বারাসত, 4 এপ্রিল: এবার নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমালোচনায় মুখর হলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার । রবিবার বারাসতে দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পর ইটিভি-ভারতের মুখোমুখি হলেন তিনি ৷
কাকলি বলেন, "২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্থাৎ সিআরপিএফে-র ভূমিকা নিজেই প্রত্যক্ষ করেছিলাম । সেই সময় দেগঙ্গার নুরনগরের একটি বুথে সিআরপিএফ বন্দুক উঁচিয়ে ভোটারদের বলছে কমল-মে বোতাম দাবাই-য়ে । সিআরপিএফের কাজ এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা । আমরা তার জন্য তাঁদের শ্রদ্ধা করি । কিন্তু সিআরপিএফ পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যদি মনে করে বন্দুক উঁচিয়ে গায়ের জোরে বিজেপির পক্ষে ভোট করাবে,আমরা তার তীব্র নিন্দা করি । নির্বাচন কমিশনের উচিত সেদিকে নজর দিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করানো ৷"
তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিক সহ দলের কর্মী সমর্থকদের উপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার প্রতিবাদে এদিন বিকেলে মৌন মিছিল হয় শাসকদলের তরফে । বারাসতের ডিপটিউওয়েল বাজার থেকে শুরু হয় এই মিছিল । হাতে মশাল ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার । ছিলেন বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলররাও । সেই মৌন মিছিল পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে শেষ হয় সূর্যসেন পল্লিতে । সেখানে এক প্রতিবাদ সভাও আয়োজিত হয় তৃণমূলের তরফে । মিছিল ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এদিন পুলিশি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছিল ।
আরও পড়ুন : দক্ষিণেশ্বরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান
সভা শেষে ইটিভি-ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন,"বিজেপি হচ্ছে হিংসাশ্রয়ী দল । তাঁরা গোটা ভারতবর্ষে মতুয়া,আদিবাসী,তপশিলি জাতি উপজাতি ও মহিলাদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে ৷" উদাহরণ স্বরূপ এদিন গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি । কাকলির কথায়,"গুজরাতে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে । উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে । সেখানে ধর্ষণের ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে । এখন ওঁরা(বিজেপি) বাংলায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে । শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে । যা স্পষ্ট হয়েছে বারাসতের সাতান্ন কাটা এলাকায় হামলা থেকেই । এর প্রতিবাদে আমরা এদিন মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করলাম ৷"
প্রসঙ্গত,সম্প্রতি নির্বাচনী সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন,"অমিত শাহের কথামতো নির্বাচন কমিশন পুলিশ অফিসারদের বদলি করছে । সেখানে পছন্দের লোককে বসানো হচ্ছে"। সেই কথার সূত্র ধরে এদিন নির্বাচন কমিশনের সমালোচনায় মুখর হন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ।