাজ‍্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন, ভোট কর্মীদের যেন নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয় । তা না হলে পরিবারকে দুয়ারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়, কখন তিনি বাড়িতে ফিরবেন ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.