কাঁথি, 3 অগস্ট : 2009 সাল থেকে পর পর তিনবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি (Contai) লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সাংসদ হয়ে ইউপিএ (UPA) আমলে মন্ত্রী হয়েছেন ৷ মোদি (Narendra Modi) জমানায় সরকারের বিরুদ্ধে দলের হয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়েছেন ৷ বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের বর্তমান অবস্থান কী ? তা জানাতে আরও একমাস সময় প্রয়োজন শান্তিকুঞ্জের কর্তার ৷ এই মর্মেই তিনি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার (Om Birla) কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে খবর ৷
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদানের পর থেকে অধিকারী পরিবারের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জলঘোলা শুরু হয় ৷ শুভেন্দুর ছোটভাই সৌমেন্দু সরাসরি বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেন ৷ তমলুকের সাংসদ এখনও তৃণমূলে ৷ কিন্তু শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগদান না করলেও বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপির অমিত শাহ (Amit Shah) ও নরেন্দ্র মোদির সভায় উপস্থিত ছিলেন ৷ নন্দীগ্রামে শুভেন্দুকে জেতানোর আবেদনও করেছিলেন একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে ৷
আরও পড়ুন : Ajanta Biswas : সিপিএম কূপমণ্ডুক, এবার তৃণমূলের মুখপত্রে অজন্তার সমর্থনে ক্ষিতি-কন্যার কলম
তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে থাকলে দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর পদ খারিজ হওয়ার কথা ৷ সেই কারণেই লোকসভার অধ্যক্ষ (Loksabha Speaker) ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তার পরিপ্রেক্ষিতে ওম বিড়লা কাঁথির সাংসদের রাজনৈতিক অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু তা জানাতে আরও একমাস সময় লাগবে বলে মনে করছেন শিশির অধিকারী ৷ তাই তিনি এক মাসের সময় চেয়ে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷
যদিও শিশির অধিকারীর দাবি, এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসাই উচিত নয় ৷ কারণ, এটা একজন সাংসদ ও অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত বিষয় ৷ তবে তিনি কোনও চিঠি দেননি বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা ৷ বরং চিঠি তাঁর দিল্লির অফিস থেকে দেওয়া হতে পারে বলে তাঁর মত ৷
আরও পড়ুন : Modi on Derek : কেন্দ্রের বিল পাশকে পাপড়ি চাট বানানোর সঙ্গে তুলনা ডেরেকের, ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী
এদিকে এই ইস্যুতে সরাসরি শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা সুপ্রকাশ গিরি ৷ তাঁর বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী যখন রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে হইচই করছেন, তখন কেন তাঁর বাবাকে পদত্যাগ করতে বলছেন না ৷ তাঁর মতে, শিশির অধিকারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন ৷ তাই তাঁর (শিশির) পদত্যাগ করা উচিত ৷