পুরুলিয়া, 12 মার্চ : ছৌ নাচের দেশে এবার চিতাবাঘের দাপট ৷ পুরুলিয়ার সিমনি বিটের জঙ্গলে দেখা গিয়েছে চিতাবাঘ ৷ কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটের জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ে চিতাবাঘের ছবি (leopard found at purulia kotshila forest) ৷ ওই ছবি সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে ৷ বন দফতর থেকে মাইকিং করে গভীর জঙ্গলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ গ্রামের শিশুরা যাতে জঙ্গলের দিকে না চলে যায় সেদিকেও খেয়াল রাখার কথা বলেছেন পুরুলিয়া বন বিভাগের ডিএফও দেবাশিস শর্মা ৷
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 22 ফেব্রুয়ারি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ওই চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়ে ৷ তারপর থেকে 24 ঘণ্টা জঙ্গলে নজরদারি শুরু করেন বন দফতর ৷ পুরুলিয়া বন বিভাগ বাংলা-ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল নিয়ে নানা তথ্য সংগ্রহ করে চিতাবাঘের ছবি-সহ অরণ্য ভবনে রিপোর্ট করে ৷ এরপর রাজ্য বনবিভাগের বন্যপ্রাণ শাখার তরফে ‘ট্র্যাকস এন্ড ট্রেল’ অর্থাৎ ওই বন্যপ্রাণীর পায়ের ছাপ, তার শিকার, বিষ্ঠা, গতিবিধি, জল পান করার জায়গা চিহ্নিত করে ধারাবাহিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ কোটশিলা বনাঞ্চল থেকে নিয়ম করে রিপোর্ট নিচ্ছে পুরুলিয়া বনবিভাগ।
আরও পড়ুন : Tiger Attacks man : সুন্দরবনে দক্ষিণরায়ের হানায় জখম প্রৌঢ়
প্রসঙ্গত, 2015 সালের 20 জুন কোটশিলা বনাঞ্চলের টাটুয়াড়ায় লোকালয়ে চলে এসেছিল একটি চিতাবাঘ ৷ আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা চিতাবাঘটিকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেয় ৷ ওই ঘটনার পর বিগত দু'বছর ধরে সিমনি বিটের জাবর, তহদ্রি, হরতান, সিমনি, কাড়িয়র এলাকা থেকে একের পর এক গবাদি পশু নিখোঁজ হতে থাকে ৷ বহুবার ছাগল, গরু এমনকী মহিষের দেহাবশেষ, হাড়গোড় মিলেছে ওই জঙ্গলে ৷ টানা দু'বছর ধরে এই ধরনের ঘটনার পর অবশেষে সাফল্য পেয়েছে বন দফতর ৷ ট্র্যাপ ক্যামেরায় চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়ায় বন দফতরের আশঙ্কা সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে ৷ সিমনি বিটের ওই জঙ্গল চিতাবাঘটির স্থায়ী বাসস্থান হয়ে গিয়েছে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত কেউ চিতাবাঘটিকে চাক্ষুস দেখেনি ৷
এই বিষয়ে পুরুলিয়া বন বিভাগের ডিএফও দেবাশিস শর্মা বলেন, "চিতাবাঘটি জঙ্গলের মধ্যেই রয়েছে ৷ লোকালয়ে আসার চেষ্টা করেনি ৷ তবে আমরা সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছি ৷ এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে ৷ চিতাবাঘটি লোকালয়ে যাতে না আসে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে ৷"