ETV Bharat / state

শান্তিমিছিলের নাম করে হাসপাতালে দুষ্কৃতীদের ভাঙচুর

শান্তিমিছিলের নাম করে ভাটপাড়া পৌরসভায় হামলা দুষ্কৃতীদের । ছাড় পেল না হাসপাতালও ।

হাসপাতালে ভাঙচুর
author img

By

Published : Jul 15, 2019, 11:34 PM IST

ভাটপাড়া, 15 জুলাই : শান্তিমিছিল হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু সেই শান্তিমিছিল নিমেষে পরিণত হল অশান্তি মিছিলে । হামলা চালানো হল ভাটপাড়া পৌরসভায় । ছাড় পেল না হাসপাতালও ।

ভাটপাড়ায় নিত্য অশান্তির প্রতিবাদে আজ স্থানীয়রা রেল অবরোধ করেন । ঘণ্টা দুয়েক রেল অবরোধের পরে কাঁকিনাড়া স্টেশন থেকে শুরু হয় শান্তিমিছিল । কিন্তু সেই মিছিল ঘোষপাড়া রোডে পৌঁছোতেই তা অশান্তি মিছিলে পরিণত হয় । লাঠিসোঁটা ও শাবল নিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী শান্তিমিছিলে অংশ নেয় । বেলা 12 টা নাগাদ আচমকা ভাটপাড়া পৌরসভায় ঢুকে পড়ে শান্তি মিছিল । চালানো হয় ভাঙচুর । ঘোষপাড়া রোডের উলটো দিকে ভাটপাড়া থানা । অভিযোগ, ভাঙচুর হতে দেখেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ ।

এরপর পুলিশের উপস্থিতিতেই পৌরসভা পরিচালিত মাতৃসদনে ঢুকে পড়ে ওই সশস্ত্র দুষ্কৃতী বাহিনী । হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলেও ওই দুষ্কৃতীদের আটকাতে পারেনি । ভাঙচুর চালানো হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে । ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে রোগীরা । বেড ছেড়ে অন্য় একটি ঘরে ঢুকে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা । প্রাণ বাঁচাতে পালায় নার্স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা । প্রায় 20 মিনিট ধরে হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয় । কিন্তু অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ আসে ।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আশিস চক্রবর্তী বলেন, "আচমকাই হাসপাতালে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে । ভাঙচুর করে । টাকা-পয়সা নিয়ে চলে যায় । আউটডোরের রোগীরা ভয়েতে তখনই যে যেখানে পেরেছে চলে গেছে । ভরতি থাকা রোগীরাও আর হাসপাতালে থাকতে চাইছে না । হাসপাতালের কর্মীরাও আতঙ্কে আর এখানে আসতে চাইছেন না ।"

ভাটপাড়া, 15 জুলাই : শান্তিমিছিল হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু সেই শান্তিমিছিল নিমেষে পরিণত হল অশান্তি মিছিলে । হামলা চালানো হল ভাটপাড়া পৌরসভায় । ছাড় পেল না হাসপাতালও ।

ভাটপাড়ায় নিত্য অশান্তির প্রতিবাদে আজ স্থানীয়রা রেল অবরোধ করেন । ঘণ্টা দুয়েক রেল অবরোধের পরে কাঁকিনাড়া স্টেশন থেকে শুরু হয় শান্তিমিছিল । কিন্তু সেই মিছিল ঘোষপাড়া রোডে পৌঁছোতেই তা অশান্তি মিছিলে পরিণত হয় । লাঠিসোঁটা ও শাবল নিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী শান্তিমিছিলে অংশ নেয় । বেলা 12 টা নাগাদ আচমকা ভাটপাড়া পৌরসভায় ঢুকে পড়ে শান্তি মিছিল । চালানো হয় ভাঙচুর । ঘোষপাড়া রোডের উলটো দিকে ভাটপাড়া থানা । অভিযোগ, ভাঙচুর হতে দেখেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ ।

এরপর পুলিশের উপস্থিতিতেই পৌরসভা পরিচালিত মাতৃসদনে ঢুকে পড়ে ওই সশস্ত্র দুষ্কৃতী বাহিনী । হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলেও ওই দুষ্কৃতীদের আটকাতে পারেনি । ভাঙচুর চালানো হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে । ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে রোগীরা । বেড ছেড়ে অন্য় একটি ঘরে ঢুকে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা । প্রাণ বাঁচাতে পালায় নার্স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা । প্রায় 20 মিনিট ধরে হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয় । কিন্তু অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ আসে ।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আশিস চক্রবর্তী বলেন, "আচমকাই হাসপাতালে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে । ভাঙচুর করে । টাকা-পয়সা নিয়ে চলে যায় । আউটডোরের রোগীরা ভয়েতে তখনই যে যেখানে পেরেছে চলে গেছে । ভরতি থাকা রোগীরাও আর হাসপাতালে থাকতে চাইছে না । হাসপাতালের কর্মীরাও আতঙ্কে আর এখানে আসতে চাইছেন না ।"

Intro:শান্তির দাবিতে অশান্তি, ছাড় পেল না হাসপাতালও

ভাটপাড়াঃ কথা ছিল শান্তির দাবিতে আন্দোলন হবে। হবে শান্তিমিছিল। অথচ সেই শান্তিমিছিল থেকেই একদল দুষ্কৃতী হামলা চালাল ভাটপাড়া পুরসভায়। ছাড় পেল না হাসপাতালও।

ভাটপাড়ায় নিত্য অশান্তির প্রতিবাদে সোমবার সকালে কয়েকশো বাসিন্দা রেল অবরোধ করেন। ঘণ্টা দুয়েক রেল অবরোধের পরে কাঁকিনাড়া স্টেশন চত্বর থেকে শুরু হয় শান্তিমিছিল। কিন্তু এ কেমন শান্তিমিছিল? শান্তিমিছিল ঘোষপাড়া রোড ধরতেই তাতে ঢুকে পড়ে লাঠিসোটা, শাবল। বেলা ১২টা নাগাদ শান্তিমিছিল আচমকা ঢুকে পড়ে ভাটপাড়া পুরসভায়। চলে বেপরোয়া ভাঙচুর। অবাক করার মতো ঘটনা, পুরসভার বিপরীতে ঘোষপাড়া রোডের উলটো দিকে ভাটপাড়া থানা। রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশও। সশস্ত্র মিছিল তবু বিনা বাধায় ঢুকে পড়ল পুরসভা পরিচালিত হাসপাতাল মাতৃসদনে। সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীরা হামলাকারীদের ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন। তাঁরা গেট আটকানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু শতাধিক মিছিলকারীর শক্তির কাছে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীর বাধা বালির বাঁধের মতো চুরমার হয়ে যায়। হাসপাতালের প্রবেশপথের দু'পাশে টবে বাহারি গাছ ছিল। হামলাকারীরা সেগুলো ভাঙতে ভাঙতে ভিতরে ঢোকে। তারপর তারা লাঠিসোটা নিয়েই ভাঙচুর শুরু করে ওয়ার্ডের ভিতরে। আচমকা হামলায় হকচকিয়ে যান রোগীরা। তাঁরা বেড ছেড়ে অন্য একটি ঘরে ঢুকে পড়েন। প্রাণ বাঁচাতে হাসপাতালের নার্স, আয়া ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও যে যেদিকে পেরেছেন ছুটে পালিয়েছেন। প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে চলে ভাঙচুর। হাসপাতালের আসবাবপত্র, কমপিউটার, চিকিৎসার সামগ্রী ও মেডিসিন স্টোর কোনও কিছুই বাদ যায়নি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে থানায় খবর দেওয়া হলেও পুলিশ আসে ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পরে।

হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার আশিস চক্রবর্তী বলেন, 'হাসপাতালে তখন কর্মব্যস্ততা। আচমকা একটা মভ ঢুকে পড়ল। ভাঙচুর করল। কালেকশনের টাকা-পয়সা নিয়ে চলে গেল। আউটডোরের রোগীরা সবাই ভয়ে চলে গিয়েছেন। ভর্তি থাকা রোগীরাও আর হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না। হাসপাতালের কর্মীরাও আতঙ্কে আর এখানে আসতে চাইছেন না।' পুলিশ এসেছিল কি? আশিসবাবু সাফ জানালেন, 'হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ এসেছিল।'

স্থানীয় বাসিন্দা শংকর চৌধুরী বলেন, 'রোজ রোজ এমন অশান্তি হলে কি আর থাকা যায়? আমাদের আদিবাড়ি হুগলিতে। ভাবছি বউ-ছেলেমেয়ে নিয়ে আবার 'দেশের বাড়ি'তে ফিরে যাব।'Body:শান্তির দাবিতে অশান্তি, ছাড় পেল না হাসপাতালও

ভাটপাড়াঃ কথা ছিল শান্তির দাবিতে আন্দোলন হবে। হবে শান্তিমিছিল। অথচ সেই শান্তিমিছিল থেকেই একদল দুষ্কৃতী হামলা চালাল ভাটপাড়া পুরসভায়। ছাড় পেল না হাসপাতালও।

ভাটপাড়ায় নিত্য অশান্তির প্রতিবাদে সোমবার সকালে কয়েকশো বাসিন্দা রেল অবরোধ করেন। ঘণ্টা দুয়েক রেল অবরোধের পরে কাঁকিনাড়া স্টেশন চত্বর থেকে শুরু হয় শান্তিমিছিল। কিন্তু এ কেমন শান্তিমিছিল? শান্তিমিছিল ঘোষপাড়া রোড ধরতেই তাতে ঢুকে পড়ে লাঠিসোটা, শাবল। বেলা ১২টা নাগাদ শান্তিমিছিল আচমকা ঢুকে পড়ে ভাটপাড়া পুরসভায়। চলে বেপরোয়া ভাঙচুর। অবাক করার মতো ঘটনা, পুরসভার বিপরীতে ঘোষপাড়া রোডের উলটো দিকে ভাটপাড়া থানা। রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশও। সশস্ত্র মিছিল তবু বিনা বাধায় ঢুকে পড়ল পুরসভা পরিচালিত হাসপাতাল মাতৃসদনে। সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীরা হামলাকারীদের ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন। তাঁরা গেট আটকানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু শতাধিক মিছিলকারীর শক্তির কাছে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীর বাধা বালির বাঁধের মতো চুরমার হয়ে যায়। হাসপাতালের প্রবেশপথের দু'পাশে টবে বাহারি গাছ ছিল। হামলাকারীরা সেগুলো ভাঙতে ভাঙতে ভিতরে ঢোকে। তারপর তারা লাঠিসোটা নিয়েই ভাঙচুর শুরু করে ওয়ার্ডের ভিতরে। আচমকা হামলায় হকচকিয়ে যান রোগীরা। তাঁরা বেড ছেড়ে অন্য একটি ঘরে ঢুকে পড়েন। প্রাণ বাঁচাতে হাসপাতালের নার্স, আয়া ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও যে যেদিকে পেরেছেন ছুটে পালিয়েছেন। প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে চলে ভাঙচুর। হাসপাতালের আসবাবপত্র, কমপিউটার, চিকিৎসার সামগ্রী ও মেডিসিন স্টোর কোনও কিছুই বাদ যায়নি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে থানায় খবর দেওয়া হলেও পুলিশ আসে ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পরে।

হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার আশিস চক্রবর্তী বলেন, 'হাসপাতালে তখন কর্মব্যস্ততা। আচমকা একটা মভ ঢুকে পড়ল। ভাঙচুর করল। কালেকশনের টাকা-পয়সা নিয়ে চলে গেল। আউটডোরের রোগীরা সবাই ভয়ে চলে গিয়েছেন। ভর্তি থাকা রোগীরাও আর হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না। হাসপাতালের কর্মীরাও আতঙ্কে আর এখানে আসতে চাইছেন না।' পুলিশ এসেছিল কি? আশিসবাবু সাফ জানালেন, 'হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ এসেছিল।'

স্থানীয় বাসিন্দা শংকর চৌধুরী বলেন, 'রোজ রোজ এমন অশান্তি হলে কি আর থাকা যায়? আমাদের আদিবাড়ি হুগলিতে। ভাবছি বউ-ছেলেমেয়ে নিয়ে আবার 'দেশের বাড়ি'তে ফিরে যাব।'Conclusion:হামলার পরে অবশ্য শুরু হয়েছে পুলিশ ও raf এর টহলদারি।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.