ETV Bharat / state

লকডাউনের জেরে বিক্রি নেই, পচছে সবজি

চাষিদের থেকে বেশি সবজি নিতে চাইছে না আড়তদাররা । নিতে চাইছে না দোকানদাররাও । ফলে ধীরে ধীরে পচন ধরতে শুরু করেছে সবজিতে । তাই তা রাস্তায় ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছে তারা ।

vegetables
সবজি
author img

By

Published : Mar 29, 2020, 2:20 PM IST

পুরুলিয়া, 29 মার্চ : লকডাউনের প্রভাবে সবজির রপ্তানি বন্ধ । ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ট্রাক আটকে দিচ্ছে পুলিশ । সবজি নিতে চাইছে না আড়তদাররাও । যার জেরে রীতিমতো মাথায় হাত পুরুলিয়ার সবজি চাষিদের । নষ্ট হতে বসায় বাধ্য হয়ে সেগুলো রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে তারা ।

লকডাউন করে দেশে কোরোনা প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে । কিন্তু, এর জেরে সমস্যায় পড়েছে অনেকে । কেউ বাইরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়েছে কেউ আবার কাজে গিয়ে । অত্যাবশকীয় পণ্য রপ্তানি বা আমদানি বন্ধ হবে না, সরকার এমন ঘোষণা করলেও বাজারে লোকজন কমে যাওয়ায় চাষিদের থেকে বেশি সবজি নিতে চাইছে না আড়তদাররা । নিতে চাইছে না দোকানদাররাও । ফলে ধীরে ধীরে পচন ধরতে শুরু করেছে সবজিতে । পুরুলিয়ায় উৎপাদন হওয়া শশা, লাউ, ফুলকপি সহ একাধিক সবজি রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে চাষিরা ।

দেশের সবকিছু বন্ধ হলে সবজি কোথায় যাবে, কী হবে, যারা সবজি বিক্রি করে বা চাষ করে তাদের কী হবে এসব না ভেবেই লকডাউনের সিদ্ধান্তে প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলছে চাষিরা । তাদের অভিযোগ, সবজি চাষিদের কী হবে তা একবারও ভাবেনি প্রশাসিক আধিরাকরিকরা । এমনকী এক্ষেত্রে সেভাবে কোনও উদ্যোগও নেওয়া হয়নি ।

বলরামপুরের সবজি চাষি তারাপদ মহান্তি, ধরণী মাহাত, হলধর হেমব্রম, জগজীবন মাহাতরা বলেন, "অনেক কষ্ট করে সবজি উৎপাদন করেছিলাম । খরচও অনেক হয়েছে । কিন্তু সবজি ফলনের মুখে লকডাউনের নির্দেশিকা জারি হওয়ায় বাইরে সেই সবজি পাঠানো যাচ্ছে না । আর আড়তদাররাও বিপুল সবজি কিনতে চাইছে না । কারণ তারাও সবজি বাইরে পাঠাতে পারছে না । সবজি ট্রাকে লোড করে অনেক আড়তে আড়তে ঘুরে বেড়ালেও বেশি সবজি বিক্রি হচ্ছে না । তা ছাড়া কোরোনার আতঙ্কে শশা, গাজর এইসব স্যালাড বানানোর সবজি বেশি বিক্রি হচ্ছে না । কারও বাড়িতেও উৎপাদিত সবজি মজুত করে রাখার ব্যবস্থা নেই । আবার বাড়িতে সেই বিপুল সবজি নিতে গেলে যানবাহনের খরচ বহন করতে হবে চাষিদের । এতকিছুর জন্য বাধ্য হয়েই রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া হচ্ছে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ সবজি । এই সুযোগে তাজা সবজি রাস্তা থেকে নিয়ে যাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা ।

বলরামপুরের সবজি আড়তদার বিমল মাহাত বলেন, "বেশি সবজি মজুত করার ব্যবস্থা নেই আড়তে । তা ছাড়া বাইরের রাজ্যগুলিতে সবজি পাঠানো যাচ্ছে না । এমনকী জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও সবজি বণ্টন করে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হত । লকডাউনের প্রভাবে সেটাও বন্ধ । শ্রমিকও তো নেই । সবাই ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছে । এই অবস্থায় চাষিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সবজি কিনলে লোকসানের মুখ দেখতে হবে বলে আমরা অনেকেই সবজি কিনছি না ।"

পুরুলিয়া, 29 মার্চ : লকডাউনের প্রভাবে সবজির রপ্তানি বন্ধ । ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ট্রাক আটকে দিচ্ছে পুলিশ । সবজি নিতে চাইছে না আড়তদাররাও । যার জেরে রীতিমতো মাথায় হাত পুরুলিয়ার সবজি চাষিদের । নষ্ট হতে বসায় বাধ্য হয়ে সেগুলো রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে তারা ।

লকডাউন করে দেশে কোরোনা প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে । কিন্তু, এর জেরে সমস্যায় পড়েছে অনেকে । কেউ বাইরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়েছে কেউ আবার কাজে গিয়ে । অত্যাবশকীয় পণ্য রপ্তানি বা আমদানি বন্ধ হবে না, সরকার এমন ঘোষণা করলেও বাজারে লোকজন কমে যাওয়ায় চাষিদের থেকে বেশি সবজি নিতে চাইছে না আড়তদাররা । নিতে চাইছে না দোকানদাররাও । ফলে ধীরে ধীরে পচন ধরতে শুরু করেছে সবজিতে । পুরুলিয়ায় উৎপাদন হওয়া শশা, লাউ, ফুলকপি সহ একাধিক সবজি রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে চাষিরা ।

দেশের সবকিছু বন্ধ হলে সবজি কোথায় যাবে, কী হবে, যারা সবজি বিক্রি করে বা চাষ করে তাদের কী হবে এসব না ভেবেই লকডাউনের সিদ্ধান্তে প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলছে চাষিরা । তাদের অভিযোগ, সবজি চাষিদের কী হবে তা একবারও ভাবেনি প্রশাসিক আধিরাকরিকরা । এমনকী এক্ষেত্রে সেভাবে কোনও উদ্যোগও নেওয়া হয়নি ।

বলরামপুরের সবজি চাষি তারাপদ মহান্তি, ধরণী মাহাত, হলধর হেমব্রম, জগজীবন মাহাতরা বলেন, "অনেক কষ্ট করে সবজি উৎপাদন করেছিলাম । খরচও অনেক হয়েছে । কিন্তু সবজি ফলনের মুখে লকডাউনের নির্দেশিকা জারি হওয়ায় বাইরে সেই সবজি পাঠানো যাচ্ছে না । আর আড়তদাররাও বিপুল সবজি কিনতে চাইছে না । কারণ তারাও সবজি বাইরে পাঠাতে পারছে না । সবজি ট্রাকে লোড করে অনেক আড়তে আড়তে ঘুরে বেড়ালেও বেশি সবজি বিক্রি হচ্ছে না । তা ছাড়া কোরোনার আতঙ্কে শশা, গাজর এইসব স্যালাড বানানোর সবজি বেশি বিক্রি হচ্ছে না । কারও বাড়িতেও উৎপাদিত সবজি মজুত করে রাখার ব্যবস্থা নেই । আবার বাড়িতে সেই বিপুল সবজি নিতে গেলে যানবাহনের খরচ বহন করতে হবে চাষিদের । এতকিছুর জন্য বাধ্য হয়েই রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া হচ্ছে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ সবজি । এই সুযোগে তাজা সবজি রাস্তা থেকে নিয়ে যাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা ।

বলরামপুরের সবজি আড়তদার বিমল মাহাত বলেন, "বেশি সবজি মজুত করার ব্যবস্থা নেই আড়তে । তা ছাড়া বাইরের রাজ্যগুলিতে সবজি পাঠানো যাচ্ছে না । এমনকী জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও সবজি বণ্টন করে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হত । লকডাউনের প্রভাবে সেটাও বন্ধ । শ্রমিকও তো নেই । সবাই ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছে । এই অবস্থায় চাষিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সবজি কিনলে লোকসানের মুখ দেখতে হবে বলে আমরা অনেকেই সবজি কিনছি না ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.