মেচেদা, 10 মে: মেচেদার কোরোনা আক্রান্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্মী প্রৌঢ়ার পরিবারের ছয় সদস্যের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এল। গত 6 মে মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভরতি হয়েছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার ওই প্রৌঢ়া। সেখানেই অস্ত্রোপচারের আগে র্যাপিড টেস্টে ধরা পরে তিনি কোরোনায় আক্রান্ত।
এরপর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে আক্রান্তের পরিবারের 6 সদস্যকে পাঠানো হয় চণ্ডীপুরের কোরোনা নিরাময় কেন্দ্রের আইসোলেশন বিভাগে। সেখানেই তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছিল। আজ ওই 6 ব্যক্তির রিপোর্ট নেগেটিভ এল। ফলে তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। জানাল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
স্থানীয় ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের আক্রান্ত ওই প্রৌঢ়া গত বুধবার অফিস যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। সে সময় তাঁকে মেচেদার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। গতকালই স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে মেচেদার ওই বেসরকারি হাসপাতাল ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই শাখাটিকে স্যনিটাইজ করা হয়। এরপর ব্যাঙ্ক ও হাসপাতালটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ব্যাঙ্কের 12 জন কর্মীকে পাঠানো হয় কোয়ারানটিনে। এছাড়াও ওই বেসরকারি হাসপাতালে এক চিকিৎসকসহ 4 জনকে কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়। এরপর রবিবার সকালে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের 6 সদস্যের কোরোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। যার পর কিছুটা স্বস্তিতে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল জানান, আক্রান্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিবারের সদস্যদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাঁদের আজ ছুটি দেওয়া হয়েছে। আপাতত এটুকুই ভালো খবর।