বারাসত, 30 জুন : কাশ্মীরে পঞ্চায়েত ভোট হয়, কিন্তু পাহাড়ে 2000 সাল থেকে কোনও পঞ্চায়েত ভোট হয়নি। কলকাতা হাইকোর্ট 2017 সালের মার্চের মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট করার নির্দেশ দিয়েছিল । তারপরও পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে না । শনিবার বারাসত আদালতে পুরনো একটি মামলায় হাজিরা দিতে এসে এই আক্ষেপ করলেন জন আন্দোলন পার্টির নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রী।
হরকার প্রশ্ন, "কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সক্রিয় । আর পাহাড়ের মানুষ ভারতীয় নাগরিক থাকার আন্দোলন করছে । তবু কেন পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হবে না।" পাহাড়ে BJP-র জয়ের জন্য রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি । তিনি বলেন, "পাহাড়ে পুলিশের জুলুমবাজির জন্য মানুষের মধ্যে জনরোষ তৈরি হয়েছিল । তাঁর ফলেই পাহাড়ের মানুষ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে ।" তবে,পাহাড়ে BJP-র উত্থান হলেও এখন কোনও নির্বাচন হলে তারা একটি আসনও পাবে না বলে দাবি করেছেন হরকা ।
জিটিএ নির্বাচন না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, " আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকার জন্যই বিনয় তামাং ও রাজ্য সরকার জিটিএ-র ভোট করাচ্ছে না। 2016 সালের মে মাসে এই ভোট হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি । রাজ্য সরকারের কারণেই পাহাড়ের গণতন্ত্র এখন দমবন্ধ।" হরকা বাহাদুর আজ এক হাত নেন পাহাড় ছাড়া মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি বিমল গুরুংকেও । তিনি বলেন, "গুরুং ও তাঁর সমর্থকরা আত্মবিশ্বাসী নন বলেই পাহাড়ে ফিরছেন না ।" পাশাপাশি হরকা পাহাড়ে জিটিএ অডিটের দাবীও তোলেন ।