গাইঘাটা, 24 জুলাই: "আমরা ওই দিন লাড্ডু রাখব । সঙ্গে পাঁচনও রাখব ৷ আর হজমোলা । আসার আগে বলব, ইন্সুরেন্সটা আপডেট করে আসতে।" 5 অগস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও নিয়ে এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার । এর আগে একই পথে হেঁটেছেন ওন্দার বিজেপি বিধায়কও। স্বপনকে পালটা আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস । তাঁর দাবি, বিজেপির জনগণের হাতে ধোলাই খাওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
21 জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তৃণমূলের এই কর্মসূচি ঘিরে এখন উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি । অভিষেকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । একাধিক থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির অন্য নেতারাও। তবে সেই পথে না-গিয়ে তৃণমূলকে বিমা করে আসার হুঁশিয়ারি দেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা । অমরনাথের সুরে সুর মিলিয়ে এবার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির আরও এক বিধায়ক স্বপন মজুমদার । সঙ্গে যুক্ত হল লাড্ডু ও অনুব্রত মণ্ডলের পাঁচনের কথাও ।
রবিরার সন্ধ্যায় গাইঘাটার ঘোজায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির জয়ী প্রর্থীদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক স্বপন মজুমদার ও বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়-সহ স্থানীয় বিজেপির নেতা কর্মীরা । এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বপন মজুমদার কারও নাম না করে বলেন, "বাটপার ভাইপো 5 অগস্ট বিজেপির নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করবে । আমি স্বাগত জানাচ্ছি । আমরা ওই দিন লাড্ডু রাখব । লাড্ডু ওদের মধ্যে বিলি করব । সঙ্গে পাঁচনও রাখব ৷ আর হজমের জন্য হজমোলাও থাকবে। আসার আগে বলব ইন্সুরেন্সটা আপডেট করে আসতে। আপনাদের (দলীয় নেতা-কর্মীদের) কাউকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই । একসঙ্গে থাকবেন । যদি তৃণমূলের কোনও নেতা অন্যায়ভাবে আক্রমণ করতে আসে তাহলে একসঙ্গে মিলে তাদের সাইজ করবেন । কেস হলে ছাড়িয়ে নিয়ে আসব।"
আরও পড়ুন : 'পদ কাঁচি দিয়ে কেটে দিতে সময় লাগবে না', দলীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি মদনের
স্বপন মজুমদারের এহেন মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেন বনগাঁর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস । তিনি বলেন, "এঁরা নিজেদের বুথে হেরেছেন। এঁদের মান-সম্মান বলে কিছু নেই । মিডিয়ায় ভেসে থাকার জন্য নির্লজ্জের মত এই সব কথা বলছেন । উস্কানিমূলক দিচ্ছেন। এঁদের সঙ্গে মানুষ নেই । এঁদের জনগণের হাতে ধোলাই খাওয়ার দিন এসে গিয়েছে ।"