ETV Bharat / state

Drinking Water Crisis: পানীয় জলের সংকট মেটাতে 16 কোটির নয়া প্রকল্পের সূচনা খাদ্যমন্ত্রীর

author img

By

Published : May 7, 2023, 7:22 PM IST

খাদ্যমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকাতেই পানীয় জলের সংকট চরমে । টিউবওয়েল থাকলেও জল পড়ে না ঠিকমতো । অধিকাংশ সময়ই খারাপ হয়ে পড়ে থাকে রাস্তার কলগুলি । সমস্যার সুরাহায় 16 কোটির জল প্রকল্পের সূচনা হল মন্ত্রীর হাত ধরে ।

Drinking Water project
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ

পানীয় জলের সংকট মেটাতে 16 কোটি টাকার নয়া প্রকল্পের সূচনা খাদ্যমন্ত্রীর

দত্তপুকুর, 7 মে: বাড়িতে টিউবওয়েল থাকলেও ঠিকমতো জল ওঠে না । রাস্তার হ‍্যান্ড কল থেকে জল নেবেন, তারও উপায় নেই । কারণ, অনেক সময়েই তা খারাপ হয়ে পড়ে থাকে । ফলে পানীয় জলের সংকট চরমে পৌঁছেছিল 5 থেকে 6টি গ্রামের বাসিন্দাদের । অবশেষে সেই পানীয় জলের সংকট কাটতে চলেছে গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারের । সমস্যার সুরাহায় এগিয়ে এসেছে রাজ‍্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর । প্রায় 16 কোটি টাকা ব‍্যয়ে ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মালিকাপুরে হতে চলেছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট । রবিবার যার কাজের শুভ সূচনা হল খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের হাত ধরে । প্রকল্প রূপায়ণ হলে অন্ততপক্ষে 36 হাজার গ্রামবাসী উপকৃত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী । তাঁর সেই আশ্বাসের দিকেই এখন তাকিয়ে গ্রামবাসীরা ।

উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরের ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকা । যেটি আবার খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বিধানসভা ক্ষেত্রের মধ্যেও পড়ে । খাদ্যমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মালিকাপুর, রুদ্রপুর, কাপাসিয়া, আহিরা-সহ প্রায় ছ'টি গ্রামের বাসিন্দাদের তীব্র জল সংকট ভুগতে হচ্ছিল বেশ কয়েক বছর ধরে । অভিযোগ, কল থাকলেও ঠিকমতো জল পাচ্ছিলেন প্রায় 36 হাজার গ্রামবাসী । এ নিয়ে বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েত বলেও কোনও সুরাহা হয়নি । ফলে পানীয় জলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল সেখানে ।

গরমের সময় তো আর কথাই নেই ! তখন পানীয় জল পেতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায় গ্রামবাসীদের । রীতিমতো হেঁটে পাশের পাড়াতে গিয়ে জল বয়ে আনতে হয় তাঁদের । তাও হ‍্যান্ড কল ঠিক থাকা অবধি ৷ খারাপ হলে আবার চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকতে হয় পঞ্চায়েতের দিকে । কখন সেই হ‍্যান্ড কল ঠিক হবে । গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে টিউবওয়েল রয়েছে ঠিকই । কিন্তু গরমের সময় সেই টিউবওয়েলের জলের স্তর নীচে নেমে যায় । তখন ঠিকমতো জল ওঠে না । সেই সময় কষ্ট করে জলের নিবারণ করতে হয় গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারকে । গত কয়েক বছর ধরে এটাই যেন রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের । পানীয় জলের সংকট মেটাতে দীর্ঘদিন ধরেই উন্নত মানের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের দাবি করে আসছিলেন গ্রামবাসীরা । দেরি হলেও শেষে তাঁদের সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে । যার জেরে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দারা ।

এই বিষয়ে নজরুল বক্স নামে মালিকাপুরের এক বাসিন্দা বলেন, "এখানে জলের সমস্যা মারাত্মক । বাড়িতে টিউবওয়েল থাকলেও জল ওঠে না ঠিকমতো । রাস্তার হ‍্যান্ড কলগুলোও বেশিরভাগ সময় খারাপ হয়ে পড়ে থাকে । পঞ্চায়েত থেকে লোকজন এসে মেরামত করে দেয় ঠিকই । কিন্তু,বেশিদিন তা সচল থাকে না । এই পানীয় জল প্রকল্পের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ছিল আমাদের । জমি জটের জন্যই এতদিন তা আটকে ছিল । অবশেষে জমি জটের সমস্যা মেটায় সেই প্রকল্প রূপায়ণ হতে চলেছে । এতে আশপাশের সকলেরই উপকার হবে ৷" একই সুর শোনা গিয়েছে আকবর আলি নামে তালধারিয়ার এক বাসিন্দার গলাতেও । তাঁর কথায়,পানীয় জলের কলই ছিল না ঠিকমতো, তা জল পাবে কোথা থেকে ! এখন এই পানীয় জলের প্রকল্প হচ্ছে ! দেখা যাক কি হয় । তবে এই প্রকল্প রূপায়ণ হলে অনেক মানুষই উপকৃত হবেন বলে তাঁর মত ।

এ দিকে পানীয় জলের সংকটের কথা স্বীকার করে নিয়ে খাদ‍্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন,"এখানে জলের সংকট থাকলেও তা নিবারণ করার বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে । ডাউন ওয়াটার বেস ছাড়াও টিউবওয়েল দিয়ে জলের সমস্যা মেটাতে পারতেন গ্রামবাসীরা । কিন্তু এখন পাইপ ওয়াটার সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে সমস্ত এলাকায় জুড়ে দেওয়া হবে । যাতে পর্যাপ্ত পানীয় জল পেতে পারেন মালিকাপুর-সহ আশপাশের গ্রামের লোকজন ৷" 2024-এর আগেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার ব‍্যাপারে আশাবাদী মন্ত্রী ।

আরও পড়ুন: মালদার গাঁয়ে তীব্র জল সংকট, শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন গ্রামের বউরা

পানীয় জলের সংকট মেটাতে 16 কোটি টাকার নয়া প্রকল্পের সূচনা খাদ্যমন্ত্রীর

দত্তপুকুর, 7 মে: বাড়িতে টিউবওয়েল থাকলেও ঠিকমতো জল ওঠে না । রাস্তার হ‍্যান্ড কল থেকে জল নেবেন, তারও উপায় নেই । কারণ, অনেক সময়েই তা খারাপ হয়ে পড়ে থাকে । ফলে পানীয় জলের সংকট চরমে পৌঁছেছিল 5 থেকে 6টি গ্রামের বাসিন্দাদের । অবশেষে সেই পানীয় জলের সংকট কাটতে চলেছে গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারের । সমস্যার সুরাহায় এগিয়ে এসেছে রাজ‍্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর । প্রায় 16 কোটি টাকা ব‍্যয়ে ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মালিকাপুরে হতে চলেছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট । রবিবার যার কাজের শুভ সূচনা হল খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের হাত ধরে । প্রকল্প রূপায়ণ হলে অন্ততপক্ষে 36 হাজার গ্রামবাসী উপকৃত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী । তাঁর সেই আশ্বাসের দিকেই এখন তাকিয়ে গ্রামবাসীরা ।

উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরের ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকা । যেটি আবার খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বিধানসভা ক্ষেত্রের মধ্যেও পড়ে । খাদ্যমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মালিকাপুর, রুদ্রপুর, কাপাসিয়া, আহিরা-সহ প্রায় ছ'টি গ্রামের বাসিন্দাদের তীব্র জল সংকট ভুগতে হচ্ছিল বেশ কয়েক বছর ধরে । অভিযোগ, কল থাকলেও ঠিকমতো জল পাচ্ছিলেন প্রায় 36 হাজার গ্রামবাসী । এ নিয়ে বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েত বলেও কোনও সুরাহা হয়নি । ফলে পানীয় জলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল সেখানে ।

গরমের সময় তো আর কথাই নেই ! তখন পানীয় জল পেতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায় গ্রামবাসীদের । রীতিমতো হেঁটে পাশের পাড়াতে গিয়ে জল বয়ে আনতে হয় তাঁদের । তাও হ‍্যান্ড কল ঠিক থাকা অবধি ৷ খারাপ হলে আবার চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকতে হয় পঞ্চায়েতের দিকে । কখন সেই হ‍্যান্ড কল ঠিক হবে । গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে টিউবওয়েল রয়েছে ঠিকই । কিন্তু গরমের সময় সেই টিউবওয়েলের জলের স্তর নীচে নেমে যায় । তখন ঠিকমতো জল ওঠে না । সেই সময় কষ্ট করে জলের নিবারণ করতে হয় গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারকে । গত কয়েক বছর ধরে এটাই যেন রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের । পানীয় জলের সংকট মেটাতে দীর্ঘদিন ধরেই উন্নত মানের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের দাবি করে আসছিলেন গ্রামবাসীরা । দেরি হলেও শেষে তাঁদের সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে । যার জেরে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দারা ।

এই বিষয়ে নজরুল বক্স নামে মালিকাপুরের এক বাসিন্দা বলেন, "এখানে জলের সমস্যা মারাত্মক । বাড়িতে টিউবওয়েল থাকলেও জল ওঠে না ঠিকমতো । রাস্তার হ‍্যান্ড কলগুলোও বেশিরভাগ সময় খারাপ হয়ে পড়ে থাকে । পঞ্চায়েত থেকে লোকজন এসে মেরামত করে দেয় ঠিকই । কিন্তু,বেশিদিন তা সচল থাকে না । এই পানীয় জল প্রকল্পের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ছিল আমাদের । জমি জটের জন্যই এতদিন তা আটকে ছিল । অবশেষে জমি জটের সমস্যা মেটায় সেই প্রকল্প রূপায়ণ হতে চলেছে । এতে আশপাশের সকলেরই উপকার হবে ৷" একই সুর শোনা গিয়েছে আকবর আলি নামে তালধারিয়ার এক বাসিন্দার গলাতেও । তাঁর কথায়,পানীয় জলের কলই ছিল না ঠিকমতো, তা জল পাবে কোথা থেকে ! এখন এই পানীয় জলের প্রকল্প হচ্ছে ! দেখা যাক কি হয় । তবে এই প্রকল্প রূপায়ণ হলে অনেক মানুষই উপকৃত হবেন বলে তাঁর মত ।

এ দিকে পানীয় জলের সংকটের কথা স্বীকার করে নিয়ে খাদ‍্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন,"এখানে জলের সংকট থাকলেও তা নিবারণ করার বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে । ডাউন ওয়াটার বেস ছাড়াও টিউবওয়েল দিয়ে জলের সমস্যা মেটাতে পারতেন গ্রামবাসীরা । কিন্তু এখন পাইপ ওয়াটার সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে সমস্ত এলাকায় জুড়ে দেওয়া হবে । যাতে পর্যাপ্ত পানীয় জল পেতে পারেন মালিকাপুর-সহ আশপাশের গ্রামের লোকজন ৷" 2024-এর আগেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার ব‍্যাপারে আশাবাদী মন্ত্রী ।

আরও পড়ুন: মালদার গাঁয়ে তীব্র জল সংকট, শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন গ্রামের বউরা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.