বারাসত, 18 এপ্রিল:কোরোনা মোকাবিলায় একদিকে চলছে লকডাউন।অন্যদিকে কাজ হারিয়ে চরম সমস্যায় দিন গুজরান করছেন বারাসতের প্রায়100 দরিদ্র পরিবার।এঁরা সরকারের দেওয়া রেশনের চাল,ডাল ও আটা পেলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ।সেই রেশন সামগ্রী দিয়ে বেশিদিন সংসার চালানোও যাচ্ছে না।পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হলে তো কথায় নেই।চার-পাঁচ দিনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে সেই রেশন সামগ্রী।ফলে বাকি দিনগুলো একপ্রকার অর্ধাহারে দিনযাপন করতে হচ্ছে অসহায় ওই দরিদ্র পরিবার গুলোকে।
এই অবস্থায় তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ালেন স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা।তুলে দেওয়া হল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও খাদ্য সামগ্রী।বিপদে ক্লাবের সদস্যরা পাশে এসে দাঁড়ানোয় খুশি দরিদ্র পরিবারগুলো। বারাসত পৌরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডের ন'পাড়া কালীবাড়ি রোডের পাশে প্রায় 100 দরিদ্র পরিবারের বসবাস।এঁরা সরকারের দেওয়া রেশনের চাল,ডাল ও আটা পেলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ।ফলে,সেই রেশন সামগ্রী দিয়ে বেশিদিন চালানো যাচ্ছে না সংসার । আজ সকালে ওই 100 অসহায় পরিবারের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে স্থানীয় কিশোর স্পোর্টিং ক্লাব।অসময়ে ক্লাবের সদস্যরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় খুশি পরিবারের লোকেরা।তাঁদের কথায়,"বিপদের সময়ে ওঁরা এভাবে পাশে না দাঁড়ালে হয়তো না খেয়েই মরতে হত।ওঁদের সহযোগিতা সহজে ভুলতে পারব না"।
এবিষয়ে কিশোর স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা সানি ঘোষ ও বাবু মজুমদার বলেন,"লকডাউনের জেরে ওই সমস্ত দরিদ্র পরিবারগুলোর রুটি রুজিতে টান পড়েছিল।তাঁরা অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছিলেন।সেকথা জানতে পেরে আমরা ওঁদের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলাম।মানুষ হিসাবে মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেছি মাত্র।মানুষের যেকোনও বিপদে আমরা সবসময় রয়েছি"।
এদিকে,আজ দুপুরে মধ্যমগ্রামের আব্দালপুরের সারদা পল্লিতে শতাধিক দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী দান করে চট্টগ্রাম সেবা সমিতি।এইভাবে আগামীদিনেও অসহায় মানুষের পাশে তাঁরা দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি দিলীপ চৌধুরি। প্রসঙ্গত,লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকেই অসহায় গরির মানুষের মধ্যে খাবার তুলে দেওয়ার কাজ নিয়মিত করে চলেছে বারাসতের বিভিন্ন সামাজিক ও গণ সংগঠনগুলো।