হাবড়া, 15 এপ্রিল : নিষেধাজ্ঞাই সার ৷ ফের স্বমহিমায় হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা । কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো নিয়ে নিজের মন্তব্যে অনড় রইলেন ৷ বললেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা, ভোটারদের ভোটদানে বাধা দিলে গুলিই চালানো উচিত আধা সামরিক বাহিনীর । তাতে কে মরল, আর কে বাঁচল তা দেখার দরকার নেই ।
নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র হাবড়ার দলীয় এক সভায় যোগ দেন রাহুল সিনহা । সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন আবারও শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি । বলেন, "ওই ঘটনা নিয়ে আমি যা বলেছি সেই একই কথা নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি বিবেক দুবেও বলেছেন । অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা হলে আবারও গুলি চালানো হবে ।’’
এরপর তিনি বলেন, "আমি আবারও বলছি কেন্দ্রীয় বাহিনী কিংবা সাধারণ ভোটারের উপর হামলা হলে, ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে গুলিই চালানো উচিত ৷ তাতে কে মরল, আর কে বাঁচল তা দেখার দরকার নেই ।’’ রাহুল সিনহার মতে, " আসল কথা অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং হিংসামুক্ত ভোট হওয়া দরকার । যাতে মানুষ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন । আমরা মানুষের ভোট চাই । কোনও গুন্ডা কিংবা লুটেরাদের ভোট চাই না । মানুষের ভোটে পরাজিত হলে মাথা পেতে নেব ।’’
আরও পড়ুন : দিলীপ ঘোষের প্রচারে 24 ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা কমিশনের
সভার আগে আজ সকালে কমিশনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই স্থানীয় একটি মন্দিরে পুজোও দিতে যান হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা । সেখান থেকে বেরিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন শুধু আমার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল । মন্দিরে পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রে নয় । আমার পুজো দেওয়া, লাঙল চাষ করা কিংবা বাজার করাতে তৃণমূলের যদি ঘুম উড়ে যায়, তাহলে ওদের পরামর্শ দেব, কোনও ডাক্তার দেখিয়ে ঘুমের ওষুধ খাক । পুজো দেওয়া মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যেও পড়ে ।’’
প্রসঙ্গত, শীতলকুচি ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে হাবরার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার নির্বাচনী প্রচারের উপর 48 ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন । এদিন বেলা 12 টায় সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় । এরপরই স্বমেজাজে দেখা যায় বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহাকে ।