ETV Bharat / state

বারাসতে বক্তব্য শেষ করতে পারব? স্ত্রী'কে উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল

কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে হয়েছিল আচার্য জগদীপ ধনকড়কে ৷ ফলে বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিয়ে কেমন অভিজ্ঞতা হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি ৷ তবে বারাসতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে ৷ অনুষ্ঠানের পর তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি ৷

Governor's Speech
রাজ্যপাল
author img

By

Published : Feb 25, 2020, 4:21 PM IST

Updated : Feb 25, 2020, 5:11 PM IST

বারাসত,25 ফেব্রুয়ারি : বারাসতের অভিজ্ঞতা কলকাতা বা যাদবপুরের মতো হয়নি । আমি ফার্স্ট লেডিকে সেটা জানাব । আজ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন উৎসবে যোগদান করে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । সমাবর্তন উৎসবের মঞ্চে ভাষণে রাজ্যপাল শিক্ষার আলোচনা করতে গিয়ে দেশ ও রাজ্য রাজনীতির আলোচনাও করলেন । সমাবর্তন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরি ও ইন্ডিয়ান স্ট্যটিসটিকাল ইনস্টিটিউটের ভাটনগর পুরস্কারপ্রাপ্ত সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

সমাবর্তন উৎসবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপাল প্রথমেই বিশেষ অতিথি সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন । তারপর তিনি বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন । তিনি রাজ্য প্রসঙ্গে তাঁর দর্শন ও মতানৈক্য নিয়ে বললে একযোগে কাজকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেন । রাজ্যপাল আজ ফের বলেন, "সংস্কৃতির পীঠস্থান এই রাজ্যে হিংসা হয় । এখানে হিংসা হজম করতে কষ্ট হয় ৷" মঞ্চে তাঁর সমাবর্তন উৎসবের ভাষণেই রাজ্যে হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন । তবে ছাত্রদের সাত বচন বা সাতটি উপদেশ দেওয়ার ফাঁকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সুখ্যাতি করেন । বলেন,"বারাসতে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগে সন্দিহান ছিলাম আদৌ বক্তব্য পেশ করতে পারব কি না।" মঞ্চেই জানান, এনিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথাও হয় । এনিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানেও বক্তব্য পেশ করতে বাধা পেতে পারেন বলে মনে করেছিলেন তিনি।

বক্তব্য রাখছেন রাজ্যপাল

স্বাভাবিকভাবেই ভাষণ শেষ করতে পেরে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন আচার্য ধনকড় । পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সময় অবশ্য তিনি অন্য দিনের মতো সমালোচনায় সরব ছিলেন না । খোলামেলাভাবে রাজ্য পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেননি । শিক্ষার বৃত্ত থেকে না বেরিয়ে তিনি বলেন," যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাতে আমি খুশি।"

আজ মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্যে রাজ্যপাল শিক্ষাঙ্গনে রাজ্য-রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব মেটানোর উপর জোর দেন । রাজ্যে দায়িত্ব নেওয়ার পরই রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই শিলিগুড়িতে জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন ধনকড় । এই ঘটনা ভালোভাবে নেয়নি রাজ্য সরকার । এরপর কখনও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে, কখনও বা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল । মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের অন্য মন্ত্রীরাও রাজ্যপালকে পালটা আক্রমণ করেন ।

উত্তপ্ত পরিবেশের পর বারাসতে কি ঘটবে সে নিয়ে রাজনৈতিক মহলের চিন্তা ছিল । কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল বৈঠকে বসেন । তারপর আজ বারাসতে নির্বিঘ্নে রাজ্যপালের বক্তব্য রাখার পর সব মহলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ।

বারাসত,25 ফেব্রুয়ারি : বারাসতের অভিজ্ঞতা কলকাতা বা যাদবপুরের মতো হয়নি । আমি ফার্স্ট লেডিকে সেটা জানাব । আজ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন উৎসবে যোগদান করে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । সমাবর্তন উৎসবের মঞ্চে ভাষণে রাজ্যপাল শিক্ষার আলোচনা করতে গিয়ে দেশ ও রাজ্য রাজনীতির আলোচনাও করলেন । সমাবর্তন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরি ও ইন্ডিয়ান স্ট্যটিসটিকাল ইনস্টিটিউটের ভাটনগর পুরস্কারপ্রাপ্ত সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

সমাবর্তন উৎসবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপাল প্রথমেই বিশেষ অতিথি সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন । তারপর তিনি বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন । তিনি রাজ্য প্রসঙ্গে তাঁর দর্শন ও মতানৈক্য নিয়ে বললে একযোগে কাজকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেন । রাজ্যপাল আজ ফের বলেন, "সংস্কৃতির পীঠস্থান এই রাজ্যে হিংসা হয় । এখানে হিংসা হজম করতে কষ্ট হয় ৷" মঞ্চে তাঁর সমাবর্তন উৎসবের ভাষণেই রাজ্যে হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন । তবে ছাত্রদের সাত বচন বা সাতটি উপদেশ দেওয়ার ফাঁকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সুখ্যাতি করেন । বলেন,"বারাসতে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগে সন্দিহান ছিলাম আদৌ বক্তব্য পেশ করতে পারব কি না।" মঞ্চেই জানান, এনিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথাও হয় । এনিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানেও বক্তব্য পেশ করতে বাধা পেতে পারেন বলে মনে করেছিলেন তিনি।

বক্তব্য রাখছেন রাজ্যপাল

স্বাভাবিকভাবেই ভাষণ শেষ করতে পেরে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন আচার্য ধনকড় । পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সময় অবশ্য তিনি অন্য দিনের মতো সমালোচনায় সরব ছিলেন না । খোলামেলাভাবে রাজ্য পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেননি । শিক্ষার বৃত্ত থেকে না বেরিয়ে তিনি বলেন," যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাতে আমি খুশি।"

আজ মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্যে রাজ্যপাল শিক্ষাঙ্গনে রাজ্য-রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব মেটানোর উপর জোর দেন । রাজ্যে দায়িত্ব নেওয়ার পরই রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই শিলিগুড়িতে জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন ধনকড় । এই ঘটনা ভালোভাবে নেয়নি রাজ্য সরকার । এরপর কখনও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে, কখনও বা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল । মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের অন্য মন্ত্রীরাও রাজ্যপালকে পালটা আক্রমণ করেন ।

উত্তপ্ত পরিবেশের পর বারাসতে কি ঘটবে সে নিয়ে রাজনৈতিক মহলের চিন্তা ছিল । কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল বৈঠকে বসেন । তারপর আজ বারাসতে নির্বিঘ্নে রাজ্যপালের বক্তব্য রাখার পর সব মহলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ।

Last Updated : Feb 25, 2020, 5:11 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.