বারাসত, 15 এপ্রিল: মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পেতেই কি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন বারাসতের কলেজ ছাত্রী ? নাকি তাঁর মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য ? তদন্ত নেমে সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরই পাওয়ার চেষ্টা করছে তদন্তকারী দল । যদিও মৃত সোহিনীর বাবা ধীমান আইচ এখনও নিখোঁজ ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের যে হোটেল থেকে বৃহস্পতিবার অচৈতন্য অবস্থায় কলেজ ছাত্রী সোহিনী আইচ ও তাঁর ঠাকুমা আভা আইচকে উদ্ধার করা হয়, সেই হোটেলের রুম থেকে ইতিমধ্যে ঘুমের ওষুধের শিশি এবং ছাত্রীর বাবার মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে । প্রাথমিকভাবে পুলিশেরও অনুমান, ঘুমের ওষুধ খেয়েই সম্ভবত আত্মঘাতী হয়েছেন সোহিনী । হোটেল রুমেই তাঁর মৃত্যু হলেও অপরজন অর্থাৎ আভা আইচের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে (Grandmother and Granddaughter Unconscious)।
আরও পড়ুন: Grandmother and Granddaughter Unconscious: হোটেল থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার ঠাকুমা, মৃত নাতনি
মৃত কলেজ ছাত্রীর বাড়ি বারাসতে । বছর বাইশের সোহিনী বারাসত গভমেন্ট কলেজে বোটানি অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করতেন । পরিবারের একমাত্র সন্তান তিনি । পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘ দু'বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন সোহিনী । অবসাদের জেরে পরিবারে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত ৷ তবে, বাইরে কখনও সে অস্বাভাবিক আচরণ করত না বলে দাবি পরিবারের লোকেদের । সকলের সঙ্গে মিশতেন হাসিখুশি মুখে । ফলে, মানসিক অবসাদ থেকে ওই কলেজ ছাত্রী এমন ঘটনা ঘটাবেন, তা একেবারে কল্পনার বাইরে ছিল পরিবারের লোকেদের কাছে ।