ETV Bharat / state

ঘরে এসেছে কন্যাসন্তান, 500 চারাগাছ লাগালেন দম্পতি - পাঁশকুড়ার খবর

নিজেদের প্রথম কন্যাসন্তান হওয়ার খুশিতে পাঁচশো চারাগাছ রোপন করলেন পাঁশকুড়ার মান্না-দম্পতি ।

Sapling planting
পাঁশকুড়ার মান্না দম্পতি
author img

By

Published : Jun 13, 2020, 12:02 AM IST

পাঁশকুড়া, 12 জুন : কন্যা ভ্রুণ হত্যা থেকে শুরু করে কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য মায়ের উপর অত্যাচার । এমন ঘটনা মাঝে মাঝেই উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে । এবার এই সামাজিক ব্যাধি রোধ করতে এগিয়ে এলেন পাঁশকুড়ার এক দম্পতি । কন্যাসন্তানের জন্ম যে কোন অভিশাপ নয় বরং তা আশীর্বাদ, সমাজের কাছে এই ছবি তুলে ধরতে 500 চারাগাছ লাগালেন পাঁশকুড়ার মান্না-দম্পতি । নিজেদের প্রথম সন্তান হওয়ার খুশি এভাবেই ভাগ করে নিলেন তাঁরা । ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়া পৌরসভা এলাকায় । পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় আজ 500 টি চারাগাছ রোপন করলেন তাঁরা ।

পাঁশকুড়া পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের মধুসূদন বাড় এলাকায় বাস পেশায় স্কুল শিক্ষক মহাদেব মান্নার । স্ত্রী মুনমুন মান্না । গত বছরের পয়লা নভেম্বর তাদের কন্যা মামণি জন্মগ্রহণ করে । তারপরই মধুসূদনবাবু ঠিক করেন মেয়ের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে এলাকার প্রত্যেক আমন্ত্রিতের হাতে তুলে দেওয়া হবে একটি করে চারা গাছ । কিন্তু উদ্ভুত কোরোনা পরিস্থিতির কারণে গত মে মাস থেকে লকডাউন চলায় সেই অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায় । ফলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আর সফল হয়নি ।

এদিকে আমফানের তাণ্ডবে জেলাজুড়ে একের পর এক গাছ ভেঙে পড়েছে । আর তাই লকডাউন আংশিক শিথিল হতেই মান্না-দম্পতি নিজেদের উদ্যোগে এলাকায় চারা গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন । সেইমতো আজ স্টেশন রোড, জাতীয় সড়কসহ একাধিক স্কুল চত্বরে বট, অশ্বত্থ, কাঁঠাল, জামরুল, কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়ার 500 চারাগাছ নিজেরাই রোপন করেন ।

দম্পতির বক্তব্য, "কন্যাসন্তান জন্মালে সেই আশীর্বাদকে স্মরণীয় করে রাখতে রাজস্থানের পিপলান্ত্রী গ্রামে এখনও 111 টি করে চারাগাছ লাগানো হয় । ফলে সেই এলাকা বর্তমানে সবুজে ভরে গেছে । আমরাও চাইলে সেই ধারাকে অনুসরণ করে প্রকৃতিকে আরও সবুজে ভরিয়ে তুলতে পারি । ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাসযোগ্য আমাদেরই করে দিয়ে যেতে হবে । তাই প্রকৃতিকে তাদের সামনে সুন্দর করে তোলার জন্য এই কাজ করেছি । আমরা চাই আরও মানুষ এই কাজে হাত লাগাক । তাতেই সমাজের মঙ্গল ।"

মামণির বাবা মহাদেব মান্না পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের পাঁচবেড়িয়া রামচন্দ্র স্মৃতি শিক্ষা মন্দিরের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক । তিনি বলেন, "সন্তান জন্মগ্রহণ করলেই তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা শুরু করেন বাবা-মায়েরা । কিন্তু যে প্রকৃতির মধ্যে তারা বেড়ে উঠবে ক্রমে সেই প্রকৃতিই আজ ক্ষতবিক্ষত, দূষণে ভরে গেছে । ফলে শুধু আমাদের কেন ? কারও সন্তানই প্রাণভরে শ্বাস নিতে পারবে না অদূর ভবিষ্যতে । আমরা চাই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রাণ ভরে শ্বাস নিক এই প্রকৃতির কোলে । তাই পৃথিবীকে তাদের কাছে বাসযোগ্য করে তুলতে আমাদের এই উদ্যোগ । শুধু গাছ লাগিয়েই আমরা থেমে থাকব না নিয়মিত । সেই গাছগুলির পরিচর্যা করব নিয়মিত ।"

এদিকে মান্না-দম্পতির এমন কাজে খুশি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরাও ।

পাঁশকুড়া, 12 জুন : কন্যা ভ্রুণ হত্যা থেকে শুরু করে কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য মায়ের উপর অত্যাচার । এমন ঘটনা মাঝে মাঝেই উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে । এবার এই সামাজিক ব্যাধি রোধ করতে এগিয়ে এলেন পাঁশকুড়ার এক দম্পতি । কন্যাসন্তানের জন্ম যে কোন অভিশাপ নয় বরং তা আশীর্বাদ, সমাজের কাছে এই ছবি তুলে ধরতে 500 চারাগাছ লাগালেন পাঁশকুড়ার মান্না-দম্পতি । নিজেদের প্রথম সন্তান হওয়ার খুশি এভাবেই ভাগ করে নিলেন তাঁরা । ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়া পৌরসভা এলাকায় । পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় আজ 500 টি চারাগাছ রোপন করলেন তাঁরা ।

পাঁশকুড়া পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের মধুসূদন বাড় এলাকায় বাস পেশায় স্কুল শিক্ষক মহাদেব মান্নার । স্ত্রী মুনমুন মান্না । গত বছরের পয়লা নভেম্বর তাদের কন্যা মামণি জন্মগ্রহণ করে । তারপরই মধুসূদনবাবু ঠিক করেন মেয়ের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে এলাকার প্রত্যেক আমন্ত্রিতের হাতে তুলে দেওয়া হবে একটি করে চারা গাছ । কিন্তু উদ্ভুত কোরোনা পরিস্থিতির কারণে গত মে মাস থেকে লকডাউন চলায় সেই অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায় । ফলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আর সফল হয়নি ।

এদিকে আমফানের তাণ্ডবে জেলাজুড়ে একের পর এক গাছ ভেঙে পড়েছে । আর তাই লকডাউন আংশিক শিথিল হতেই মান্না-দম্পতি নিজেদের উদ্যোগে এলাকায় চারা গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন । সেইমতো আজ স্টেশন রোড, জাতীয় সড়কসহ একাধিক স্কুল চত্বরে বট, অশ্বত্থ, কাঁঠাল, জামরুল, কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়ার 500 চারাগাছ নিজেরাই রোপন করেন ।

দম্পতির বক্তব্য, "কন্যাসন্তান জন্মালে সেই আশীর্বাদকে স্মরণীয় করে রাখতে রাজস্থানের পিপলান্ত্রী গ্রামে এখনও 111 টি করে চারাগাছ লাগানো হয় । ফলে সেই এলাকা বর্তমানে সবুজে ভরে গেছে । আমরাও চাইলে সেই ধারাকে অনুসরণ করে প্রকৃতিকে আরও সবুজে ভরিয়ে তুলতে পারি । ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাসযোগ্য আমাদেরই করে দিয়ে যেতে হবে । তাই প্রকৃতিকে তাদের সামনে সুন্দর করে তোলার জন্য এই কাজ করেছি । আমরা চাই আরও মানুষ এই কাজে হাত লাগাক । তাতেই সমাজের মঙ্গল ।"

মামণির বাবা মহাদেব মান্না পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের পাঁচবেড়িয়া রামচন্দ্র স্মৃতি শিক্ষা মন্দিরের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক । তিনি বলেন, "সন্তান জন্মগ্রহণ করলেই তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা শুরু করেন বাবা-মায়েরা । কিন্তু যে প্রকৃতির মধ্যে তারা বেড়ে উঠবে ক্রমে সেই প্রকৃতিই আজ ক্ষতবিক্ষত, দূষণে ভরে গেছে । ফলে শুধু আমাদের কেন ? কারও সন্তানই প্রাণভরে শ্বাস নিতে পারবে না অদূর ভবিষ্যতে । আমরা চাই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রাণ ভরে শ্বাস নিক এই প্রকৃতির কোলে । তাই পৃথিবীকে তাদের কাছে বাসযোগ্য করে তুলতে আমাদের এই উদ্যোগ । শুধু গাছ লাগিয়েই আমরা থেমে থাকব না নিয়মিত । সেই গাছগুলির পরিচর্যা করব নিয়মিত ।"

এদিকে মান্না-দম্পতির এমন কাজে খুশি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরাও ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.