ETV Bharat / state

Monkey Repellent System : হনুমানের তাণ্ডব থেকে ফসল রক্ষা করতে কৃষি দফতরের অভিনব যন্ত্র

ফসলের যেমন রোগ সমস্যা থাকে, তেমনই অনাবৃষ্টির কারণেও ব্যাপক হারে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষীদের। আবার অনেক জায়গায় হনুমানের উপদ্রবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর 1 নম্বর ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা স্নিগ্ধা মণ্ডলের প্রচেষ্টায় এক অভিনব পন্থা নেওয়া হয়েছে কৃষকদের জন্য। যা বিদেশি প্রযুক্তিতে হনুমানদের জমি থেকে তাড়ানোর জন্য বিশেষ সাউন্ড সিস্টেম ৷ যার নাম ‘মানকি রিপিল্যান্ট সিস্টেম’ (Monkey Repellent System) ৷ যন্ত্রটি একপ্রকার বিকৃত শব্দ বিশেষ যা কৃষিক্ষেতে চালিয়ে রেখে দিলে হনুমানের স্নায়ুতে অস্বস্তিকর অনুভব হবে ৷ তাই ক্ষেতে আর তারা প্রবেশ করবে না।

কৃষি দফতরের অভিনব কৌশল
কৃষি দফতরের অভিনব কৌশল
author img

By

Published : Aug 19, 2021, 5:26 PM IST

Updated : Aug 19, 2021, 7:33 PM IST

পটাশপুর, 19 অগস্ট : পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি নির্ভরশীল জেলা। এই জেলায় ফুল,সবজি,পান সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হয়ে থাকে। চাষ করতে গিয়ে ফসলের যেমন রোগ সমস্যা থাকে, তেমনই অনাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক হারে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষিদের। আবার অনেক জায়গায় হনুমানের উপদ্রবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

কারণ হনুমানেরা কখনও ফসল বা সবজি খেয়ে ফেলে ৷ আবার ফসল তছনছ করে দেয় ৷ যার জেরে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন চাষিরা ।

এছাড়া হনুমানকে তাড়া করতে গিয়ে রামভক্তদের হাতে আক্রান্তও হতে হয় কৃষকদের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর 1 নম্বর ব্লকে প্রতিবছর হনুমানের তাণ্ডবে ব্যাপক সবজি ও ফসল নষ্ট হয় । ফলে কৃষকদের একেবারে দিশেহারা অবস্থা।

আরও পড়ুন : Contai Municipality : কাঁথির উন্নয়নের দায়িত্বে এবার অন্য ‘অধিকারী’

বহুবার কৃষকরা বন দফতর ও কৃষি দফতরকে হনুমানের তাণ্ডবের বিষয়টি জানিয়েছেন ৷ এমনিতেই হনুমান নিধন করা আইনত অপরাধ ৷ তাই বন দফতরের কর্মীরাও চিন্তায় ছিলেন কীভাবে কৃষকদের রক্ষা করা যায়।

পাশাপাশি কৃষি দফতরের আধিকারিকরা কোনও মিটিং কিংবা এলাকা পরিদর্শন করতে এলে, কৃষকদের কাছে একটাই অভিযোগ পেতেন, হনুমানের হাত থেকে ফসল রক্ষা করা যাবে কীভাবে ?

এই পরিস্থিতিতে পটাশপুর 1 নম্বর ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা স্নিগ্ধা মণ্ডল এক অভিনব পন্থা বের করেছেন। যা বিদেশি প্রযুক্তিতে হনুমানদের জমি থেকে তাড়ানোর জন্য বিশেষ সাউন্ড সিস্টেম ৷ যার নাম ‘মানকি রিপিল্যান্ট সিস্টেম’ (Monkey Repellent System) ৷ এটিকে কৃষিক্ষেতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

হনুমানের তাণ্ডব থেকে ফসল রক্ষা পেতে অভিনব কৌশল

এর ফলে কোনও পশু হত্যাও হবে না আবার পরিবেশ দূষণ হবে না ৷ যন্ত্রটি একপ্রকার বিকৃত শব্দ বিশেষ যা কৃষিক্ষেতে চালিয়ে রেখে দিলে হনুমানের স্নায়ুতে অস্বস্তিকর অনুভব হবে ৷ তাই ক্ষেতে আর তারা প্রবেশ করবে না।

আরও পড়ুন : Lakshmi Bhandar Form: ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে মেলেনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম, বিক্ষোভ কাঁথিতে

খুব সামান্য বিদ্যুৎ খরচের মাধ্যমে এই মানকি রিপিল্যান্ট সিস্টেম ব্যবহার করে ফসল হনুমানের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

কৃষি দফতরের ‘আত্মা প্রকল্পের’ মাধ্যমে কয়েকদিন আগে 45 জন কৃষককে বিনামূল্যে এই সাউন্ড সিস্টেমটি তুলে দেওয়া হয়েছে। স্নিগ্ধা মণ্ডলের দাবি, হনুমানের হাত থেকে কৃষকদের ফসল বাঁচাতে এই অভিনব উদ্যোগ এই জেলায় সর্বপ্রথম । এই যন্ত্রটি থেকে 2 একর জমি পর্যন্ত হনুমানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

এক কৃষি আধিকারিক জানিয়েছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আগামী অর্থবর্ষে আরও কৃষকদের ‘আত্মা প্রকল্পের’ মাধ্যমে এই মানকি রিপিল্যান্ট যন্ত্র হনুমানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত আরও বেশকিছু কৃষকদের হাতে বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন : BJP-TMC clash : নন্দীগ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, আহত 10

কৃষি দফতরের দেওয়া এই যন্ত্র দেখবার ও কেনার জন্য উৎসুক কৃষকরা ৷ পটাশপুর 1 ব্লকের কৃষি দফতরে চাষিদের ভিড় বাড়ছে।

পটাশপুর, 19 অগস্ট : পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি নির্ভরশীল জেলা। এই জেলায় ফুল,সবজি,পান সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হয়ে থাকে। চাষ করতে গিয়ে ফসলের যেমন রোগ সমস্যা থাকে, তেমনই অনাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক হারে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষিদের। আবার অনেক জায়গায় হনুমানের উপদ্রবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

কারণ হনুমানেরা কখনও ফসল বা সবজি খেয়ে ফেলে ৷ আবার ফসল তছনছ করে দেয় ৷ যার জেরে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন চাষিরা ।

এছাড়া হনুমানকে তাড়া করতে গিয়ে রামভক্তদের হাতে আক্রান্তও হতে হয় কৃষকদের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর 1 নম্বর ব্লকে প্রতিবছর হনুমানের তাণ্ডবে ব্যাপক সবজি ও ফসল নষ্ট হয় । ফলে কৃষকদের একেবারে দিশেহারা অবস্থা।

আরও পড়ুন : Contai Municipality : কাঁথির উন্নয়নের দায়িত্বে এবার অন্য ‘অধিকারী’

বহুবার কৃষকরা বন দফতর ও কৃষি দফতরকে হনুমানের তাণ্ডবের বিষয়টি জানিয়েছেন ৷ এমনিতেই হনুমান নিধন করা আইনত অপরাধ ৷ তাই বন দফতরের কর্মীরাও চিন্তায় ছিলেন কীভাবে কৃষকদের রক্ষা করা যায়।

পাশাপাশি কৃষি দফতরের আধিকারিকরা কোনও মিটিং কিংবা এলাকা পরিদর্শন করতে এলে, কৃষকদের কাছে একটাই অভিযোগ পেতেন, হনুমানের হাত থেকে ফসল রক্ষা করা যাবে কীভাবে ?

এই পরিস্থিতিতে পটাশপুর 1 নম্বর ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা স্নিগ্ধা মণ্ডল এক অভিনব পন্থা বের করেছেন। যা বিদেশি প্রযুক্তিতে হনুমানদের জমি থেকে তাড়ানোর জন্য বিশেষ সাউন্ড সিস্টেম ৷ যার নাম ‘মানকি রিপিল্যান্ট সিস্টেম’ (Monkey Repellent System) ৷ এটিকে কৃষিক্ষেতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

হনুমানের তাণ্ডব থেকে ফসল রক্ষা পেতে অভিনব কৌশল

এর ফলে কোনও পশু হত্যাও হবে না আবার পরিবেশ দূষণ হবে না ৷ যন্ত্রটি একপ্রকার বিকৃত শব্দ বিশেষ যা কৃষিক্ষেতে চালিয়ে রেখে দিলে হনুমানের স্নায়ুতে অস্বস্তিকর অনুভব হবে ৷ তাই ক্ষেতে আর তারা প্রবেশ করবে না।

আরও পড়ুন : Lakshmi Bhandar Form: ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে মেলেনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম, বিক্ষোভ কাঁথিতে

খুব সামান্য বিদ্যুৎ খরচের মাধ্যমে এই মানকি রিপিল্যান্ট সিস্টেম ব্যবহার করে ফসল হনুমানের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

কৃষি দফতরের ‘আত্মা প্রকল্পের’ মাধ্যমে কয়েকদিন আগে 45 জন কৃষককে বিনামূল্যে এই সাউন্ড সিস্টেমটি তুলে দেওয়া হয়েছে। স্নিগ্ধা মণ্ডলের দাবি, হনুমানের হাত থেকে কৃষকদের ফসল বাঁচাতে এই অভিনব উদ্যোগ এই জেলায় সর্বপ্রথম । এই যন্ত্রটি থেকে 2 একর জমি পর্যন্ত হনুমানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

এক কৃষি আধিকারিক জানিয়েছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আগামী অর্থবর্ষে আরও কৃষকদের ‘আত্মা প্রকল্পের’ মাধ্যমে এই মানকি রিপিল্যান্ট যন্ত্র হনুমানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত আরও বেশকিছু কৃষকদের হাতে বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন : BJP-TMC clash : নন্দীগ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, আহত 10

কৃষি দফতরের দেওয়া এই যন্ত্র দেখবার ও কেনার জন্য উৎসুক কৃষকরা ৷ পটাশপুর 1 ব্লকের কৃষি দফতরে চাষিদের ভিড় বাড়ছে।

Last Updated : Aug 19, 2021, 7:33 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.