ETV Bharat / state

মদের দোকান বন্ধের দাবিতে জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ বাম ও কংগ্রেসের - জনবহুল এলাকায় মদের দোকান বন্ধের দাবি

বারাসত পৌরসভার 3 নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ এলাকা। এখানে জনবহুল এলাকায় মদের দোকান খোলার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বাম ও কংগ্রেস ৷

liquor shops
জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ বাম ও কংগ্রেসের
author img

By

Published : Sep 7, 2020, 4:56 AM IST

Updated : Sep 7, 2020, 6:09 AM IST

বারাসত, 7 সেপ্টেম্বর :জনবহুল এলাকায় মদের দোকান খোলার প্রতিবাদে একযোগে আন্দোলনে নামল বাম ও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। চলল 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও। ঘটনাটি বারাসত ন'পাড়ার মালঞ্চ এলাকার। বিক্ষোভ চলাকালীন প্রশাসনের পাশাপাশি BJP-র বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ "কাটমানি খেয়ে মদের দোকানের আন্দোলন থেকে পিছিয়ে এসেছে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব। তাঁরা জনবহুল এলাকায় মদের দোকান খুলতে এক প্রকার সহযোগিতা করেছে। সেই কারণে মদের দোকানে BJP বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে"। অবরোধ ও বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কে যানচলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।

জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ বাম ও কংগ্রেসের
বারাসত পৌরসভার 3 নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ এলাকা।সেখানেই 34 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। মদের দোকানের কয়েক মিটারের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি স্কুল। উল্টো দিকে আছে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারও। এলাকাটি জনবহুল হিসেবেই পরিচিত। তা সত্বেও কিভাবে জনবহুল এলাকায় মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। মদের দোকান বন্ধের দাবিতে একাধিকবার আন্দোলনেও নামতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় BJP-র নেতা ও কর্মীদের।কিন্তু তারপরও যথারীতি খোলা হয় মদের দোকান।আর এখানেই মদের দোকানের মালিক ও গেরুয়া শিবিরের মধ্যে গোপন আঁতাতের অভিযোগ তুলেছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের আরও অভিযোগ,"আন্দোলনের নামে দোকান মালিকের কাছ থেকে কাটমানি খেয়ে দোকান খুলতে সহযোগিতা করেছে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব।এসবের মধ্যেই আজ বিকালে ওই মদের দোকান বন্ধের দাবিতে বারাসত শহরে প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করে বাম-কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা।এরপর,মালঞ্চ এলাকার ওই মদের দোকানে সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাঁরা।চলে 34 নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধও। এর জেরে বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ থাকে জাতীয় সড়কের যানচলাচল।পরে,অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।এই বিষয়ে বারাসত বামফ্রন্টের আহ্বায়ক ও CPI(M)-র জেলা কমিটির সদস্য দেবব্রত বসু বলেন,"এই এলাকায় তিন তিনটি স্কুল রয়েছে। সেগুলো মদের দোকানের খুব কাছেই। এর ফলে ছাত্র ছাত্রীরা বিব্রত হবেন। অভিভাবকরা পড়বেন সমস্যায়। কারণ মদের দোকানের জেরে জনবহুল এই এলাকায় সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য বাড়বে।বাড়বে অসামাজিক কার্যকলাপও।তাই আমরা চাই মদের দোকান বন্ধ করা হোক"। তাঁর অভিযোগ,"এর আগে BJP আন্দোলনে নেমেছিল। কিন্তু তাঁরা মদের দোকান বন্ধের পরিবর্তে উল্টে দোকান মালিকের কাছ থেকেই কাটমানি নেয়। যাতে আন্দোলন না হয়"।যদিও বাম ও কংগ্রেসের তোলা অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই বলে দাবি করেছেন BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক প্রতীপ চট্টোপাধ্যায়।তিনি বলেন, "আমরাই প্রথম মদের দোকানের বিরুদ্ধে আন্দোলন নামি। আন্দোলনের জেরেই এতদিন মদের দোকান খোলার সাহস হয়নি মালিকের। কিন্তু এখন আবার শুনছি ফের দোকান খোলা হয়েছে। লোক দেখাতে এখন আন্দোলনে নেমেছে বাম ও কংগ্রেস।দুটো দলই এখন অস্তিত্বহীন।তাই তাঁদের অভিযোগ কখনই বিশ্বাস করবে না মানুষ"।

বারাসত, 7 সেপ্টেম্বর :জনবহুল এলাকায় মদের দোকান খোলার প্রতিবাদে একযোগে আন্দোলনে নামল বাম ও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। চলল 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও। ঘটনাটি বারাসত ন'পাড়ার মালঞ্চ এলাকার। বিক্ষোভ চলাকালীন প্রশাসনের পাশাপাশি BJP-র বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ "কাটমানি খেয়ে মদের দোকানের আন্দোলন থেকে পিছিয়ে এসেছে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব। তাঁরা জনবহুল এলাকায় মদের দোকান খুলতে এক প্রকার সহযোগিতা করেছে। সেই কারণে মদের দোকানে BJP বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে"। অবরোধ ও বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কে যানচলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।

জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ বাম ও কংগ্রেসের
বারাসত পৌরসভার 3 নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ এলাকা।সেখানেই 34 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। মদের দোকানের কয়েক মিটারের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি স্কুল। উল্টো দিকে আছে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারও। এলাকাটি জনবহুল হিসেবেই পরিচিত। তা সত্বেও কিভাবে জনবহুল এলাকায় মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। মদের দোকান বন্ধের দাবিতে একাধিকবার আন্দোলনেও নামতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় BJP-র নেতা ও কর্মীদের।কিন্তু তারপরও যথারীতি খোলা হয় মদের দোকান।আর এখানেই মদের দোকানের মালিক ও গেরুয়া শিবিরের মধ্যে গোপন আঁতাতের অভিযোগ তুলেছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের আরও অভিযোগ,"আন্দোলনের নামে দোকান মালিকের কাছ থেকে কাটমানি খেয়ে দোকান খুলতে সহযোগিতা করেছে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব।এসবের মধ্যেই আজ বিকালে ওই মদের দোকান বন্ধের দাবিতে বারাসত শহরে প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করে বাম-কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা।এরপর,মালঞ্চ এলাকার ওই মদের দোকানে সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাঁরা।চলে 34 নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধও। এর জেরে বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ থাকে জাতীয় সড়কের যানচলাচল।পরে,অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।এই বিষয়ে বারাসত বামফ্রন্টের আহ্বায়ক ও CPI(M)-র জেলা কমিটির সদস্য দেবব্রত বসু বলেন,"এই এলাকায় তিন তিনটি স্কুল রয়েছে। সেগুলো মদের দোকানের খুব কাছেই। এর ফলে ছাত্র ছাত্রীরা বিব্রত হবেন। অভিভাবকরা পড়বেন সমস্যায়। কারণ মদের দোকানের জেরে জনবহুল এই এলাকায় সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য বাড়বে।বাড়বে অসামাজিক কার্যকলাপও।তাই আমরা চাই মদের দোকান বন্ধ করা হোক"। তাঁর অভিযোগ,"এর আগে BJP আন্দোলনে নেমেছিল। কিন্তু তাঁরা মদের দোকান বন্ধের পরিবর্তে উল্টে দোকান মালিকের কাছ থেকেই কাটমানি নেয়। যাতে আন্দোলন না হয়"।যদিও বাম ও কংগ্রেসের তোলা অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই বলে দাবি করেছেন BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক প্রতীপ চট্টোপাধ্যায়।তিনি বলেন, "আমরাই প্রথম মদের দোকানের বিরুদ্ধে আন্দোলন নামি। আন্দোলনের জেরেই এতদিন মদের দোকান খোলার সাহস হয়নি মালিকের। কিন্তু এখন আবার শুনছি ফের দোকান খোলা হয়েছে। লোক দেখাতে এখন আন্দোলনে নেমেছে বাম ও কংগ্রেস।দুটো দলই এখন অস্তিত্বহীন।তাই তাঁদের অভিযোগ কখনই বিশ্বাস করবে না মানুষ"।
Last Updated : Sep 7, 2020, 6:09 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.