ETV Bharat / state

কুরবানকে খুনে সুপারি সাড়ে 4 লাখ ! ধৃত আরও 4 তৃণমূলকর্মী - tmc leader kurban murder

আজ ধৃত পাঁচ জনকে তমলুক আদালতে তোলা হয় । বিচারক তদন্তের স্বার্থে ধৃত চার তৃণমূল নেতাকে 14 দিনের জন্য পুলিশ হেপাজতে পাঠিয়েছেন ও অপর অভিযুক্ত অর্থাৎ সুপারি কিলার রাজাকে জেল হেপাজতে রাখা ও তাকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের সরকারি আইনজীবী সফিউল আলি খান ।

কুরবান
author img

By

Published : Oct 28, 2019, 7:12 PM IST

তমলুক, 28 অক্টোবর : শাসকদলের দাপুটে নেতা পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ও পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি কুরবান শাহ খুনের নেপথ্যে রয়েছে এলাকা দখলের রাজনীতি । খবর পাঁশকুড়া থানার পুলিশ সূত্রে ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদেরও একাংশের দাবি, তৃণমূলের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই প্রাণ দিতে হয়েছে কুরবানকে ৷ দলেরই না কি অনেকের আক্রোশ ছিল কুরবানের উপর । সেই আক্রোশ থেকেই পরিকল্পনা করে খুন করা হয় কুরবানকে । আর এই খুনের জন্য সাড়ে 4 লাখ টাকা খরচ করে আনানো হয়েছিল সুপারি কিলার । পুজোর সময় নবমীর রাতে মাইশোরাতে দলের কার্যালয়ে বসেছিলেন বছর বত্রিশের কুরবান । দ্রুত গতির বাইকে ছুটে এসে তৃণমূল কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে কুরবানকে সেদিন খুন করে পালিয়ে যায় ৷ খুনের ধরন দেখে ঘটনার মূলে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পেয়েছিল পুলিশ । পরিবারের লোকেরাও খুনের অভিযোগ এনে CID তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন ।

কুরবান খুনের কিনারা করতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্তে নেমেছিল পুলিশ । শুরুতেই তদন্তকারীদের হাতে ধরা পড়েছিল পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের নেতা মহম্মদ খালেক । ওই নেতাকে জেরা করে পুলিশ গতরাতে গ্রেপ্তার করে আরও পাঁচজনকে । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে চার জন তৃণমূলের নেতা আর একজন সুপারি কিলার ৷ শেখ তসলিম আরিফ (রাজা) নামের ওই সুপারি কিলারের বাড়ি খড়গপুর থানা এলাকায় । বাকি চার তৃণমূল কর্মীদের নাম পাঁশকুড়ার রাজশহরের দীপক চক্রবর্তী, বৃন্দাবনপুরের নিশীথ পাল, মাংলুইয়ের নবারুণ মিশ্র ও জয়কৃষ্ণপুরের মলয় ঘোষ । তদন্তকারীদের কাছে এরা আক্রোশের জেরে কুরবানকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে ৷ তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ৷

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ভি সলেমান নেশাকুমার বলেন, "এ পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ।" ধৃতদের ব্যবহৃত কয়েকটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ।

আজ ধৃত পাঁচ জনকে তমলুক আদালতে তোলা হয় । বিচারক তদন্তের স্বার্থে ধৃত চার তৃণমূল নেতাকে 14 দিনের জন্য পুলিশ হেপাজতে পাঠিয়েছেন ও অপর অভিযুক্ত অর্থাৎ সুপারি কিলার রাজাকে জেল হেপাজতে রাখা ও তাকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের সরকারি আইনজীবী সফিউল আলি খান । তিনি বলেন, "খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের হাত রয়েছে বলে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে পুলিশি তদন্তে । পুরোনো আক্রোশের জেরে এই খুন ও খুনের ষড়যন্ত্র বলে জানা গেছে ।" শুরুতে অবশ্য এই ঘটনার পিছনে BJP যোগের অভিযোগ তুলেছিল নিহত নেতার পরিবার ও তৃণমল । BJP নেতা আনিসুর রহমানকে খুনে মুখ্য অভিযুক্ত করে খুনের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল পাঁচ জনের নামে । কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই পাঁচ জনের কাউকেই এই মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি । তারা যুক্ত আছে কি না সে বিষয়েও অবশ্য কোনও মন্তব্য করেনি পুলিশ । যদিও আনিসুর ও BJP-র তরফে দাবি ছিল, অভিযোগ মিথ্যে । আনিসুর ঘটনার CBI তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন ।

তমলুক, 28 অক্টোবর : শাসকদলের দাপুটে নেতা পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ও পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি কুরবান শাহ খুনের নেপথ্যে রয়েছে এলাকা দখলের রাজনীতি । খবর পাঁশকুড়া থানার পুলিশ সূত্রে ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদেরও একাংশের দাবি, তৃণমূলের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই প্রাণ দিতে হয়েছে কুরবানকে ৷ দলেরই না কি অনেকের আক্রোশ ছিল কুরবানের উপর । সেই আক্রোশ থেকেই পরিকল্পনা করে খুন করা হয় কুরবানকে । আর এই খুনের জন্য সাড়ে 4 লাখ টাকা খরচ করে আনানো হয়েছিল সুপারি কিলার । পুজোর সময় নবমীর রাতে মাইশোরাতে দলের কার্যালয়ে বসেছিলেন বছর বত্রিশের কুরবান । দ্রুত গতির বাইকে ছুটে এসে তৃণমূল কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে কুরবানকে সেদিন খুন করে পালিয়ে যায় ৷ খুনের ধরন দেখে ঘটনার মূলে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পেয়েছিল পুলিশ । পরিবারের লোকেরাও খুনের অভিযোগ এনে CID তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন ।

কুরবান খুনের কিনারা করতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্তে নেমেছিল পুলিশ । শুরুতেই তদন্তকারীদের হাতে ধরা পড়েছিল পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের নেতা মহম্মদ খালেক । ওই নেতাকে জেরা করে পুলিশ গতরাতে গ্রেপ্তার করে আরও পাঁচজনকে । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে চার জন তৃণমূলের নেতা আর একজন সুপারি কিলার ৷ শেখ তসলিম আরিফ (রাজা) নামের ওই সুপারি কিলারের বাড়ি খড়গপুর থানা এলাকায় । বাকি চার তৃণমূল কর্মীদের নাম পাঁশকুড়ার রাজশহরের দীপক চক্রবর্তী, বৃন্দাবনপুরের নিশীথ পাল, মাংলুইয়ের নবারুণ মিশ্র ও জয়কৃষ্ণপুরের মলয় ঘোষ । তদন্তকারীদের কাছে এরা আক্রোশের জেরে কুরবানকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে ৷ তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ৷

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ভি সলেমান নেশাকুমার বলেন, "এ পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ।" ধৃতদের ব্যবহৃত কয়েকটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ।

আজ ধৃত পাঁচ জনকে তমলুক আদালতে তোলা হয় । বিচারক তদন্তের স্বার্থে ধৃত চার তৃণমূল নেতাকে 14 দিনের জন্য পুলিশ হেপাজতে পাঠিয়েছেন ও অপর অভিযুক্ত অর্থাৎ সুপারি কিলার রাজাকে জেল হেপাজতে রাখা ও তাকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের সরকারি আইনজীবী সফিউল আলি খান । তিনি বলেন, "খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের হাত রয়েছে বলে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে পুলিশি তদন্তে । পুরোনো আক্রোশের জেরে এই খুন ও খুনের ষড়যন্ত্র বলে জানা গেছে ।" শুরুতে অবশ্য এই ঘটনার পিছনে BJP যোগের অভিযোগ তুলেছিল নিহত নেতার পরিবার ও তৃণমল । BJP নেতা আনিসুর রহমানকে খুনে মুখ্য অভিযুক্ত করে খুনের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল পাঁচ জনের নামে । কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই পাঁচ জনের কাউকেই এই মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি । তারা যুক্ত আছে কি না সে বিষয়েও অবশ্য কোনও মন্তব্য করেনি পুলিশ । যদিও আনিসুর ও BJP-র তরফে দাবি ছিল, অভিযোগ মিথ্যে । আনিসুর ঘটনার CBI তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন ।

Intro:তমলুক, ২৮ অক্টোবর: শাসকদলের দাপুটেনেতা পাঁশকুড়ার ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি এবং পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কুরবান শাহ খুনের নেপথ্যে স্পট এলাকাদখলের রাজনীতি।যা ইঙ্গিত দিচ্ছে তৃণমূলের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের।দাপটের জন্য দলের অনেকেরই আক্রোশ ছিল কুরবানের ওপর।সেই আক্রোশ মেটাতেই ছিঁচকে শত্রুরাই পরিকল্পনা করে খুন করেছে কুরবানকে।আর এই খুনের জন্য সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা খরচে আনানো হয়েছিল ভাড়াটে খুনি।পুজোর সময় নবমীর রাতে মাইশোরাতে দলের কার্যালয়ে বসেছিলেন বছর বত্রিশের কুরবান।দ্রুত গতির বাইকে ছুটে এসে তৃণমূল কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে শুধুমাত্র কুরবানকে খুন করে পালিয়ে গিয়েছিল।খুনের ধরন দেখেই শুরুতেই ঘটনার মুলে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পেয়েছিল পুলিশ।পরিবারের লোকেরাও বুঝতে পেরে তুলেছিলেন সিআইডি তদন্তের দাবি।Body:বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্তে নেমেছিল পুলিশ।শুরুতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের নেতা মহম্মদ খালেক।ওই নেতাকে জেরা করে পুলিশ রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে ৫ জনকে।যার মধ্যে ৪ জন তৃণমূলের নেতা আর অন্যজন ভাড়াটে খুনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।শেখ তসলিম আরিফ (রাজা) নামের ওই ভাড়াটে খুনির বাড়ি খড়্গপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকায়।বাকি ৪ তৃণমূল নেতা হল পাঁশকুড়ার রাজশহরের দীপক চক্রবর্তী, বৃন্দাবনপুরের নিশীথ পাল, মাংলুইয়ের নবারুণ মিশ্র এবং জয়কৃষ্ণপুরের মলয় ঘোষ।পুলিশের কাছে এরা স্বীকার করে নিয়েছে আক্রোশের জেরে কুরবানকে খুন করার কথা।এই ঘটনায় আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে পুলিশের হাতে।তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভি সলেমান নেশাকুমার।তিনি বলেন, "এ পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।" ধৃতদের ব্যবহৃত কয়েকটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।Conclusion:সোমবার ধৃত ৫ জনকে তমলুক আদালতে তোলা হয়।বিচারক তদন্তের স্বার্থে ধৃত ৪ তৃণমূল নেতাকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন এবং অপর অভিযুক্ত অর্থাৎ সুপারি কিলার রাজাকে জেলহাফজতে রাখা এবং তাকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের সরকারি আইনজীবী সফিউল আলী খান।তিনি জানিয়েছেন, "খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের হাত রয়েছে বলে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে পুলিশি তদন্তে।পুরোনো আক্রোশের জেরে এই খুন এবং খুনের ষড়যন্ত্র বলে জানা গেছে।" শুরুতে অবশ্য এই ঘটনার পিছনে বিজেপি যোগের অভিযোগ তুলেছিল নিহত নেতার পরিবার এবং তৃণমল দলের তরফে।বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানকে খুনে মুখ্য অভিযুক্ত করে খুনের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল ৫ জনের নামে।কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই ৫জনের কাউকেই এই মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।তারা যুক্ত আছে কিনা সে বিষয়েও অবশ্য কোনও মন্তব্য করেনি পুলিশ।যদিও আনিসুর এবং বিজেপি-র তরফে দাবি ছিল অভিযোগ মিথ্যে বলে।আনিসুর ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.