ETV Bharat / state

লোক টানতে রামনবমীর মঞ্চে নাচ তৃণমূল নেতাদের, BJP-র মিছিলে জনসমাগম

আজ রামনবমীর মঞ্চে নাচলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। আজ দুপুর ২ টো নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী মন্দিরে যান। খরতাল বাজিয়ে কীর্তনে সামিল হওয়ার পর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

শুভেন্দু অধিকারী
author img

By

Published : Apr 14, 2019, 9:07 PM IST

Updated : Apr 14, 2019, 11:44 PM IST

কোলাঘাট, ১৪ এপ্রিল : রামনবমীর মঞ্চে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও নেতা-কর্মীরা নাচলেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, লোক টানতেই তৃণমূলের নেতারা এই কাজ করেছেন। আজ শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের রামনবমীর মঞ্চে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে আসেন। BJP-র অভিযোগ, আজ তাদের রামের পুজো, যজ্ঞ, শোভাযাত্রা বন্ধ করতে পুলিশ গতকাল সন্ধ্যা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কিন্তু এসব উপেক্ষা করেই BJP ও RSS রামনবমী পালন করেছে। অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস BJP-র বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে মিছিল করার অভিযোগ এনেছে।

insert
তৃণমূলের রামনবমীর অনুষ্ঠানে নেই জনসমাগম

গতকাল BJP-র সমস্ত অনুষ্ঠান তৃণমূল 'হাইজ্যাক' করে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু গতরাতেই RSS ও BJP নেতৃত্ব বড় করে রামনবমী পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। অভিযোগ, এই অনুষ্ঠানের কথা জেনেই পুলিশ রাতারাতি মাইকিং করে ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু সকাল থেকে BJP-র রামনবমীতে মানুষের ঢল ছিল। র‌্যাফের উপস্থিতিতে রাম পুজো, যজ্ঞ, শোভাযাত্রা বের করে। BJP শিবিরে জনতার ঢল দেখে চাপে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্বও। এদিকে তৃণমূলের রামনবমীর সভায় লোক তেমন ছিল না। রাজনীতিকদের মতে, লোক টানতে ধর্মীয় গান বাজিয়ে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা মঞ্চে নাচ করলেন। আজ দুপুর ২টো নাগাদ শুভেন্দুবাবু মন্দিরে যান। খরতাল বাজিয়ে কীর্তনে সামিল হওয়ার পর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

in
মঞ্চে তৃণমূল নেতাদের নাচ

রামনবমী উৎসব পালন কমিটির সহ সভাপতি তথা BJP নেতা নারায়ণচন্দ্র পাল বলেন, "তৃণমূলের বাধায় আমরা শনিবার রামনবমী পালন করতে পারিনি। সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়েছে। আজ আমাদের পুজো ও শোভাযাত্রা বন্ধ করতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কিন্তু আমরা সব বাধা উপেক্ষা করে সাফল্যের সঙ্গে রামনবমী পালন করেছি। প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রসাদ পেয়েছেন। গতকাল আমরা রামনবমী পালন করতে পারিনি। তাই আলোচনা করে কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেব।"

দেখুন ভিডিয়ো

তৃণমূল নেতা দিবাকর জানা বলেন, "ওরা রামকে নিয়ে রাজনীতি করছে। ১৪৪ ধারা অমান্য করে মিছিল বের করেছে। কিন্তু আমরা পুলিশের কথা শুনে মিছিল করিনি। আমরা প্রশাসনকে মৌখিক অভিযোগ করেছি। অনুষ্ঠানের পর লিখিত অভিযোগ করব।"

কোলাঘাট, ১৪ এপ্রিল : রামনবমীর মঞ্চে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও নেতা-কর্মীরা নাচলেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, লোক টানতেই তৃণমূলের নেতারা এই কাজ করেছেন। আজ শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের রামনবমীর মঞ্চে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে আসেন। BJP-র অভিযোগ, আজ তাদের রামের পুজো, যজ্ঞ, শোভাযাত্রা বন্ধ করতে পুলিশ গতকাল সন্ধ্যা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কিন্তু এসব উপেক্ষা করেই BJP ও RSS রামনবমী পালন করেছে। অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস BJP-র বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে মিছিল করার অভিযোগ এনেছে।

insert
তৃণমূলের রামনবমীর অনুষ্ঠানে নেই জনসমাগম

গতকাল BJP-র সমস্ত অনুষ্ঠান তৃণমূল 'হাইজ্যাক' করে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু গতরাতেই RSS ও BJP নেতৃত্ব বড় করে রামনবমী পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। অভিযোগ, এই অনুষ্ঠানের কথা জেনেই পুলিশ রাতারাতি মাইকিং করে ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু সকাল থেকে BJP-র রামনবমীতে মানুষের ঢল ছিল। র‌্যাফের উপস্থিতিতে রাম পুজো, যজ্ঞ, শোভাযাত্রা বের করে। BJP শিবিরে জনতার ঢল দেখে চাপে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্বও। এদিকে তৃণমূলের রামনবমীর সভায় লোক তেমন ছিল না। রাজনীতিকদের মতে, লোক টানতে ধর্মীয় গান বাজিয়ে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা মঞ্চে নাচ করলেন। আজ দুপুর ২টো নাগাদ শুভেন্দুবাবু মন্দিরে যান। খরতাল বাজিয়ে কীর্তনে সামিল হওয়ার পর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

in
মঞ্চে তৃণমূল নেতাদের নাচ

রামনবমী উৎসব পালন কমিটির সহ সভাপতি তথা BJP নেতা নারায়ণচন্দ্র পাল বলেন, "তৃণমূলের বাধায় আমরা শনিবার রামনবমী পালন করতে পারিনি। সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়েছে। আজ আমাদের পুজো ও শোভাযাত্রা বন্ধ করতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কিন্তু আমরা সব বাধা উপেক্ষা করে সাফল্যের সঙ্গে রামনবমী পালন করেছি। প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রসাদ পেয়েছেন। গতকাল আমরা রামনবমী পালন করতে পারিনি। তাই আলোচনা করে কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেব।"

দেখুন ভিডিয়ো

তৃণমূল নেতা দিবাকর জানা বলেন, "ওরা রামকে নিয়ে রাজনীতি করছে। ১৪৪ ধারা অমান্য করে মিছিল বের করেছে। কিন্তু আমরা পুলিশের কথা শুনে মিছিল করিনি। আমরা প্রশাসনকে মৌখিক অভিযোগ করেছি। অনুষ্ঠানের পর লিখিত অভিযোগ করব।"

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
Last Updated : Apr 14, 2019, 11:44 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.