বারাসত, 5 সেপ্টেম্বর : আজকের অনাস্থা ভোটে না কি স্থগিতাদেশ ছিল হাইকোর্টের ৷ বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোটে আজ তৃণমূলের জয়ের পর এই দাবি করলেন BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শংকর চ্যাটার্জি ও সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডল ৷ শুধু তাই নয়, অনাস্থা ভোটের দিন বনগাঁ পৌরসভার প্রত্যেক কাউন্সিলরকে পুলিশি নিরাপত্তার আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷ কিন্তু গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, হাইকোর্টের সেই আদেশও মানা হয়নি ৷ BJP কাউন্সিলরদের দেওয়া হয়নি নিরাপত্তা ৷
22 আসনের বনগাঁ পৌরসভায় পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের 12 জন কাউন্সিলর ৷ এরপরেই দিল্লিতে গিয়ে তাঁরা BJP-তে যোগ দেন । ফলে পৌরসভায় কাউন্সিলরের সংখ্যা দাঁড়ায় BJP-র 12 ও তৃণমূলের 8 । বাকি 2 টি আসনের মধ্যে একটি CPI(M) ও অন্য একটি কংগ্রেসের । কিছু দিন পরে BJP থেকে এক কাউন্সিলর পুরোনো দল তৃণমূলে ফিরে যায় । ফলে BJP-র আসন সংখ্যা কমে হয় 11 ও তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় 9 । এই সমীকরণ নিয়েও BJP-র অনাস্থা ভোট জেতার কথা ৷ কিন্তু ভোটের দিন 16 জুলাই তাদের 2 কাউন্সিলরকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানায় BJP ৷ বন্ধ হয়ে যায় ভোটাভুটি ৷ এরপরই হাইকোর্টে পিটিশন দেন BJP-র এই 11 জন কাউন্সিলর । হাইকোর্ট নতুন করে জেলাশাসকের দপ্তরে অনাস্থা ভোটের নির্দেশ দেয় ৷ অনাস্থা ভোটের দিন স্থির হয় 5 সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ ৷ কিন্তু এর মাঝখানে আরও 4 কাউন্সিলর BJP ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে যায় ৷ ফলে কাউন্সিলরের দাঁড়ায় BJP-র 7 ও তৃণমূলের 13 ৷ আজ ভোটাভুটির সময় এই 13 জন কাউন্সিলরই পৌরপ্রধান শংকর আঢ্যের পক্ষে ভোট দেন ৷ আরও একটি ভোট দেয় কংগ্রেস কাউন্সিলর ৷ ফলে সংখ্যা দাঁড়ায় 14-0 ৷
বনগাঁ পৌরসভায় তৃণমূল জয়ের পরে নতুন যুক্তি দেখাচ্ছে BJP ৷ আজ বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চ্যাটার্জি ও সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডল জানান, পিটিশনে যে 11 জনের স্বাক্ষর ছিল তাঁদের মধ্যে 4 জন তৃণমূলে চলে গেছেন ৷ তাই আদৌ এই অনাস্থা ভোটের কোনও গুরুত্ব আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা ৷ পাশাপাশি তাঁদের দাবি, আজকের অনাস্থা ভোটের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ৷ যদিও আদালত সূত্রে খবর, অনাস্থা ভোট নিয়ে এখনও কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট ৷ এবিষয়ে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি ৷