ETV Bharat / state

বিবিকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন

গাইঘাটার ময়না এলাকার বাসিন্দা রোশন 2017 সালের 4 জুলাই বিবি আলেয়াকে খুন করে । ওই দিন আলেয়া বাসন মাজছিলেন । বাড়িতে ফিরেই রোশন একটা কোদাল দিয়ে পিছন দিক দিয়ে বিবির মাথায় সজোরে আঘাত করে । রক্তাক্ত অবস্থায় আলেয়া সেখানে লুটিয়ে পড়েন । কিছুক্ষণ পরেই আলেয়ার মৃত্যু হয় । বিবির মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেই রোশন মৃতের কান থেকে সোনার দুল খুলে নিয়ে সাইকেল চালিয়ে বনগাঁয় চলে যায় । সেই দুল বিক্রির টাকা নিয়ে সে চম্পট দেয় বাংলাদেশে । দু'বছর ধরে মামলা চলার পর আজ রোশনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক ।

the husband's life imprisonment
কেদালের কোপে স্ত্রীকে খুন, স্বামীর যাবজ্জীবন
author img

By

Published : Dec 24, 2019, 11:50 PM IST

বনগাঁ, 24 ডিসেম্বর : বিবিকে খুন করার দায়ে যাবজ্জীবন সাজা হল প্রবীণ ব্যক্তির । মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতের বিচারক বিদ্যুৎকুমার রায় সাজা ঘোষণা করেছেন । দোষী সাব্যস্ত রোশন মণ্ডলকে (৬০) বিচারক যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন ।

গাইঘাটার ময়না এলাকার বাসিন্দা রোশন 2017 সালের 4 জুলাই বিবি আলেয়াকে খুন করে । ওই দিন আলেয়া বাসন মাজছিলেন । বাড়িতে ফিরেই রোশন একটা কোদাল দিয়ে পিছন দিক দিয়ে বিবির মাথায় সজোরে আঘাত করে । রক্তাক্ত অবস্থায় আলেয়া সেখানে লুটিয়ে পড়েন । কিছুক্ষণ পরেই আলেয়ার মৃত্যু হয় । বিবির মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেই রোশন মৃতের কান থেকে সোনার দুল খুলে নিয়ে সাইকেল চালিয়ে বনগাঁয় চলে যায় । সেই দুল বিক্রির টাকা নিয়ে সে চম্পট দেয় বাংলাদেশে ।

খুনের পরেই আলেয়ার ভাই নাসির মণ্ডল গাইঘাটা থানায় জামাইবাবু রোশনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন । ওই বছর 25 অগাস্ট পেট্রাপোল এলাকা থেকে পুলিশ রোশনকে গ্রেপ্তার করে । বনগাঁ মহকুমা আদালতে বিচার শুরু হয় । দু'বছর ধরে মামলা চলার পর আজ সাজা ঘোষণা করেন বিচারক ।

মৃতার ছোট ভাই নাসির বলেন, জামাইবাবু খুব বদমেজাজি । সংসারে পান থেকে চুন খসলেই দিদিকে মারধর করত । ঘটনার দিন কোদাল দিয়ে দিদির মাথার আঘাত করে মেরে ফেলে । ওর যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় আমরা খুশি । মামলার সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, "দু'বছরের মামলার শেষে বিবিকে খুনের দায়ে রোশন মণ্ডলকে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। এই মামলায় 25 জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল । গাইঘাটা থানার পুলিশও বেশ তৎপর ছিল । তাই বিচার খুব দ্রুত হয়েছে । মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার জন্য রোশনের ছেলে-মেয়েরাও আদালতে আবেদন করে ।"

বনগাঁ, 24 ডিসেম্বর : বিবিকে খুন করার দায়ে যাবজ্জীবন সাজা হল প্রবীণ ব্যক্তির । মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতের বিচারক বিদ্যুৎকুমার রায় সাজা ঘোষণা করেছেন । দোষী সাব্যস্ত রোশন মণ্ডলকে (৬০) বিচারক যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন ।

গাইঘাটার ময়না এলাকার বাসিন্দা রোশন 2017 সালের 4 জুলাই বিবি আলেয়াকে খুন করে । ওই দিন আলেয়া বাসন মাজছিলেন । বাড়িতে ফিরেই রোশন একটা কোদাল দিয়ে পিছন দিক দিয়ে বিবির মাথায় সজোরে আঘাত করে । রক্তাক্ত অবস্থায় আলেয়া সেখানে লুটিয়ে পড়েন । কিছুক্ষণ পরেই আলেয়ার মৃত্যু হয় । বিবির মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেই রোশন মৃতের কান থেকে সোনার দুল খুলে নিয়ে সাইকেল চালিয়ে বনগাঁয় চলে যায় । সেই দুল বিক্রির টাকা নিয়ে সে চম্পট দেয় বাংলাদেশে ।

খুনের পরেই আলেয়ার ভাই নাসির মণ্ডল গাইঘাটা থানায় জামাইবাবু রোশনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন । ওই বছর 25 অগাস্ট পেট্রাপোল এলাকা থেকে পুলিশ রোশনকে গ্রেপ্তার করে । বনগাঁ মহকুমা আদালতে বিচার শুরু হয় । দু'বছর ধরে মামলা চলার পর আজ সাজা ঘোষণা করেন বিচারক ।

মৃতার ছোট ভাই নাসির বলেন, জামাইবাবু খুব বদমেজাজি । সংসারে পান থেকে চুন খসলেই দিদিকে মারধর করত । ঘটনার দিন কোদাল দিয়ে দিদির মাথার আঘাত করে মেরে ফেলে । ওর যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় আমরা খুশি । মামলার সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, "দু'বছরের মামলার শেষে বিবিকে খুনের দায়ে রোশন মণ্ডলকে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। এই মামলায় 25 জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল । গাইঘাটা থানার পুলিশও বেশ তৎপর ছিল । তাই বিচার খুব দ্রুত হয়েছে । মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার জন্য রোশনের ছেলে-মেয়েরাও আদালতে আবেদন করে ।"

Intro:কোদালের কোপে স্ত্রীকে খুন, স্বামীর যাবজ্জীবন

বনগাঁঃ কোদালের কোপে স্ত্রীকে খুন করার দায়ে মঙ্গলবার যাবজ্জীবন সাজা হল স্বামীর। এদিন বনগাঁ মহকুমা আদালতের বিচারক বিদ্যুৎকুমার রায় সাজা ঘোষণা করেছেন। স্বামী রোশন মণ্ডলকে (৬০) বিচারক সাজা পড়ে শুনিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটার ময়না এলাকার বাসিন্দা রোশন ২০১৭ সালের ৪ জুলাই স্ত্রী আলেয়া বিবিকে খুন করেছিল। ওই দিন আলেয়া বাসন মাজছিলেন। বাড়িতে ফিরেই রোশন একটা কোদাল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় সজোরে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় আলেয়া কলপাড়ে লুটিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরেই আলেয়ার মৃত্যু হয়েছিল। স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেই রোশন মৃত স্ত্রীর কান থেকে সোনার দুল খুলে নিয়ে সাইকেল চালিয়ে বনগাঁয় চলে যায়। সেই দুল বিক্রির টাকা নিয়ে সে চম্পট দেয় বাংলাদেশে।

খুনের পরেই আলেয়ার ভাই নাসির মণ্ডল গাইঘাটা থানায় জামাইবাবু রোশনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।ওই বছর ২৫ অগস্ট পেট্রাপোল এলাকা থেকে পুলিশ রোশনকে গ্রেপ্তার করে।বনগাঁ মহকুমা আদালতে বিচার শুরু হয়। দু'বছর ধরে মামলা চলার পর এদিন রোশানের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।

মৃতার ছোট ভাই নাসির বলেন, জামাইবাবু খুব বদমেজাজি ছিল। সংসারে পান থেকে চুন খসলেই দিদিকে মারধর করত।ঘটনার দিন কোদাল দিয়ে দিদির মাথার আঘাত করে মেরে ফেলেছিল। ওর যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় আমরা খুশি। মামলার সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, দু'বছরের মামলার শেষে স্ত্রী খুনের দায়ে স্বামী রোশন মণ্ডলকে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। এই মামলায় ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।গাইঘাটা থানার পুলিশও বেশ তৎপর ছিল। তাই বিচার খুব দ্রুত হয়েছে।

বাইট---1. সমীর দাস, সরকারি কৌঁসুলি

2. নাসির মণ্ডল, নিহতের ভাই।Body:কোদালের কোপে স্ত্রীকে খুন, স্বামীর যাবজ্জীবন

বনগাঁঃ কোদালের কোপে স্ত্রীকে খুন করার দায়ে মঙ্গলবার যাবজ্জীবন সাজা হল স্বামীর। এদিন বনগাঁ মহকুমা আদালতের বিচারক বিদ্যুৎকুমার রায় সাজা ঘোষণা করেছেন। স্বামী রোশন মণ্ডলকে (৬০) বিচারক সাজা পড়ে শুনিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটার ময়না এলাকার বাসিন্দা রোশন ২০১৭ সালের ৪ জুলাই স্ত্রী আলেয়া বিবিকে খুন করেছিল। ওই দিন আলেয়া বাসন মাজছিলেন। বাড়িতে ফিরেই রোশন একটা কোদাল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় সজোরে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় আলেয়া কলপাড়ে লুটিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরেই আলেয়ার মৃত্যু হয়েছিল। স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেই রোশন মৃত স্ত্রীর কান থেকে সোনার দুল খুলে নিয়ে সাইকেল চালিয়ে বনগাঁয় চলে যায়। সেই দুল বিক্রির টাকা নিয়ে সে চম্পট দেয় বাংলাদেশে।

খুনের পরেই আলেয়ার ভাই নাসির মণ্ডল গাইঘাটা থানায় জামাইবাবু রোশনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।ওই বছর ২৫ অগস্ট পেট্রাপোল এলাকা থেকে পুলিশ রোশনকে গ্রেপ্তার করে।বনগাঁ মহকুমা আদালতে বিচার শুরু হয়। দু'বছর ধরে মামলা চলার পর এদিন রোশানের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।

মৃতার ছোট ভাই নাসির বলেন, জামাইবাবু খুব বদমেজাজি ছিল। সংসারে পান থেকে চুন খসলেই দিদিকে মারধর করত।ঘটনার দিন কোদাল দিয়ে দিদির মাথার আঘাত করে মেরে ফেলেছিল। ওর যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় আমরা খুশি। মামলার সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, দু'বছরের মামলার শেষে স্ত্রী খুনের দায়ে স্বামী রোশন মণ্ডলকে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। এই মামলায় ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।গাইঘাটা থানার পুলিশও বেশ তৎপর ছিল। তাই বিচার খুব দ্রুত হয়েছে।

বাইট---1. সমীর দাস, সরকারি কৌঁসুলি

2. নাসির মণ্ডল, নিহতের ভাই।Conclusion:কোদালের কোপে স্ত্রীকে খুন, স্বামীর যাবজ্জীবন

বনগাঁঃ কোদালের কোপে স্ত্রীকে খুন করার দায়ে মঙ্গলবার যাবজ্জীবন সাজা হল স্বামীর। এদিন বনগাঁ মহকুমা আদালতের বিচারক বিদ্যুৎকুমার রায় সাজা ঘোষণা করেছেন। স্বামী রোশন মণ্ডলকে (৬০) বিচারক সাজা পড়ে শুনিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটার ময়না এলাকার বাসিন্দা রোশন ২০১৭ সালের ৪ জুলাই স্ত্রী আলেয়া বিবিকে খুন করেছিল। ওই দিন আলেয়া বাসন মাজছিলেন। বাড়িতে ফিরেই রোশন একটা কোদাল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় সজোরে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় আলেয়া কলপাড়ে লুটিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরেই আলেয়ার মৃত্যু হয়েছিল। স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেই রোশন মৃত স্ত্রীর কান থেকে সোনার দুল খুলে নিয়ে সাইকেল চালিয়ে বনগাঁয় চলে যায়। সেই দুল বিক্রির টাকা নিয়ে সে চম্পট দেয় বাংলাদেশে।

খুনের পরেই আলেয়ার ভাই নাসির মণ্ডল গাইঘাটা থানায় জামাইবাবু রোশনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।ওই বছর ২৫ অগস্ট পেট্রাপোল এলাকা থেকে পুলিশ রোশনকে গ্রেপ্তার করে।বনগাঁ মহকুমা আদালতে বিচার শুরু হয়। দু'বছর ধরে মামলা চলার পর এদিন রোশানের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।

মৃতার ছোট ভাই নাসির বলেন, জামাইবাবু খুব বদমেজাজি ছিল। সংসারে পান থেকে চুন খসলেই দিদিকে মারধর করত।ঘটনার দিন কোদাল দিয়ে দিদির মাথার আঘাত করে মেরে ফেলেছিল। ওর যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় আমরা খুশি। মামলার সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, দু'বছরের মামলার শেষে স্ত্রী খুনের দায়ে স্বামী রোশন মণ্ডলকে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। এই মামলায় ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।গাইঘাটা থানার পুলিশও বেশ তৎপর ছিল। তাই বিচার খুব দ্রুত হয়েছে।

বাইট---1. সমীর দাস, সরকারি কৌঁসুলি

2. নাসির মণ্ডল, নিহতের ভাই।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.