ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের বাস্তবায়নে পুলিশের গা-ছাড়া ভাব ?

বিভিন্ন এলাকায় ভিড় রুখতে পুলিশ প্রশাসনকে কড়া হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । ভিড়ের উপর নজরদারি চালাতে বারসতের কিছু এলাকায় টহল দিতে দেখা যায় পুলিশকে । কিছু এলাকায় আবার পুলিশের গা ছাড়া ভাবের অভিযোগ উঠেছে ।

crowd
ভিড়
author img

By

Published : Apr 18, 2020, 1:52 PM IST

বারাসত, 18 এপ্রিল : কোরোনা সংক্রমণ রুখতে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তর 24 পরগনার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিশেষ করে বিভিন্ন বাজার ও মুদি দোকানগুলিতে জমায়েত রুখতে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি । প্রয়োজনে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরও কোথাও পুলিশকে সক্রিয় হতে দেখা গেল । আবার কোথাও উঠল নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ । এমনই দৃশ্য ধরা পড়েছে জেলা সদর বারাসতে ।

বারাসতে বেশ কয়েকটি বড় সবজি ও মাছের বাজার রয়েছে । রয়েছে ছোটো-বড় মিলিয়ে একাধিক মুদি দোকানও । লকডাউন উপেক্ষা করেই গত কয়েকদিন ধরে এই সমস্ত সবজি, মাছের বাজার ও মুদি দোকানগুলিতে ভিড় জমাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ । কোনওরকম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই ছিল না । সেই অভিযোগ কানে পৌঁছায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । এরপরই গতকাল জেলা প্রশাসনকে কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার নির্দেশ দেন তিনি । তারপরই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ প্রশাসন । যদিও, বারাসতের কিছু জায়গায় জমায়েত রুখতে পুলিশকে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ । দেখা যায়নি পুলিশ মোতায়েন করতেও । যদিও, জমায়েত ঠেকাতে সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন ।

কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে এই রাজ্যের চারটি জেলাকে হটস্পট অর্থাৎ রেড জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । তার মধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলাও রয়েছে । এই জেলাকে রেড জ়োন থেকে অরেঞ্জ জ়োনে নিয়ে আসতে জেলা প্রশাসনকে 14 দিন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । এরপর আজ সকাল থেকেই জমায়েত রুখতে বারাসতের হাউজ়িং বাজার, কাছারি মাঠ সংলগ্ন বাজারসহ বেশ কয়েকটি সবজি ও মাছের বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয় । যদিও, হেলাবটতলা সংলগ্ন সবজি ও মুদি দোকানগুলিতে ভিড় করেই চলে কেনাবেচা । কোনওরকম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই নেই । সেখানে জমায়েত রুখতে না ছিল পুলিশি ব্যবস্থা, না ছিল কোনওরকম সচেতনতা । ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে কেন ওই বাজারে পুলিশ উদ্যোগী হল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।

এমন দৃশ্য বিপজ্জনক বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহলের একাংশ । যদিও,জমায়েত আটকাতে ও মানুষকে সচেতন করতে ইতিমধ্যে সবরকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর । তিনি বলেন, "লকডাউন অমান্য করলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ইতিমধ্যে নির্দেশ অমান্য করে জমায়েত করায় বেশকিছু বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । এক্ষেত্রে কোনওরকম আপোস করার প্রশ্নই নেই ।"

বারাসত, 18 এপ্রিল : কোরোনা সংক্রমণ রুখতে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তর 24 পরগনার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিশেষ করে বিভিন্ন বাজার ও মুদি দোকানগুলিতে জমায়েত রুখতে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি । প্রয়োজনে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরও কোথাও পুলিশকে সক্রিয় হতে দেখা গেল । আবার কোথাও উঠল নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ । এমনই দৃশ্য ধরা পড়েছে জেলা সদর বারাসতে ।

বারাসতে বেশ কয়েকটি বড় সবজি ও মাছের বাজার রয়েছে । রয়েছে ছোটো-বড় মিলিয়ে একাধিক মুদি দোকানও । লকডাউন উপেক্ষা করেই গত কয়েকদিন ধরে এই সমস্ত সবজি, মাছের বাজার ও মুদি দোকানগুলিতে ভিড় জমাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ । কোনওরকম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই ছিল না । সেই অভিযোগ কানে পৌঁছায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । এরপরই গতকাল জেলা প্রশাসনকে কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার নির্দেশ দেন তিনি । তারপরই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ প্রশাসন । যদিও, বারাসতের কিছু জায়গায় জমায়েত রুখতে পুলিশকে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ । দেখা যায়নি পুলিশ মোতায়েন করতেও । যদিও, জমায়েত ঠেকাতে সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন ।

কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে এই রাজ্যের চারটি জেলাকে হটস্পট অর্থাৎ রেড জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । তার মধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলাও রয়েছে । এই জেলাকে রেড জ়োন থেকে অরেঞ্জ জ়োনে নিয়ে আসতে জেলা প্রশাসনকে 14 দিন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । এরপর আজ সকাল থেকেই জমায়েত রুখতে বারাসতের হাউজ়িং বাজার, কাছারি মাঠ সংলগ্ন বাজারসহ বেশ কয়েকটি সবজি ও মাছের বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয় । যদিও, হেলাবটতলা সংলগ্ন সবজি ও মুদি দোকানগুলিতে ভিড় করেই চলে কেনাবেচা । কোনওরকম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই নেই । সেখানে জমায়েত রুখতে না ছিল পুলিশি ব্যবস্থা, না ছিল কোনওরকম সচেতনতা । ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে কেন ওই বাজারে পুলিশ উদ্যোগী হল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।

এমন দৃশ্য বিপজ্জনক বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহলের একাংশ । যদিও,জমায়েত আটকাতে ও মানুষকে সচেতন করতে ইতিমধ্যে সবরকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর । তিনি বলেন, "লকডাউন অমান্য করলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ইতিমধ্যে নির্দেশ অমান্য করে জমায়েত করায় বেশকিছু বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । এক্ষেত্রে কোনওরকম আপোস করার প্রশ্নই নেই ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.