বারাসত, 7 নভেম্বর : হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বাইক আরোহী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠল ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর বিরদ্ধে । টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওই ব্যবসায়ীকে আটকে ট্র্যাফিক বুথের ভিতর মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে । ঘটনার জেরে গতকাল সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়ায় বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে । ঘটনার পরই বারাসত থানার IC দীপংকর ভট্টাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা । পরে, বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হলে শান্ত হয় বিক্ষোভকারীরা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সন্ধ্যায় অশোকনগর থেকে বাইকে করে কলকাতার দিকে ব্যবসার কাজে যাচ্ছিলেন রঞ্জিত দাস নামে এক ব্যক্তি । বারাসত চাঁপাডালি মোড়ের কাছে আসতেই আটকানো হয় তাঁর বাইক । অভিযোগ, চেকিংয়ের নামে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা চান কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী দুর্লভ দাস । কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কেন জরিমানা ? ওই ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর কাছে তা জানতে চাওয়া হলে ওই ব্যবসায়ীকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ । এমনকী টাকা দিতে অস্বীকার করায় চাঁপাডালি মোড়ের ট্র্যাফিক বুথের ভিতর ব্যবসায়ীকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন ওই ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী ।
ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে । উত্তেজিত জনতা সরব হন পুলিশি জুলুমের অভিযোগে । পরিস্থিতির আঁচ পেয়ে অভিযুক্ত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীকে ঘটনাস্থান থেকে সরিয়ে দেন তাঁর সহকর্মীরা । এতে আগুনে আরও ঘৃতাহুতি হয় । অভিযুক্ত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীকে প্রকাশ্যে আনার জন্য বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসেন বারাসত থানার IC দীপংকর ভট্টাচার্য । তাঁকে ঘিরেও চলতে থাকে সেই বিক্ষোভ । এরপর পুলিশের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস পেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।
এই বিষয়ে আক্রান্ত ব্যবসায়ী রঞ্জিত দাস বলেন, "এর আগেও চাঁপাডালি মোড়ের ট্র্যাফিক পুলিশ টাকা চেয়েছিল আমার কাছে । এদিনও বাইক আটকে এক হাজার টাকা চাওয়া হয় । দিতে অস্বীকার করায় আমার গলা টিপে ধরে এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী । মারধরও করা হয় আমাকে । অভিযুক্ত ওই ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর উপযুক্ত শাস্তি চাই ।"
এদিকে, পুলিশি জুলুমবাজি নিয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আম জনতাও । তাঁদের কথায়, "কারণে, অকারণে প্রায়ই এখানে বাইক ও গাড়ি চালকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে । পুলিশের এই জুলুমবাজি বন্ধ হওয়া দরকার ।"
চাঁপাডালি মোড়ের ট্র্যাফিক OC আশিস চক্রবর্তী বলেন, "ঘটনাটি ঠিক আমার জানা নেই । তবে, খতিয়ে দেখার পরই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব ।"