ETV Bharat / state

আজকের অনাস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ ছিল হাইকোর্টের, দাবি BJP-র - no confidence motion

বনগাঁ পৌরসভায় তৃণমূল জয়ের পরে নতুন যুক্তি দেখাচ্ছে BJP ৷ আজকের অনাস্থা ভোটে না কি স্থগিতাদেশ ছিল হাইকোর্টের ৷ বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোটে তৃণমূলের জয়ের পর এমনটাই দাবি করলেন BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চ্যাটার্জি ও সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডল ৷

সভাপতি ও সহ সভাপতি
author img

By

Published : Sep 5, 2019, 6:35 PM IST

বারাসত, 5 সেপ্টেম্বর : আজকের অনাস্থা ভোটে না কি স্থগিতাদেশ ছিল হাইকোর্টের ৷ বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোটে আজ তৃণমূলের জয়ের পর এই দাবি করলেন BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শংকর চ্যাটার্জি ও সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডল ৷ শুধু তাই নয়, অনাস্থা ভোটের দিন বনগাঁ পৌরসভার প্রত্যেক কাউন্সিলরকে পুলিশি নিরাপত্তার আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷ কিন্তু গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, হাইকোর্টের সেই আদেশও মানা হয়নি ৷ BJP কাউন্সিলরদের দেওয়া হয়নি নিরাপত্তা ৷

22 আসনের বনগাঁ পৌরসভায় পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের 12 জন কাউন্সিলর ৷ এরপরেই দিল্লিতে গিয়ে তাঁরা BJP-তে যোগ দেন । ফলে পৌরসভায় কাউন্সিলরের সংখ্যা দাঁড়ায় BJP-র 12 ও তৃণমূলের 8 । বাকি 2 টি আসনের মধ্যে একটি CPI(M) ও অন্য একটি কংগ্রেসের । কিছু দিন পরে BJP থেকে এক কাউন্সিলর পুরোনো দল তৃণমূলে ফিরে যায় । ফলে BJP-র আসন সংখ্যা কমে হয় 11 ও তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় 9 । এই সমীকরণ নিয়েও BJP-র অনাস্থা ভোট জেতার কথা ৷ কিন্তু ভোটের দিন 16 জুলাই তাদের 2 কাউন্সিলরকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানায় BJP ৷ বন্ধ হয়ে যায় ভোটাভুটি ৷ এরপরই হাইকোর্টে পিটিশন দেন BJP-র এই 11 জন কাউন্সিলর । হাইকোর্ট নতুন করে জেলাশাসকের দপ্তরে অনাস্থা ভোটের নির্দেশ দেয় ৷ অনাস্থা ভোটের দিন স্থির হয় 5 সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ ৷ কিন্তু এর মাঝখানে আরও 4 কাউন্সিলর BJP ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে যায় ৷ ফলে কাউন্সিলরের দাঁড়ায় BJP-র 7 ও তৃণমূলের 13 ৷ আজ ভোটাভুটির সময় এই 13 জন কাউন্সিলরই পৌরপ্রধান শংকর আঢ্যের পক্ষে ভোট দেন ৷ আরও একটি ভোট দেয় কংগ্রেস কাউন্সিলর ৷ ফলে সংখ্যা দাঁড়ায় 14-0 ৷

বনগাঁ পৌরসভায় তৃণমূল জয়ের পরে নতুন যুক্তি দেখাচ্ছে BJP ৷ আজ বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চ্যাটার্জি ও সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডল জানান, পিটিশনে যে 11 জনের স্বাক্ষর ছিল তাঁদের মধ্যে 4 জন তৃণমূলে চলে গেছেন ৷ তাই আদৌ এই অনাস্থা ভোটের কোনও গুরুত্ব আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা ৷ পাশাপাশি তাঁদের দাবি, আজকের অনাস্থা ভোটের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ৷ যদিও আদালত সূত্রে খবর, অনাস্থা ভোট নিয়ে এখনও কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট ৷ এবিষয়ে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি ৷

বারাসত, 5 সেপ্টেম্বর : আজকের অনাস্থা ভোটে না কি স্থগিতাদেশ ছিল হাইকোর্টের ৷ বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোটে আজ তৃণমূলের জয়ের পর এই দাবি করলেন BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শংকর চ্যাটার্জি ও সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডল ৷ শুধু তাই নয়, অনাস্থা ভোটের দিন বনগাঁ পৌরসভার প্রত্যেক কাউন্সিলরকে পুলিশি নিরাপত্তার আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷ কিন্তু গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, হাইকোর্টের সেই আদেশও মানা হয়নি ৷ BJP কাউন্সিলরদের দেওয়া হয়নি নিরাপত্তা ৷

22 আসনের বনগাঁ পৌরসভায় পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের 12 জন কাউন্সিলর ৷ এরপরেই দিল্লিতে গিয়ে তাঁরা BJP-তে যোগ দেন । ফলে পৌরসভায় কাউন্সিলরের সংখ্যা দাঁড়ায় BJP-র 12 ও তৃণমূলের 8 । বাকি 2 টি আসনের মধ্যে একটি CPI(M) ও অন্য একটি কংগ্রেসের । কিছু দিন পরে BJP থেকে এক কাউন্সিলর পুরোনো দল তৃণমূলে ফিরে যায় । ফলে BJP-র আসন সংখ্যা কমে হয় 11 ও তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় 9 । এই সমীকরণ নিয়েও BJP-র অনাস্থা ভোট জেতার কথা ৷ কিন্তু ভোটের দিন 16 জুলাই তাদের 2 কাউন্সিলরকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানায় BJP ৷ বন্ধ হয়ে যায় ভোটাভুটি ৷ এরপরই হাইকোর্টে পিটিশন দেন BJP-র এই 11 জন কাউন্সিলর । হাইকোর্ট নতুন করে জেলাশাসকের দপ্তরে অনাস্থা ভোটের নির্দেশ দেয় ৷ অনাস্থা ভোটের দিন স্থির হয় 5 সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ ৷ কিন্তু এর মাঝখানে আরও 4 কাউন্সিলর BJP ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে যায় ৷ ফলে কাউন্সিলরের দাঁড়ায় BJP-র 7 ও তৃণমূলের 13 ৷ আজ ভোটাভুটির সময় এই 13 জন কাউন্সিলরই পৌরপ্রধান শংকর আঢ্যের পক্ষে ভোট দেন ৷ আরও একটি ভোট দেয় কংগ্রেস কাউন্সিলর ৷ ফলে সংখ্যা দাঁড়ায় 14-0 ৷

বনগাঁ পৌরসভায় তৃণমূল জয়ের পরে নতুন যুক্তি দেখাচ্ছে BJP ৷ আজ বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চ্যাটার্জি ও সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডল জানান, পিটিশনে যে 11 জনের স্বাক্ষর ছিল তাঁদের মধ্যে 4 জন তৃণমূলে চলে গেছেন ৷ তাই আদৌ এই অনাস্থা ভোটের কোনও গুরুত্ব আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা ৷ পাশাপাশি তাঁদের দাবি, আজকের অনাস্থা ভোটের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ৷ যদিও আদালত সূত্রে খবর, অনাস্থা ভোট নিয়ে এখনও কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট ৷ এবিষয়ে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি ৷

Intro:অনাস্থা ভোটের দিন বনগাঁ পৌরসভার প্রত‍্যেক কাউন্সিলরকে পুলিশি নিরাপত্তার আদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।অথচ, সেই নিরাপত্তা আজ বিজেপি কাউন্সিলরদের দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-অনাস্থা ভোটের দিন বনগাঁ পৌরসভার প্রত‍্যেক কাউন্সিলরকে পুলিশি নিরাপত্তার আদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।অথচ, সেই নিরাপত্তা আজ বিজেপি কাউন্সিলরদের দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এনিয়ে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চ্যাটার্জীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,"নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি!দলের কাউন্সিলররা এখন ঠিক কোথায় আছে, কিভাবে আছে তা আমরা জানিনা! যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি!তবে, কাউন্সিলররা আতঙ্কে আছে"!বিজেপি ছেড়ে ফের দলের ৪ কাউন্সিলের তৃনমূলে যোগদান নিয়ে শঙ্কর বাবু বলেন,"৪ জন বিজেপি কাউন্সিলরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে, হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে দলে টেনেছে শাসকদল! যেহেতু ১১ জন কাউন্সিলর হাইকোর্টে অনাস্থা চেয়ে মামলা করেছিল, তারমধ্যে ৪ জন চলে যাওয়ায় আজকের অনাস্থা ভোটের কোন‌ও গুরুত্ব নেই"! হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ‌ও অনাস্থার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে বলেও দাবি করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি।এক‌ই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দেবদাস মন্ডল‌ও। তিনি বলেন,"১১ জন কাউন্সিলর অনাস্থা চেয়ে পিটিশনে স্বাক্ষর করে হাইকোর্টে মামলা করেছিল"। যেহেতু পিটিশনে বিজেপির ১১ কাউন্সিলের স্বাক্ষর ছিল,তাঁর মধ্যে ৪ জন চলে যাওয়ায় এই অনাস্থা ভোটের কোন‌ও গুরুত্ব আছে কিনা,তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দেবদাস বাবু। তাঁর কথায়,"পিটিশনে স্বাক্ষর থাকা ৪ জন কাউন্সিলর চলে যাওয়ায় আমরা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করি। আইনজীবী মারফত পুরো পরিস্থিতির কথা তুলে ধরা হয় আদালতের সামনে"। সমস্ত কিছু শুনে হাইকোর্ট আজকের অনাস্থার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে বলেও দাবি করেছেন ওই বিজেপি নেতা। কিন্তু, হাইকোর্টের নির্দেশেই তো আজ বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোট হচ্ছে!কি বলবেন এবিষয়ে?এই প্রশ্নের উত্তরে দেবদাস বাবু বলেন,"৪ জন কাউন্সিলর তৃনমূলে চলে গেছে,একথা হয়তো হাইকোর্ট জানত না!আদালত ৫-৭ দিন আগে অনাস্থা ভোট নিয়ে রায় দিয়েছে!তাঁর আগেই ওই কাউন্সিলররা চলে যাওয়ায় সেটা জানা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। সাংবাদিক সম্মেলনে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের কপি তুলে ধরে বিজেপির ওই দুই জেলা নেতা বারবার দাবি করেন,এই রায়ে পরিষ্কারভাবে আজকের অনাস্থা ভোটের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। যতক্ষণ না এবিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ অনাস্থা ভোট করা যাবেনা। যদিও,আদালত সূত্রে খবর, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ অনাস্থা ভোটের ওপর কোন‌ও স্থগিতাদেশ দেয়নি। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী‌ও এনিয়ে কোন‌ও কথা বলতে রাজি হননি সাংবাদিকদের সামনে।Conclusion:যদিও,আদালত সূত্রে খবর, অনাস্থা ভোট নিয়ে এখনও কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী‌ও এনিয়ে কোন‌ও কথা বলতে রাজি হননি সাংবাদিকদের সামনে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.