ETV Bharat / state

Gaighata Trees Death : একসময়ের আশ্রয়স্থল এখন আতঙ্ক, রাস্তার ধারে শুকিয়ে যাওয়া গাছ কাটার দাবি স্থানীয়দের - Gaighata Trees Death

উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটা থানার (Gaighata) ঝাউডাঙা পঞ্চায়েত সংলগ্ন এলাকা৷ রাস্তার দু'ধারে কয়েক কিমি জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাণহীন প্রায় 30-32টি গাছ ৷ তীব্র তাপে শুকিয়ে তা কাঠ হয়ে গিয়েছে একরকম৷ ঝড়বৃষ্টিতে প্রায়ই রাস্তায় ডাল ভেঙে পড়ে ৷ এখনও তেমন বড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও তা যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে৷ তাই গাছগুলির মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্নচিহ্নের মধ্যেই স্থানীয়রা চাইছেন অবিলম্বে এই প্রাণহীন গাছগুলি কেটে ফেলে নতুন গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করুক প্রশাসন ৷

Gaighata
রাস্তার ধারে শুকিয়ে যাওয়া গাছ কাটার দাবি স্থানীয়দের
author img

By

Published : Jun 7, 2022, 2:03 PM IST

গাইঘাটা, 7 জুন : রাস্তার দু'ধারে কঙ্কালের মত সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাণহীন বেশ কয়েকটি গাছ । মাঝে মধ্যেই এইসব গাছের ডাল ভেঙে পড়ে রাস্তায় ৷ এখনও পর্যন্ত তেমন দুর্ঘটনা না-ঘটলেও তা যে কোনও মুহূর্তেই ঘটতে পারে ৷ তাই স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন অবিলম্বে এই গাছগুলি কেটে রাস্তার ধারে নতুন গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করুক সরকার (Locals of Jhaudanga demand to cut down the dead trees alongside the road)৷

উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটা থানার অন্তর্গত ঝাউডাঙা থেকে আংরাইল পর্যন্ত রাস্তায় প্রায় 30-32টি এমন নিষ্প্রাণ গাছ রয়েছে ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েতের বক্তব্য, আমফানের পর থেকেই গাছগুলি ধীরে ধীরে মরে গিয়েছে ৷ কিন্তু যেহেতু রাস্তার ধারে লাগানো গাছ পিডব্লিউডির জায়গা তাই স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে না ৷ গাছ কাটার আগে তাদের অনুমতি প্রয়োজন ৷

স্থানীয় এক টোটো চালকের কথায়, রাস্তার পাশে বড় এই গাছগুলি থাকায় গ্রীষ্মকালে চলাচলে খুব সুবিধা হত । মাঠে কাজে গিয়ে গাছগুলির নিচে আশ্রয় নেওয়া যেত । কিন্তু আমফানের পর থেকে কোনও এক অজানা কারণে একে-একে সবুজ সতেজ শিরীষ গাছগুলি মারা গিয়েছে ৷ এখন গাছগুলি কাটার ব্যবস্থা না-করলে তা ভেঙে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ৷ তবে গাছ কাটার পর যেন নতুন গাছ লাগানো হয়, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি ৷

রাস্তার ধারে শুকিয়ে যাওয়া গাছ কাটার দাবি স্থানীয়দের

আরও পড়ুন : India Tour By Bicycle : জল সংরক্ষণ ও গাছ বাঁচানোর বার্তা নিয়ে সাইকেলে ভারত ভ্রমণ যুবকের

কিন্তু এত গাছ একসঙ্গে শুকিয়ে যাওয়ার কারণটা কী ? এ ব্যাপারে অবসরপ্রাপ্ত জীববিজ্ঞানের শিক্ষক অজয় মজুমদার জানান, ছত্রাক ঘটিত রোগের কারণে গাছগুলির মৃত্যু হচ্ছে । রোগ না হলে পর পর এতগুলি গাছ মারা যেত না । তবে রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে মানুষেরও হাত থাকতে পারে ।

আক্ষেপের সুরে স্থানীয়রা বলছেন, এক সময়ের আশ্রয়স্থল এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । একটু হাওয়া বা বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় । কখন যে গাছের ডাল ভেঙে গায়ে পড়ে । প্রশাসন দ্রুত মৃত গাছগুলি কেটে ফেলে তার জায়গায় নতুন করে গাছ লাগাক ।"

এই বিষয়ে স্থানীয় ঝাউডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সমীর বিশ্বাস বলেন, "স্থানীয় মানুষের কথা ভেবে আমরা বনদফতর এবং পিডব্লিউডিকে লিখিতভাবে গাছগুলির মৃত্যুর কথা জানিয়ে তা কাটার আবেদন করেছি । সীমান্তে তারকাটা লাগোয়া এই গাছগুলির মৃত্যুই বা কীভাবে হল তার তদন্ত করেও দেখতে বলেছি ।"

আরও পড়ুন : Bangaon Municipality : যশোর রোডে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত উত্তর 24 পরগনা জেলা প্রশাসনের

গাইঘাটা, 7 জুন : রাস্তার দু'ধারে কঙ্কালের মত সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাণহীন বেশ কয়েকটি গাছ । মাঝে মধ্যেই এইসব গাছের ডাল ভেঙে পড়ে রাস্তায় ৷ এখনও পর্যন্ত তেমন দুর্ঘটনা না-ঘটলেও তা যে কোনও মুহূর্তেই ঘটতে পারে ৷ তাই স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন অবিলম্বে এই গাছগুলি কেটে রাস্তার ধারে নতুন গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করুক সরকার (Locals of Jhaudanga demand to cut down the dead trees alongside the road)৷

উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটা থানার অন্তর্গত ঝাউডাঙা থেকে আংরাইল পর্যন্ত রাস্তায় প্রায় 30-32টি এমন নিষ্প্রাণ গাছ রয়েছে ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েতের বক্তব্য, আমফানের পর থেকেই গাছগুলি ধীরে ধীরে মরে গিয়েছে ৷ কিন্তু যেহেতু রাস্তার ধারে লাগানো গাছ পিডব্লিউডির জায়গা তাই স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে না ৷ গাছ কাটার আগে তাদের অনুমতি প্রয়োজন ৷

স্থানীয় এক টোটো চালকের কথায়, রাস্তার পাশে বড় এই গাছগুলি থাকায় গ্রীষ্মকালে চলাচলে খুব সুবিধা হত । মাঠে কাজে গিয়ে গাছগুলির নিচে আশ্রয় নেওয়া যেত । কিন্তু আমফানের পর থেকে কোনও এক অজানা কারণে একে-একে সবুজ সতেজ শিরীষ গাছগুলি মারা গিয়েছে ৷ এখন গাছগুলি কাটার ব্যবস্থা না-করলে তা ভেঙে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ৷ তবে গাছ কাটার পর যেন নতুন গাছ লাগানো হয়, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি ৷

রাস্তার ধারে শুকিয়ে যাওয়া গাছ কাটার দাবি স্থানীয়দের

আরও পড়ুন : India Tour By Bicycle : জল সংরক্ষণ ও গাছ বাঁচানোর বার্তা নিয়ে সাইকেলে ভারত ভ্রমণ যুবকের

কিন্তু এত গাছ একসঙ্গে শুকিয়ে যাওয়ার কারণটা কী ? এ ব্যাপারে অবসরপ্রাপ্ত জীববিজ্ঞানের শিক্ষক অজয় মজুমদার জানান, ছত্রাক ঘটিত রোগের কারণে গাছগুলির মৃত্যু হচ্ছে । রোগ না হলে পর পর এতগুলি গাছ মারা যেত না । তবে রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে মানুষেরও হাত থাকতে পারে ।

আক্ষেপের সুরে স্থানীয়রা বলছেন, এক সময়ের আশ্রয়স্থল এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । একটু হাওয়া বা বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় । কখন যে গাছের ডাল ভেঙে গায়ে পড়ে । প্রশাসন দ্রুত মৃত গাছগুলি কেটে ফেলে তার জায়গায় নতুন করে গাছ লাগাক ।"

এই বিষয়ে স্থানীয় ঝাউডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সমীর বিশ্বাস বলেন, "স্থানীয় মানুষের কথা ভেবে আমরা বনদফতর এবং পিডব্লিউডিকে লিখিতভাবে গাছগুলির মৃত্যুর কথা জানিয়ে তা কাটার আবেদন করেছি । সীমান্তে তারকাটা লাগোয়া এই গাছগুলির মৃত্যুই বা কীভাবে হল তার তদন্ত করেও দেখতে বলেছি ।"

আরও পড়ুন : Bangaon Municipality : যশোর রোডে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত উত্তর 24 পরগনা জেলা প্রশাসনের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.