শাসন, 12 এপ্রিল : ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত শাসন ও দেগঙ্গা । নির্বাচনী সভা চলাকালীন আইএসএফ কর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন আইএসএফের পাঁচজন । এঁদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । একইভাবে দেগঙ্গাতেও আইএসএফ কর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে । হামলায় সেখানে জখম হয়েছেন আইএসএফের তিনজন । দু'টি ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল ।পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে ।
হাড়োয়ার সংযুক্ত মোর্চার আইএসএফ প্রার্থী কুতুবউদ্দিন ফতেহির সমর্থনে রবিবার রাতে নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয় শাসনের দাদপুর গ্রামে । অভিযোগ, নির্বাচনী সভা চলাকালীন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা অতর্কিতে হামলা চালায় সেখানে । বেধড়ক মারধর করা হয় আইএসএফ কর্মীদের । এমনকি প্রাননাশের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগও উঠেছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে । সশস্ত্র হামলায় জখম হন আইএসএফের পাঁচ কর্মী । হামলার জেরে ভেস্তে হয়ে যায় সেই নির্বাচনী সভা । ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় দাদপুর গ্রামে ।
এই ঘটনার পরই দেগঙ্গার দত্তপুকুরের লক্ষ্মীপুরে একই কায়দায় আইএসএফ কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় কয়েকজনকে । তাতে জখম হন আইএসএফের তিনজন । ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আইএসএফের কর্মী ও সমর্থকরা । ক্ষুদ্ধ আইএসএফ কর্মীরা দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন ।
এদিকে, হামলার খবর পেয়ে হাড়োয়া ও দেগঙ্গার আইএসএফ প্রার্থী কুতুবউদ্দিন ফতেহি এবং করিম আলি ছুটে আসেন শাসনের খড়িবাড়ি এলাকায় । সেখানে আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তাঁরা । এই বিষয়ে কুতুবউদ্দিন সাহেব বলেন, "শাসন অঞ্চলে তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন গ্রামে । হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে । যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট না হয় শাসনে । সেখানে যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তাতে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয় । তাই আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করছি অবিলম্বে শাসন জুড়ে 144 ধারা জারি করা হোক ।নাহলে পঞ্চায়েত ভোটের মতো এখানেও ভোট লুঠ হবে ।"
আরও পড়ুন : শাসনে মাছের ভেড়ি থেকে উদ্ধার 30টি বোমা
একই দাবিতে সরব হয়েছেন দেগঙ্গার সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী করিম আলিও । তিনি মনে করেন এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্রুত হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন ।
যদিও দুটি ঘটনার সঙ্গে দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব । তাঁদের কথায়, "দুষ্কৃতী দলের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোল জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে । এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই । তা সত্বেও আইএসএফ এর মধ্যে রাজনীতির রঙ লাগাতে চাইছে ।"
পৃথক দুটি ঘটনারই তদন্তে নেমেছে পুলিশ । তবে,এখনও অবধি কাউকেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।