হাবড়া, 2 এপ্রিল : ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব দিয়ে দিয়েছে ৷ শুধুমাত্র নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে তার কার্ডটাই যা দেওয়া বাকি ৷ রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠনের একমাসের মধ্যেই সেটাও দিয়ে দেওয়া হবে ৷ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠিত হলে তার প্রথম পাঁচটি কাজের মধ্যে এটি হবে অন্যতম ৷’’ শুক্রবার দুপুরে উত্তর 24 পরগনার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে এসে একথা বলেন হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা ৷
মতুয়া ভোট নিজেদের দিকে টানতে নাগরিকত্বকেই মূল হাতিয়ার করেছে বিজেপি ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঠাকুরবাড়িতে এসে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু নাগরিকত্ব নিয়ে নয়া আইন পাস হলেও নাগরিক হওয়ার প্রমাণপত্র হাতে পাননি মতুয়ারা ৷
কিছুদিন আগেই ঠাকুরবাড়িতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দেন, দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ শেষ হলেই নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ আর এবার বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের দিকে টানতে সেই নাগরিকত্বকেই অস্ত্র করলেন রাহুল সিনহা ৷
আরও পড়ুন : বাংলাদেশে মতুয়া পীঠস্থান দর্শনে মোদির সঙ্গী শান্তনু
শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরবাড়িতে আসেন রাহুল ৷ দীর্ঘক্ষণ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি ৷ পরবর্তীতে শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ মন্দিরে প্রণাম করতে যান ৷ তখনই ফের একবার সিএএ নিয়ে মতুয়া সমাজকে আশ্বস্ত করেন হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী ৷ তাঁর দাবি, মতুয়াদের নাগরিকত্ব একমাত্র বিজেপিই দেবে ৷ অন্য কেউ নয় ৷
এর পাল্টা বিজেপিকে আক্রমণ করেন ঠাকুরবাড়ির আর এক সদস্য তথা বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর ৷ তাঁর অভিযোগ, নাগরিকত্ব প্রদানের নামে বিজেপি আসলে ভাঁওতা দিচ্ছে ৷ এ রাজ্য়ে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার মানুষের হালও অসমবাসীর মতো হবে ৷ অসমের লাখ লাখ মানুষের মতো পশ্চিমবঙ্গেরও অসংখ্য বাসিন্দাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি হয়ে থাকতে হবে ৷