বারাসত, 21 জুন : বউদিকে মানসিক রোগী সাজিয়ে দাদার সম্পত্তি হাতানোর অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে । দত্তপুকুর থানার বামনগাছির বামনপাড়া এলাকার ঘটনা । অভিযুক্ত বাপ্পা দাসের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন দাদা কৌশিক দাস ।
বামনগাছির বামনপাড়া এলাকার বাসিন্দা কৌশিক দাস । তাঁর স্ত্রী দেবলীনা দাসকে নিয়ে যৌথ পরিবারেই বসবাস করতেন । পরে কৌশিকবাবু স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন । জানা গেছে, নিজের বেশিরভাগ স্থাবর সম্পত্তি স্ত্রী দেবলীনা দাসের নামে করেন কৌশিকবাবু ।
এরইমধ্যে 2017 সালের 29 নভেম্বর একটি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হন কৌশিকবাবু । প্রায় একবছর দমদম সংশোধনাগারে বন্দী ছিলেন তিনি । বাড়ি ফিরে কৌশিকবাবু লক্ষ্য করেন, তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন । স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতেই আসল ব্যাপারটি সামনে আসে । কথায় কথায় তিনি জানতে পারেন, টাকার প্রয়োজন আছে বলে তাঁর ভাই বাপ্পা দাস বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী দেবলীনার কাছ থেকে প্রচুর টাকা নেন । আর সেই টাকা জোগাড় করতে গিয়ে দেবলীনা বেশকিছু সম্পত্তি বিক্রিও করেন । অভিযোগ, এ বিষয়ে তাঁর ভাইকে মদত দেন শাশুড়ি হেনা হালদার । সেই সঙ্গে তাঁর দুই শ্যালিকা পায়েল ও রিঙ্কু হালদারও একাজে যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন কৌশিকবাবু ।
আরও পড়ুন : বোড়ালে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি, প্রেমে বাধা দেওয়ায় হামলা ?
তিনি বলেন, "আমি জেলে যাওয়ার পর থেকেই আমার স্ত্রী দেবলীনা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তাঁর এই মানসিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে আমার ভাই বাপ্পা ও শাশুড়ি স্ত্রীর কাছ থেকে সম্পত্তি লিখিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, আমার স্ত্রীকে কলকাতায় একটি ভাড়া বাড়িতে রেখে আসে ।" তিনি জেল থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর খোঁজে শ্বশুরবাড়ি গেলে জানতে পারেন, সেখানে দেবলীনা নেই । তাঁর স্ত্রী কলকাতায় একটি বাড়ি ভাড়া করে আছেন । পরে কলকাতার সেই ভাড়াবাড়ি থেকে স্ত্রী দেবলীনাকে উদ্ধার করেন কৌশিকবাবু ।
আরও পড়ুন : সাতগাছিয়ায় BJP-র পার্টি অফিস পুনর্দখল তৃণমূলের
স্ত্রীকে মানসিক রোগী বানিয়ে তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে এই মর্মে ভাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান কৌশিক দাস । বারাসতে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে ভাইয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তিনি । দু'মাস আগে এই অভিযোগ জমা পড়লেও পুলিশ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। যদিও বারাসতের পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, "অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখছি। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে । "