বারাসত, 2 অগাস্ট : কাটমানির বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল বারাসতে ৷ সরকারি খাস জমি ও পাট্টা প্রাপকদের জমি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ ইফতিকারউদ্দিনের বিরুদ্ধে ৷ তিনি বারাসত 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও যুব তৃণমূলের সভাপতি । এই নিয়ে তাঁর নামে ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারও পড়েছে ৷ কয়েকটি পোস্টারে 5 লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ, আবার কয়েকটি জায়গায় আন্দুলিয়া মৌজায় জনগণের ব্যবহৃত জমি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ৷ পোস্টারে একেবারে নীচে লেখা সৌজন্যে আন্দুলিয়া গ্রামবাসীরা ৷ আচমকাই এই পোস্টার সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছে শাসকদলের অন্দরেও ৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা ৷
বারাসত 2 নম্বর ব্লকের আন্দুলিয়া মৌজায় কয়েক একর সরকারি খাস জমি ও পাট্টা প্রাপকদের জমি রয়েছে ৷ অভিযোগ, সেই জমির একাংশ বেআইনিভাবে স্থানীয় এক বেসরকারি সংস্থাকে লিজ়ে দেওয়া হয়েছে ৷ আর তা কাটমানির বিনিময়ে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেই দাবি স্থানীয়দের ৷ আর এই ঘটনাতে নাম জড়িয়েছে বারাসত 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও যুব তৃণমূলের সভাপতি ইফতিকারউদ্দিনের ৷ বিষয়টি জানার পরই গ্রামবাসীরা একের পর এক পোস্টার সাঁটিয়েছে তাঁর নামে ৷ ব্লকের আন্দুলিয়া, খড়িবাড়ি, কেমিয়াখামার পাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গেছে ৷ কোনও পোস্টার সাঁটানো হয়েছে দেওয়ালের গায়ে ৷ আবার কোনও পোস্টার দেওয়া হয়েছে রাস্তার ধারের বিভিন্ন দোকানের দেওয়ালে ৷ সেই পোস্টার এখনও জ্বলজ্বল করছে ৷ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে এলাকায় ৷
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "সরকারি খাস জমি ও পাট্টা প্রাপকদের ব্যবহৃত জমি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ কাটমানির বিনিময়েই এই কাজ করেছেন ইফতিকারউদ্দিন ৷ প্রশাসনের উচিত ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া ৷" বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও যুব তৃণমূল নেতা ইফতিকারউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হয় ৷ এ বিষয়ে তিনি বলেন, " যাদের পাট্টা জমি তাঁরা ওই সংস্থাকে কেন লিজ় দিয়েছে , সেটা তাঁরাই বলতে পারবেন । এটা স্থানীয় কয়েক জনের চক্রান্ত । বিষয়টি আমি ব্লকের সভাপতিকেও জানিয়েছি ৷ " এ বিষয়ে বারাসত 2 নম্বর ব্লকের BDO অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা সম্ভব হয়নি ৷