ETV Bharat / state

কড়া নিরাপত্তায় আজ ফের বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোট - barasat

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ আজ বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোট । সেজন্য বারাসতে জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বরে তৈরি করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তাবলয় ।

বারাসত জেলাশাসকের কার্যালয়
author img

By

Published : Sep 5, 2019, 10:59 AM IST

বনগাঁ, 5 সেপ্টেম্বর : হাইকোর্টের নির্দেশে আজ ফের বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোট । আদালত উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে অনাস্থা ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে । সেইসঙ্গে পুলিশ সুপার সি সুধাকরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

16 জুলাই অনাস্থা ভোটের দিন বনগাঁয় ব্যাপক সংঘর্ষ হয় । তাই এবার আর নিরাপত্তায় খামতি রাখতে চায় না জেলা প্রশাসন । অনাস্থা ভোট উপলক্ষ্যে বারাসতে জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বর কড়া নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে ।


সকাল 11 টায় অনাস্থা ভোট । তার আগে সকাল ১০টা থেকে জেলাশাসকের কার্যালয়ে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে । এমন কী প্রশাসনিক ভবনে কর্মরত সরকারি কর্মীদেরও আলাদা পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে । তাঁরা কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকছেন । প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তায় চারটি জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছে । প্রত্যেক গেটে কমপক্ষে একজন করে DSP পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন । অনাস্থা ভোটপর্ব শান্তিপূর্ণভাবে মিটে গেলে দুপুর 12টার পর তা শিথিল করা হতে পারে ।


বনগাঁ পৌরসভায় অনাস্থা ভোট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলেছে । পৌরসভায় মোট আসন 22টি । তার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল 19টি । নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন একজন । CPI(M) ও কংগ্রেসের দখলে একটি করে আসন ছিল । নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হয় 20 । জুনে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা পৌরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে বনগাঁর মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করেন । তারপরই 12 জন তৃণমূল কাউন্সিলর দিল্লিতে গিয়ে BJP-তে যোগ দেন । হাইকোর্টের নির্দেশে 16 জুলাই বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোট হয় । ওই দিন ব্যাপক গন্ডগোল হয় । BJP ও তৃণমূল দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করে । মামলা গড়ায় হাইকোর্টে । আদালত দু'তরফের দাবি খারিজ করে দেয় । 26 অগাস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন যে জেলাশাসকের অফিসে অনাস্থা ভোট করাতে হবে । পুলিশ সুপারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে । সেই নির্দেশ অনুযায়ী আজ সকাল 11টায় জেলাশাসকের কার্যালয়ে অনাস্থা ভোট হবে ।

BJP-তে যোগ দেওয়া 5 তৃণমূল কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরে এসেছেন ৷ ফলে তৃণমূলের এখন কাউন্সিলর সংখ্যা 13 ৷ পাশাপাশি কংগ্রেসের সমর্থন পেতে পারে তারা । অর্থাৎ শাসকদলের ঝুলিতে মোটামুটি 14টি ভোট প্রায় নিশ্চিত । BJP সাতজন কাউন্সিলর নিয়েই লড়াই করবে । গেরুয়া শিবির কেবল ক্রস ভোটিংয়ের আশায় বুক বাঁধছে । বাম কাউন্সিলরের গরহাজির থাকার সম্ভাবনাই বেশি ।

এই সংক্রান্ত খবর : বৃহস্পতিবার ফের বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোট

বনগাঁ, 5 সেপ্টেম্বর : হাইকোর্টের নির্দেশে আজ ফের বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোট । আদালত উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে অনাস্থা ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে । সেইসঙ্গে পুলিশ সুপার সি সুধাকরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

16 জুলাই অনাস্থা ভোটের দিন বনগাঁয় ব্যাপক সংঘর্ষ হয় । তাই এবার আর নিরাপত্তায় খামতি রাখতে চায় না জেলা প্রশাসন । অনাস্থা ভোট উপলক্ষ্যে বারাসতে জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বর কড়া নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে ।


সকাল 11 টায় অনাস্থা ভোট । তার আগে সকাল ১০টা থেকে জেলাশাসকের কার্যালয়ে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে । এমন কী প্রশাসনিক ভবনে কর্মরত সরকারি কর্মীদেরও আলাদা পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে । তাঁরা কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকছেন । প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তায় চারটি জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছে । প্রত্যেক গেটে কমপক্ষে একজন করে DSP পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন । অনাস্থা ভোটপর্ব শান্তিপূর্ণভাবে মিটে গেলে দুপুর 12টার পর তা শিথিল করা হতে পারে ।


বনগাঁ পৌরসভায় অনাস্থা ভোট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলেছে । পৌরসভায় মোট আসন 22টি । তার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল 19টি । নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন একজন । CPI(M) ও কংগ্রেসের দখলে একটি করে আসন ছিল । নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হয় 20 । জুনে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা পৌরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে বনগাঁর মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করেন । তারপরই 12 জন তৃণমূল কাউন্সিলর দিল্লিতে গিয়ে BJP-তে যোগ দেন । হাইকোর্টের নির্দেশে 16 জুলাই বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোট হয় । ওই দিন ব্যাপক গন্ডগোল হয় । BJP ও তৃণমূল দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করে । মামলা গড়ায় হাইকোর্টে । আদালত দু'তরফের দাবি খারিজ করে দেয় । 26 অগাস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন যে জেলাশাসকের অফিসে অনাস্থা ভোট করাতে হবে । পুলিশ সুপারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে । সেই নির্দেশ অনুযায়ী আজ সকাল 11টায় জেলাশাসকের কার্যালয়ে অনাস্থা ভোট হবে ।

BJP-তে যোগ দেওয়া 5 তৃণমূল কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরে এসেছেন ৷ ফলে তৃণমূলের এখন কাউন্সিলর সংখ্যা 13 ৷ পাশাপাশি কংগ্রেসের সমর্থন পেতে পারে তারা । অর্থাৎ শাসকদলের ঝুলিতে মোটামুটি 14টি ভোট প্রায় নিশ্চিত । BJP সাতজন কাউন্সিলর নিয়েই লড়াই করবে । গেরুয়া শিবির কেবল ক্রস ভোটিংয়ের আশায় বুক বাঁধছে । বাম কাউন্সিলরের গরহাজির থাকার সম্ভাবনাই বেশি ।

এই সংক্রান্ত খবর : বৃহস্পতিবার ফের বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোট

Intro:আজ বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট, জেলাশাসকের অফিসে কড়া নিরাপত্তা

বারাসতঃ হাইকোর্টের নির্দেশে আজ ফের বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট। আদালত উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে অনাস্থা ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। সঙ্গে পুলিশ সুপার সি সুধাকরকে পর্যান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেছে। ১৬ জুলাই অনাস্থা ভোটের দিন বনগাঁয় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। তাই এবার আর নিরাপত্তায় খামতি রাখতে চায় না জেলা প্রশাসন। অনাস্থা ভোট উপলক্ষে বারাসতে জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বর কড়া নিরাপত্তাবলয় তৈরি থাকছে।
সকাল ১১টায় অনাস্থা ভোট হবে। তার আগে সকাল ১০টা থেকে জেলাশাসকের কার্যালয়ে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এমনকী প্রশাসনিক ভবনে কর্মরত সরকারি কর্মীদেরও আলাদা পরিচয়পত্র করা হয়েছে। তাঁরাও পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকবেন। প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তায় চার জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছে। প্রত্যেক গেটে কমপক্ষে একজন করে ডিএসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। অনাস্থা ভোটপর্ব শান্তিতে মিটে গেলে দুপুর ১২টার পর শিথিল করা হতে পারে নিরাপত্তার কড়াকড়ি।

উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ পুরসভা অনাস্থা ভোট নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছে। পুরসভায় মোট আসন ২২টি। তারমধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ১৯টি। নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন একজন। সিপিএম ও কংগ্রেসের দখলে একটি করে আসন ছিল। নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়। গত জুন মাসে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে বনগাঁর মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করেন। তার পরপরই ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৬ জুলাই বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট হয়। ওই দিন চরম গন্ডগোল হয়েছিল। বিজেপি ও তৃণমূল-দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেন। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। আদালত দু'তরফের দাবি খারিজ করে দেয়। গত ২৬ অগস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, জেলাশাসকের অফিসে অনাস্থা ভোট করতে হবে। পুলিশ সুপারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই নির্দেশ মতো আজ সকাল ১১টায় জেলাশাসকের কার্যালয়ে অনাস্থা ভোট হবে। তৃণমূল নিজেদের ১৩টি আসনের পাশাপাশি কংগ্রেসের সমর্থন পেতে পারে। অর্থাৎ শাসক দলের ঝুলিতে মোটামুটি ১৪টি ভোট প্রায় নিশ্চিত। বিজেপির সাত জন কাউন্সিলর নিয়েই লড়াই করবে। গেরুয়া শিবির কেবল ক্রশ ভোটিংয়ের আশায় বুক বাঁধছে। বাম কাউন্সিলরের গরহাজির থাকার সম্ভাবনাই বেশি।Body:আজ বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট, জেলাশাসকের অফিসে কড়া নিরাপত্তা

বারাসতঃ হাইকোর্টের নির্দেশে আজ ফের বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট। আদালত উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে অনাস্থা ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। সঙ্গে পুলিশ সুপার সি সুধাকরকে পর্যান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেছে। ১৬ জুলাই অনাস্থা ভোটের দিন বনগাঁয় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। তাই এবার আর নিরাপত্তায় খামতি রাখতে চায় না জেলা প্রশাসন। অনাস্থা ভোট উপলক্ষে বারাসতে জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বর কড়া নিরাপত্তাবলয় তৈরি থাকছে।
সকাল ১১টায় অনাস্থা ভোট হবে। তার আগে সকাল ১০টা থেকে জেলাশাসকের কার্যালয়ে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এমনকী প্রশাসনিক ভবনে কর্মরত সরকারি কর্মীদেরও আলাদা পরিচয়পত্র করা হয়েছে। তাঁরাও পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকবেন। প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তায় চার জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছে। প্রত্যেক গেটে কমপক্ষে একজন করে ডিএসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। অনাস্থা ভোটপর্ব শান্তিতে মিটে গেলে দুপুর ১২টার পর শিথিল করা হতে পারে নিরাপত্তার কড়াকড়ি।

উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ পুরসভা অনাস্থা ভোট নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছে। পুরসভায় মোট আসন ২২টি। তারমধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ১৯টি। নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন একজন। সিপিএম ও কংগ্রেসের দখলে একটি করে আসন ছিল। নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়। গত জুন মাসে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে বনগাঁর মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করেন। তার পরপরই ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৬ জুলাই বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট হয়। ওই দিন চরম গন্ডগোল হয়েছিল। বিজেপি ও তৃণমূল-দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেন। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। আদালত দু'তরফের দাবি খারিজ করে দেয়। গত ২৬ অগস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, জেলাশাসকের অফিসে অনাস্থা ভোট করতে হবে। পুলিশ সুপারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই নির্দেশ মতো আজ সকাল ১১টায় জেলাশাসকের কার্যালয়ে অনাস্থা ভোট হবে। তৃণমূল নিজেদের ১৩টি আসনের পাশাপাশি কংগ্রেসের সমর্থন পেতে পারে। অর্থাৎ শাসক দলের ঝুলিতে মোটামুটি ১৪টি ভোট প্রায় নিশ্চিত। বিজেপির সাত জন কাউন্সিলর নিয়েই লড়াই করবে। গেরুয়া শিবির কেবল ক্রশ ভোটিংয়ের আশায় বুক বাঁধছে। বাম কাউন্সিলরের গরহাজির থাকার সম্ভাবনাই বেশি।Conclusion:আজ বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট, জেলাশাসকের অফিসে কড়া নিরাপত্তা

বারাসতঃ হাইকোর্টের নির্দেশে আজ ফের বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট। আদালত উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে অনাস্থা ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। সঙ্গে পুলিশ সুপার সি সুধাকরকে পর্যান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেছে। ১৬ জুলাই অনাস্থা ভোটের দিন বনগাঁয় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। তাই এবার আর নিরাপত্তায় খামতি রাখতে চায় না জেলা প্রশাসন। অনাস্থা ভোট উপলক্ষে বারাসতে জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বর কড়া নিরাপত্তাবলয় তৈরি থাকছে।
সকাল ১১টায় অনাস্থা ভোট হবে। তার আগে সকাল ১০টা থেকে জেলাশাসকের কার্যালয়ে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এমনকী প্রশাসনিক ভবনে কর্মরত সরকারি কর্মীদেরও আলাদা পরিচয়পত্র করা হয়েছে। তাঁরাও পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকবেন। প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তায় চার জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছে। প্রত্যেক গেটে কমপক্ষে একজন করে ডিএসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। অনাস্থা ভোটপর্ব শান্তিতে মিটে গেলে দুপুর ১২টার পর শিথিল করা হতে পারে নিরাপত্তার কড়াকড়ি।

উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ পুরসভা অনাস্থা ভোট নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছে। পুরসভায় মোট আসন ২২টি। তারমধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ১৯টি। নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন একজন। সিপিএম ও কংগ্রেসের দখলে একটি করে আসন ছিল। নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়। গত জুন মাসে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে বনগাঁর মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করেন। তার পরপরই ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৬ জুলাই বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট হয়। ওই দিন চরম গন্ডগোল হয়েছিল। বিজেপি ও তৃণমূল-দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেন। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। আদালত দু'তরফের দাবি খারিজ করে দেয়। গত ২৬ অগস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, জেলাশাসকের অফিসে অনাস্থা ভোট করতে হবে। পুলিশ সুপারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই নির্দেশ মতো আজ সকাল ১১টায় জেলাশাসকের কার্যালয়ে অনাস্থা ভোট হবে। তৃণমূল নিজেদের ১৩টি আসনের পাশাপাশি কংগ্রেসের সমর্থন পেতে পারে। অর্থাৎ শাসক দলের ঝুলিতে মোটামুটি ১৪টি ভোট প্রায় নিশ্চিত। বিজেপির সাত জন কাউন্সিলর নিয়েই লড়াই করবে। গেরুয়া শিবির কেবল ক্রশ ভোটিংয়ের আশায় বুক বাঁধছে। বাম কাউন্সিলরের গরহাজির থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.