বনগাঁ, 6 জানুয়ারি: একটানা 17 ঘণ্টা তল্লাশির পর গ্রেফতার বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান শংকর আঢ্য ৷ শুক্রবার সকাল সাড়ে 7টা থেকে রাত সাড়ে 12টা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে ম্যারাথন তল্লাশি চলে বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধানের বাড়িতে ৷ এরপর রাতেই শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ রাত 12টা 32 মিনিট নাগাদ শংকর আঢ্যকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বের করে আনেন ইডি আধিকারিকরা ৷
তাঁকে ইডি বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা ৷ ইডির গাড়ি লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ৷ ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াতেই লাঠিচার্জ করেন সিআরপিএফ জওয়ানরা ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনগাঁ থানার পুলিশও ৷
রাতেই তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এদিকে, শংকর আঢ্যর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য জানান, সকাল সাড়ে সাতটা থেকে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন তাঁরা ৷ তা সত্ত্বেও রাত 12টা 15 মিনিট নাগাদ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথা তুলে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ এর নেপথ্যে চক্রান্ত আছে বলে তাঁর অভিযোগ ৷ তবে রাতের দিকে শংকর আঢ্যর শ্বশুরবাড়ি থেকে ইডিআধিকারিকরা বেরিয়ে আসার সময় জানা যায়, সেখান থেকে নগদ সাড়ে 8 লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে ৷
শুক্রবার সকালে পৌরসভার প্রক্তন চেয়ারম্যানের বাড়ি-সহ বনগাঁর পাঁচটি জায়গায় হানা দেয় ইডি ৷ এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের বাড়ি, তাঁর শ্বশুর বিনয় ঘোষের বাড়ি, তাঁর দুই কর্মচারী অঞ্জন মালাকার ও বিশ্বজিৎ ঘোষের বাড়ি এবং তাঁর ভাই মলয় আঢ্যর আইসক্রিম মিলে ইডি হানা দেয় ৷ সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে ইডির তরফ থেকে ডেকে পাঠানো হয় বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধান শংকর আঢ্যকে ৷ তিনি বেশকিছু নথিপত্র জমা দিয়ে সেই ইডি হাজিরা এড়িয়ে যান ৷ তারপরে শুক্রবার সকালে শংকর আঢ্যর বাড়ি-সহ মোট পাঁচটি জায়গায় ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালায়। ইডি আধিকারিকরা বেশ কিছু নথিপত্র খতিয়ে দেখেছেন ৷
আরও পড়ুন:
- শেষ মুহূর্তে সরকারকে জানালেও পরিস্থিতি এত খারাপ হত না, সন্দেশখালি নিয়ে দাবি শশীর
- ন্দেশখালি ঘটনায় 10 জনকে আটক করল পুলিশ, বাড়ল তৎপরতাও
- হত্যার উদ্দেশেই আধিকারিকদের উপর হামলা, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল ইডি