শ্যামনগর, 16 নভেম্বর : টাকার বিনিময়ে প্রার্থী দেওয়ার অভিযোগ ওড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ৷ নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থীদের থেকে 1 লক্ষ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ তার প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি পার্টির কোনও সম্পর্ক নেই ৷"
বীরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শ্যামনগর ভারতচন্দ্র গ্রন্থাগার কক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের দক্ষিণবঙ্গের প্রাক্তন সম্পাদক উত্তম অধিকারী, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ব্যারাকপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক রোহিত সাউ-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রার্থী পিছু 1 লক্ষ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি পার্টির কোনও সম্পর্ক নেই ৷ বিজেপির কোনও নেতা এরকম কোনও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।" শুধু তাই নয়, অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে বিজেপির থেকে ধাক্কা খেয়ে তাঁর জ্ঞান ফিরেছে । কলকাতা ও হাওড়া পুরভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের এই ভোটে বিজেপি তার সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে লড়াই করবে ।"
কয়েকদিন আগে কাঁথিতে দু'জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন ৷ এই বিষয়ে বলতে গিয়ে দিলীপ বলেন, "আগে থেকেই তাদের ধমকি দেওয়া হচ্ছিল ৷ এই খুনের রাজনীতি কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে চলছে, যবে থেকে রাজ্যে বিজেপি শক্তিশালী হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত প্রায় 200-এর বেশি কর্মী খুন হয়েছেন । তৃণমূল ভয় পেয়ে আমাদের কর্মীদের খুন করছে । তৃণমূলের অন্দরে নিজেরা নিজেদের কর্মী-মন্ত্রীদের খুন করে, কিন্তু বিজেপি কখনও নিজেদের কর্মী-মন্ত্রীদের খুনের রাজনীতি করে না ।"
আরও পড়ুন: শ্যমাপ্রসাদ আমাদের সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন : দিলীপ
সোমবার সিঙ্গুরে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁদের জোর করে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এর আগেও বহুবার একই ঘটনা ঘটেছে, যাঁরা পুলিশের চাকরির পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি ৷ এসএসসি পরীক্ষায় যাঁরা পাস করেছেন তাঁদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না ৷ রেজাল্ট বের করা হচ্ছে না ৷ যাঁরা চাকরি করছেন তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, ডিএ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ৷ আর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য কোনও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না । তাঁদের হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিতে হচ্ছে ৷ তারপরও তাঁদের প্রতিবাদে বাধা দেওয়া হচ্ছে ৷ পুলিশকে দিয়ে তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷"