ETV Bharat / state

বৃহস্পতিবার ফের বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোট - no confidence motion vote in the Bongaon Municipality

26 অগস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, জেলাশাসকের অফিসে অনাস্থা ভোট করতে হবে । এরজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে পুলিশ সুপার ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী 5 সেপ্টেম্বর বেলা 11টা নাগাদ অনাস্থা ভোট হবে ৷ এই মর্মে জেলাশাসকের দপ্তর থেকে বনগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলরদের চিঠি পাঠানো হয়েছে ।

বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা ভোট
author img

By

Published : Sep 3, 2019, 5:50 PM IST

বনগাঁ, 3 সেপ্টেম্বর : হাইকোর্টের নির্দেশে বনগাঁ পৌরসভায় ফের অনাস্থা ভোট হবে । আগামী বৃহস্পতিবার হবে ভোট ৷ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী অনাস্থা ভোট পরিচালনা করবেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী ৷ এ জন্য পুলিশ সুপার সি সুধাকরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দেন তিনি ৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ভোটের চিঠি জেলাশাসকের দপ্তর থেকে কাউন্সিলরদের কাছে পৌঁছে গেছে ।


কিছুদিন ধরে উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ পৌরসভায় অনাস্থা ভোট নিয়ে টানাপোড়েন চলছে । পৌরসভায় মোট আসন 22টি । তৃণমূলের দখলে ছিল 19টি আসন । নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন একজন । CPI(M) ও কংগ্রেসের দখলে একটি করে আসন ছিল । নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে 20টি হয় । জুনে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর বনগাঁ মহকুমাশাসকের কাছে পৌরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে ৷ পরপরই তৃণমূলের 12 জন কাউন্সিলর দিল্লি গিয়ে BJP-তে যোগ দেন । হাইকোর্টের নির্দেশে 16 জুলাই বনগাঁ পৌরসভায় অনাস্থা ভোট হয় । সেই ভোটকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল চরমে ওঠে ৷ BJP ও তৃণমূল - দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করে । বিষয়টি নিয়ে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে । আদালত দু'তরফের দাবি খারিজ করে দেয় । তারপর 26 অগাস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, জেলাশাসকের অফিসে নতুন করে অনাস্থা ভোট করতে হবে । এজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে পুলিশ সুপার ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে 5 সেপ্টেম্বর বেলা 11টা নাগাদ অনাস্থা ভোট হবে ৷

সংখ্যার বিচারে আপাতত স্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল । BJP অবশ্য ভরসা করছে "ভগবান"-এর উপর । 12 জন দলত্যাগ করে BJP-তে গেলেও তাঁদের মধ্যে পাঁচজন কাউন্সিলর পরে দু'টি ধাপে ফের তৃণমূলেই ফিরে এসেছেন । তাই তৃণমূলের কাউন্সিলরের সংখ্যা এখন 13 । তৃণমূল কাউন্সিলর দীপালি বিশ্বাসের দাবি, পৌরবোর্ড তাঁরাই দখল করবেন । অন্যদিকে, তৃণমূল থেকে BJP-তে যোগ দেওয়া কাউন্সিলর সোমাঞ্জনা মুখোপাধ্যায় মুনশি বলেন, "16 জুলাই অনাস্থা ভোটে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছিলেন । কিন্তু তারপর যা যা ঘটেছে, তা বনগাঁর মানুষ সব জানেন । 5 সেপ্টেম্বর কী হবে, তা ভগবানই জানেন ।"

বনগাঁ, 3 সেপ্টেম্বর : হাইকোর্টের নির্দেশে বনগাঁ পৌরসভায় ফের অনাস্থা ভোট হবে । আগামী বৃহস্পতিবার হবে ভোট ৷ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী অনাস্থা ভোট পরিচালনা করবেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী ৷ এ জন্য পুলিশ সুপার সি সুধাকরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দেন তিনি ৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ভোটের চিঠি জেলাশাসকের দপ্তর থেকে কাউন্সিলরদের কাছে পৌঁছে গেছে ।


কিছুদিন ধরে উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ পৌরসভায় অনাস্থা ভোট নিয়ে টানাপোড়েন চলছে । পৌরসভায় মোট আসন 22টি । তৃণমূলের দখলে ছিল 19টি আসন । নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন একজন । CPI(M) ও কংগ্রেসের দখলে একটি করে আসন ছিল । নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে 20টি হয় । জুনে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর বনগাঁ মহকুমাশাসকের কাছে পৌরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে ৷ পরপরই তৃণমূলের 12 জন কাউন্সিলর দিল্লি গিয়ে BJP-তে যোগ দেন । হাইকোর্টের নির্দেশে 16 জুলাই বনগাঁ পৌরসভায় অনাস্থা ভোট হয় । সেই ভোটকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল চরমে ওঠে ৷ BJP ও তৃণমূল - দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করে । বিষয়টি নিয়ে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে । আদালত দু'তরফের দাবি খারিজ করে দেয় । তারপর 26 অগাস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, জেলাশাসকের অফিসে নতুন করে অনাস্থা ভোট করতে হবে । এজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে পুলিশ সুপার ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে 5 সেপ্টেম্বর বেলা 11টা নাগাদ অনাস্থা ভোট হবে ৷

সংখ্যার বিচারে আপাতত স্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল । BJP অবশ্য ভরসা করছে "ভগবান"-এর উপর । 12 জন দলত্যাগ করে BJP-তে গেলেও তাঁদের মধ্যে পাঁচজন কাউন্সিলর পরে দু'টি ধাপে ফের তৃণমূলেই ফিরে এসেছেন । তাই তৃণমূলের কাউন্সিলরের সংখ্যা এখন 13 । তৃণমূল কাউন্সিলর দীপালি বিশ্বাসের দাবি, পৌরবোর্ড তাঁরাই দখল করবেন । অন্যদিকে, তৃণমূল থেকে BJP-তে যোগ দেওয়া কাউন্সিলর সোমাঞ্জনা মুখোপাধ্যায় মুনশি বলেন, "16 জুলাই অনাস্থা ভোটে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছিলেন । কিন্তু তারপর যা যা ঘটেছে, তা বনগাঁর মানুষ সব জানেন । 5 সেপ্টেম্বর কী হবে, তা ভগবানই জানেন ।"

Intro:বৃহস্পতিবার ফের বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট

বনগাঁঃ হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী বৃহস্পতিবার ফের বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে অনাস্থা ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন। পুলিশ সুপার সি সুধাকরকে পর্যান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেছেন। জেলাশাসকরে দপ্তর থেকে ইচিমধ্যে অনাস্থা ভোটের চিঠি কাউন্সিলরদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। সংখ্যার বিচারে আপাতত স্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল। বিজেপি অবশ্য ভগবানের ভরসা করছে।

উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ পুরসভা অনাস্থা ভোট নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছে। পুরসভায় মোট আসন ২২টি। তারমধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ১৯টি। নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন একজন। সিপিএম ও কংগ্রেসের দখলে একটি করে আসন ছিল। নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়। গত জুন মাসে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে বনগাঁর মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করেন। তার পরপরই ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৬ জুলাই বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট হয়। ওই দিন চরম গন্ডগোল হয়েছিল। বিজেপি ও তৃণমূল-দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেন। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। আদালত দু'তরফের দাবি খারিজ করে দেয়। গত ২৬ অগস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, জেলাশাসকের অফিসে অনাস্থা ভোট করতে হবে। পুলিশ সুপারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী ৫ সেপ্টম্বর সকাল ১১টায় অনাস্থা ভোট করার জন্য বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলরদের চিঠি পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকের দপ্তর থেকে।
২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় সংখ্যার বিচারে আপাতত এগিয়ে রয়েছে শাসক তৃণমূলই। ১২ জন দলত্যাগ করে বিজেপিতে গেলেও তাঁদের মধ্যে পাঁচজন কাউন্সিলর দু'টি ধাপে ফের তৃণমূলেই ফিরে গিয়েছেন। তাই, তৃণমূলের আসন সংখ্যা এখন ১৩। তৃণমূল কাউন্সিলর দীপালি বিশ্বাসের দাবি, পুরবোর্ড আমরাই দখল করব।

অন্যদিকে, বিজেপি কাউন্সিলর সোমাঞ্জনা মুখোপাধ্যায় মুনশির দাবি, ১৬ জুলাইয়ের দিন অনাস্থা ভোটে তাঁরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন। তারপর যা যা ঘটেছে, বনগাঁর মানুষ সব জানেন। ৫ সেপ্টেম্বর যা হবে, তা ভগবানই জানেন।Body:বৃহস্পতিবার ফের বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট

বনগাঁঃ হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী বৃহস্পতিবার ফের বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে অনাস্থা ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন। পুলিশ সুপার সি সুধাকরকে পর্যান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেছেন। জেলাশাসকরে দপ্তর থেকে ইচিমধ্যে অনাস্থা ভোটের চিঠি কাউন্সিলরদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। সংখ্যার বিচারে আপাতত স্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল। বিজেপি অবশ্য ভগবানের ভরসা করছে।

উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ পুরসভা অনাস্থা ভোট নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছে। পুরসভায় মোট আসন ২২টি। তারমধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ১৯টি। নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন একজন। সিপিএম ও কংগ্রেসের দখলে একটি করে আসন ছিল। নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়। গত জুন মাসে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে বনগাঁর মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করেন। তার পরপরই ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৬ জুলাই বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট হয়। ওই দিন চরম গন্ডগোল হয়েছিল। বিজেপি ও তৃণমূল-দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেন। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। আদালত দু'তরফের দাবি খারিজ করে দেয়। গত ২৬ অগস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, জেলাশাসকের অফিসে অনাস্থা ভোট করতে হবে। পুলিশ সুপারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী ৫ সেপ্টম্বর সকাল ১১টায় অনাস্থা ভোট করার জন্য বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলরদের চিঠি পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকের দপ্তর থেকে।
২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় সংখ্যার বিচারে আপাতত এগিয়ে রয়েছে শাসক তৃণমূলই। ১২ জন দলত্যাগ করে বিজেপিতে গেলেও তাঁদের মধ্যে পাঁচজন কাউন্সিলর দু'টি ধাপে ফের তৃণমূলেই ফিরে গিয়েছেন। তাই, তৃণমূলের আসন সংখ্যা এখন ১৩। তৃণমূল কাউন্সিলর দীপালি বিশ্বাসের দাবি, পুরবোর্ড আমরাই দখল করব।

অন্যদিকে, বিজেপি কাউন্সিলর সোমাঞ্জনা মুখোপাধ্যায় মুনশির দাবি, ১৬ জুলাইয়ের দিন অনাস্থা ভোটে তাঁরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন। তারপর যা যা ঘটেছে, বনগাঁর মানুষ সব জানেন। ৫ সেপ্টেম্বর যা হবে, তা ভগবানই জানেন।Conclusion:বৃহস্পতিবার ফের বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট

বনগাঁঃ হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী বৃহস্পতিবার ফের বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে অনাস্থা ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন। পুলিশ সুপার সি সুধাকরকে পর্যান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেছেন। জেলাশাসকরে দপ্তর থেকে ইচিমধ্যে অনাস্থা ভোটের চিঠি কাউন্সিলরদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। সংখ্যার বিচারে আপাতত স্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল। বিজেপি অবশ্য ভগবানের ভরসা করছে।

উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ পুরসভা অনাস্থা ভোট নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছে। পুরসভায় মোট আসন ২২টি। তারমধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ১৯টি। নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন একজন। সিপিএম ও কংগ্রেসের দখলে একটি করে আসন ছিল। নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়। গত জুন মাসে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে বনগাঁর মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করেন। তার পরপরই ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৬ জুলাই বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট হয়। ওই দিন চরম গন্ডগোল হয়েছিল। বিজেপি ও তৃণমূল-দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেন। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। আদালত দু'তরফের দাবি খারিজ করে দেয়। গত ২৬ অগস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, জেলাশাসকের অফিসে অনাস্থা ভোট করতে হবে। পুলিশ সুপারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী ৫ সেপ্টম্বর সকাল ১১টায় অনাস্থা ভোট করার জন্য বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলরদের চিঠি পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকের দপ্তর থেকে।
২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় সংখ্যার বিচারে আপাতত এগিয়ে রয়েছে শাসক তৃণমূলই। ১২ জন দলত্যাগ করে বিজেপিতে গেলেও তাঁদের মধ্যে পাঁচজন কাউন্সিলর দু'টি ধাপে ফের তৃণমূলেই ফিরে গিয়েছেন। তাই, তৃণমূলের আসন সংখ্যা এখন ১৩। তৃণমূল কাউন্সিলর দীপালি বিশ্বাসের দাবি, পুরবোর্ড আমরাই দখল করব।

অন্যদিকে, বিজেপি কাউন্সিলর সোমাঞ্জনা মুখোপাধ্যায় মুনশির দাবি, ১৬ জুলাইয়ের দিন অনাস্থা ভোটে তাঁরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন। তারপর যা যা ঘটেছে, বনগাঁর মানুষ সব জানেন। ৫ সেপ্টেম্বর যা হবে, তা ভগবানই জানেন।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.